Posts

Showing posts from November, 2021

মুসলিম মনীষী - সাহাদত হোসেন খান

Image
  পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম পরিবর্তনের ঘৃণ্য চক্রান্ত- স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের সবগুলাে বই ল্যাটিনসহ অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়। তবে অনূদিত গ্রন্থগুলােতে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নামও ল্যাটিনে অনুবাদ করা হয়। অন্য যে কোনাে ভাষায় কোনাে লেখকের বই অনুবাদ করার সময় কেবলমাত্র বইয়ের বিষয়বস্তু অনুবাদ করা হয়। কখনাে লেখকের নাম অনুবাদ করা হয় না। লেখকের নাম অনুবাদ করার এমন অদ্ভুত উদাহরণ ইতিহাসে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব দেশের কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের নাম অক্ষত রেখে অনুবাদ কর্ম সম্পাদন করা হলেও স্বর্ণযুগের মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের নাম অক্ষত রাখা হয়নি। ল্যাটিন ভাষায় মুসলিম পণ্ডিত ও বিজ্ঞানীদের নাম বিকৃত করার এই হীন প্রচেষ্টা অধ্যাপক সারটনের উক্তিকে সত্য বলে প্রমাণ করছে। আরবী গ্রন্থগুলাে ইউরােপীয় ভাষায় অনুবাদ করা হলেও গ্রন্থকারের ল্যাটিন নাম দেখে বুঝার উপায় নেই যে, তারা মুসলমান। প্রত্যেক মুসলমান গ্রন্থকারের নাম আরবীতে লম্বাচুরা হলেও ল্যাটিন ভাষায় তাদের নাম দেয়া হয়েছে, একটি মাত্র শব্দে। ইবনে সিনার পুরাে নাম আবু আলী আল-হুস...

আগমনী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আগমনী শিশির আহাম্মেদ খান  সকালের রোদ এসে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় দোয়েল শিষ দিয়ে আগমনী দিন গুণে যায়, কুয়াশা মারিয়ে মুকুল ধরেছে আমের ডালায়  শাল-সেগুনের বনে সব পাতা ঝড়ে যায় । এত আর কিছুই নয় ,বসন্তের আগমনী হচ্ছে তাই ! দুর্বা ঘাসে শিশির কনা হাতছানি দিয়ে বলছে তাই, শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে  আগামীর বসন্ত কে স্বাগত জানাই।  প্রজাপতি উড়ে আসে রঙিন ডানায়, মাতাল হাওয়া এসে মন জুড়িয়ে যায় ! খেজুর রসে ভরে হারি , গাছি নিয়ে যায় বাড়ি, কত অমৃত সেই রস , চুমুকেই তৃপ্তির ঢেকুর ছড়ায়। অতিথি পাখি গুলি রোজ সকালে গান গেয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় , সারা পৃথিবী গুড়ে আমি পাইনি হায় ! যে রুপ পেয়েছি এই বাংলায় ।

কল্পনার রং তুলি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কল্পনার রং তুলি শিশির আহাম্মেদ খান  কল্পনায়  অনেক কিছু বাস্তবে তা মিথ্যা, কল্পনায় যা ঘটে বাস্তবে তা কিতসা।  বাস্তব অনেক কঠিন  বুঝা বড় দ্বায়,  কল্পনা শুধু কল্পনায়  বাস্তবতা আর নয় । কল্পনার কলম খানি একটু না বাকাঁ! কল্পনার রং তুলি  অচিন পুরের ছবি আঁকা। কল্পনা ফুরিয়ে গেলে  বাস্তব যায় দেখা । ২৫\০৯\২০০৫ সালে লিখা

খলিফা উমর (রা) এর ঈদের শপিং

Image
   খলিফা উমর (রা) মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর ঈদ শপিং! ঈদের আগের দিন খলিফা উমরের (রা) স্ত্রী নিজ স্বামীকে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’। আরব জাহানের শাসক খলিফা উমর (রা) বললেন, ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’। পরে খলিফা উমর (রা) তার অর্থমন্ত্রী আবু উবাইদা (রা) কে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন। সমগ্র মুসলিম জাহানের খলিফা যিনি, যিনি সেই সময় প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পেয়ে আবু উবাইদার (রা) চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন আবু উবাইদা (রা) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। ১। আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না? ২।বেঁচে থাকলেও দেশের জনসাধারণ আপনাকে সেই মেয়াদ পর্যন্ত খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’ চিঠি পাঠ করে খলিফা উমর (রা) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে আবু উবাইদার (রা) জন্য দোয়া করলেন...

করোনার মিছিল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 করোনার মিছিল  শিশির আহাম্মেদ খান  মরব যখন একলা কেন  মরব সবাই মিলে ! করোনাভাইরাস বয়ে নিব ঈদের ছুটি পেলে । যানবাহন নাই থাকুক  যাব পায়ে হেটে, কার আগে কে যাবে  কাধে কাধে মিলে ! আহাম্মক এক মাতাল জাতি করোনার কি দুশ ? শহরের রোগ গ্রামের পথে চলছে ছুটে রোজ । করোনার ছোঁয়ায় লাশের মিছিল  বাড়ছে রোজ রোজ, তবু মোদের করোনার লাগি ডাকছি মিছিল, করছি করোনার ভোজ।

ফাঁসির আগের রাতে - ইতিহাস

Image
  ফাঁসির আগের রাতে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে, কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো।  জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন? ইমাম বললেন.আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।সায়্যিদ কুতুব বললেন...এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? ইমাম বললেন,কর্তপক্ষ দিয়েছে। সায়্যিদ কুতুব বললেন...এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান? ইমাম বললেন...হ্যাঁ, আমি এর থেকে বেতন-ভাতা পাই। তখন সায়্যিদ কুতুব (রহ:) বললেন... কী আশ্চর্য!যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে!! তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়,আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!"   কালিমা শুধু মুখের বুলি নয় যা উচ্চারণ পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ।মুমিনতো তারাই যারা আল্লাহকে ভালোবেসে  কালিমার সঠিক প্রচার করে ফাসির মঞ্চে যেতেও দ্বিধাবোধ করেনা।

প্রেম সুধা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হতাশা আর দীর্ঘ শ্বাস তোমার উচ্ছ্বাসে আমার কারাবাস , সব কিছুই নীয়তির অবকাশ তুমি নেই, তাই এ জীবন খেয়ায় সর্বনাশ। মনের পৃথিবী আজ আধাঁরে ঢাকা মিথ্যে আশ্বাসে বেঁচে থাকা, স্বপ্ন গুলো আজ মেঘে ঢাকা ! তুমি নেই তাই, জীবনের সব আয়োজন ফাঁকা। বেদনার পরশ ভোলা রূপালি দিন গুলো সব পথ ভোলা , বাঁধন ছিড়ে উড়ল ঘুরি নাটাই ছাড়া এইত বেশ ভালোই আছি তুমি ছাড়া । কষ্ট নামের সোনার হরিণ মন গহীনে করে খেলা , প্রেম গাঙ্গের সুধা নিয়ে দিলে গো এ কেমন জ্বালা ।

May be - Shishir ahmed khan

Image
 May be  Shishir ahmed khan  May be in a lonely body on a roadside The dreaming princess runs naked leg. Cool breeze flows under the shade of the tree, Letting the golden paddy dry in the  golden sun, May be sitting in some shought . In the  corner of the yard,  In the  gourd of the net, Shalik-shyama only calls, The dreams sprouted deep in the heart Are looking for the future ! I don't think about what is there in a life, The more I  think, the more I remember.

হলদে রংঙ্গের গাঁ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হলদে রংঙ্গের গাঁ আজকে চল যাই ছুটে নীল আকাশে সাদা মেঘের পিছু  অচেনা কোন গায়ের পথে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামুক পিছু । হলদে রংঙ্গের রোদ গুলো যখন হলদে গাঁয়ে আসে ! হলুদ রাঙ্গা সোনালু ফুলে সবাই মিষ্টি হাসি হাসে। কাঁঠাল গাছের ডালের ফাঁকে  ইষ্টিকুটুম মিষ্টি সুরে ডাকে , শাপলা -শালুক ফুটছে দেখ  জামরি বিলের বাঁকে । গাঁয়ের মাথায় সিধুর মেখে আকাশ যেথায় নামে  সেখান থেকে বাদুড় গুলো  উড়ছে দেখ সবে !  এত কিছু বলার পরে  থাকল সবী বাকি , এত সুন্দর গাঁয়ের স্মৃতি  কেমনে ভুলে থাকি !

হাল ছেড় না - রাইমা খানম

Image
 হাল ছেড় না ১৯৫০ সালের দিকে হার্ভার্ডে অধ্যয়নের সময় ড. কার্ট রিখটার পানির বড় একটি পাত্রে কিছু ইঁদুর রেখেছিলেন তারা কতক্ষণ পানিতে থাকতে পারে তা পরীক্ষা করতে। (গড়ে ইঁদুর 15 মিনিট পরে হাল ছেড়ে দেয় এবং ডুবে যায়। ) ক্লান্তির কারণে তারা হাল ছেড়ে দেওয়ার ঠিক আগে, গবেষকরা ইঁদুর কে বের করে ফেলতেন,শরীর শুকিয়ে ফেলতেন, কয়েক মিনিট বিশ্রামে রাখতেন। এবং তাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য ফিরিয়ে আনতেন। এই দ্বিতীয় চেষ্টায় ইঁদুর কতক্ষণ টিকে থাকবে বলে মনে করেন? (মনে রাখবেন - মাত্র কয়েক মিনিট আগে এরা ব্যর্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাঁতার কেটেছিলো ...) এখন কতক্ষণ থাকবে বলে মনে হয় ? আরও 15 মিনিট? 10 মিনিট? 5 মিনিট? না! 60 ঘন্টা! হ্যাঁ, এটি কোনো ত্রুটি নয়, এটাই ঠিক! 60 ঘন্টা টিকে ছিলো হাল ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত। যেহেতু ইঁদুর বিশ্বাস করেছিলো যে তারা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পাবে, তাই তারা তাদের দেহকে আগে যা অসম্ভব বলে মনে করেছিল সেই পথেই ঠেলে দিতে পেরেছিলো। একটি সারমর্ম দিয়েই শেষ করবো: আশা যদি ক্লান্ত ইঁদুরগুলিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সাঁতার কাটাতে পারে, তবে নিজের এবং নিজের যোগ্যতার উপর কী ...

পেপোরোমিয়া গাছের গুণাগুণ

Image
  পেপোরোমিয়া বা দীপ্ত লুচি পাতার ব্যবহার 🌿এই পাতার সাথে আমরা সবায় কম বেশী পরিচিত,বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি তারা এই পাতাটা ভালো করে চিনি, ছোট বেলায় রান্না, বান্না খেলার সময় এই লুচি পাতাকে সবজি হিসেবে ব্যবহার করতাম আমরা। 🌿দীপ্ত লুচি পাতা যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো ( পেপোরোমিয়া)🌿 🌿সারা বছর জম্মে এই গাছটি স্যাঁতসেঁতে কম আলোতে ভালো হয় দীপ্ত লুচি। ব্যবহার সমূহঃ 🌿এটি শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয় ও সালাদেও ব্যবহার করা হয়। 🌿জ্যামাইকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে সর্দি, ঠান্ডার জন্য এবং কিডনি সমস্যার জন্য একটি মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত। 🌿ফোঁড়া বা,পাচড়া এবং নেত্রবর্ত্মকলার প্রদাহ উপশমের জন্যে ব্যবহৃত হয়। 🌿মানসিক উত্তেজনা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় 🌿বাত এবং এছাড়াও বাতের সমস্যা,ছোটখাটো আগুনে পোড়া ক্ষত, ফোঁড়াতে এর ব্যবহার হয়। 🌿এই পাতার রস সকালে এক কাপ খালি পেটে পান করলে পাইলসের কারনে যাদের রক্তক্ষরণ হয় তা এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হবে। পোস্ট সংগৃহীতঃ

নিরাপদ কিছু

Image
  নিরাপদ কিছু ঘোড়া যেখান থেকে পানি পান করে, সেখানে পানি পান করুন। ঘোড়া কখনও খারাপ পানি পান করে না। বিড়াল যেখানে ঘুমায়, সেখানে আপনার বিছানা পাতুন। বিড়াল কখনও অপবিত্র বা নোংরা জায়গায় ঘুমায় না। যে ফল পোকা ছুঁয়েছে তা নির্ধিতায় খান। পোকা কখনও বিষাক্ত ফল খায় না। পোকাপ্রাণী মাটিতে যেখানে খনন করে বাস করে, সেখানে গাছ লাগান। ভাল গাছ পাবেন। পাখির সাথে একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং পাখির সাথে একই সময়ে জাগ্রত হন। আপনার সমস্ত দিন স্বর্নের শস‍্যে কাটবে। মাছের মতো পানীতে প্রায়শই সাঁতার কাটুন। মাছের মতো আপনি নিজেকে পৃথিবীতে হালকা, ফুরফূরে এবং  সজীবতা অনুভব করবেন। যতবারই সম্ভব আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন।  আপনার চিন্তাধারা আকাশের মতো স্বচ্ছ, সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে উঠবে। যথাসম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করুন এবং অল্প কথা বলুন। আপনার হৃদয়ে দেখবেন নীরবতা আসবে, আপনার তনু মন  প্রশান্তিতে ভরে উঠবে ইনশাআল্লাহ।    ✅✅✅

গালগপ্পের ভিড়ে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 বিলাসবহুল গালগপ্পের ভিড়ে বাস্তব বড় কঠিন লাগে ছোট্ট এই দেশে মানুষ আর কুকুর একি সাথে পড়ে থাকে ফুটপাতের পথে পথে ! উচু উচু দালান গুলো ফাঁকা ই পড়ে থাকে কত টাকার পাহাড় গড়েছে, কে তাদের খবর রাখে ! নিচু তলার মানুষের রক্ত চুষা ঐ রঙ্গিন মানুষ গুলো হীরক রাজার মতনই আবার গরিবের চোখে দেয় ধুলো। স্বাধীনতার আজ চেতনাতেই পড়ে আছে জীবনের সাথে নেই তার কোন মিল , কেউ মরে অন্ন খুঁজে কারো আবার বিলাসী মদের নেশায় দাঁতে মারে খিল !

ফিঙ্গার পিন্ট -

Image
ফিঙ্গার পিন্ট   এই যে আঙুলের ছাপ দিয়েই খুলে যাচ্ছে মোবাইলের লক, গেটের তালা,অফিসের উপস্থিতি, ফিঙারপ্রিন্ট নিয়েই যাচাই করা যাচ্ছে কে অপরাধী, এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশান সিস্টেম প্রথম কে আবিষ্কার করেছিল জানেন? তিনি ছিলেন একজন বাঙালী,নাম খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক।বাড়ি খুলনা জেলার কসবার পায়গ্রামে।কাজ করতেন তৎকালীন বেঙল পুলিশে। ফিঙারপ্রিন্ট নিয়ে অনেকেই আগে কাজ করেছেন কিন্তু এর প্র‍্যাকটিক্যাল ইউজ কি, কিভাবে যাচাই করা যায়,কিভাবে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায় মানুষকে সেটা প্রথম আবিষ্কার করেন আমাদের দেশের কাজী আজিজুল হক। ব্রিটিশ আমলে বেঙল পুলিশের আইজি ছিলেন এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি। তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গবেষণার জন্য নিয়োগ করেন দুই বাঙালী প্রতিভাকে, একজন গণিতবিদ কাজী আজিজুল হক, আরেকজন হেম চন্দ্র বোস। কাজী আজিজুল হক ও হেমচন্দ্র বোস ৭০০০ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলেন। অনেক পরিশ্রম করে একটা গাণিতিক সূত্র দাড়া করলেন যেটা দিয়ে ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই এর মাধ্যমে মানুষ সনাক্ত করা যায়।আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিশাল বড় আবিষ্কার। এই পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল "বোস-হক আইডেন্টিফিকেশান সিস্টেম...

মন ছুটে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মন ছুটে আজও মন ছুটে ঐ নদীর কিনারে বাদাম তোলা নাও যেথা চলে ভেসে । সকালের মিঠে রোদ শিশির জলে হাসে, এ পাড়ার নবধূর রাঙা পা ভিজিয়ে জল নিয়ে যায় , বারেক ফিরে কি যেন দেখে আড় চোখে । কি যে মায়া লুকিয়ে আছে তার চলনে । জাল ফেলে সেই কথা বারে বারে ভাবে করিম জেলে । জীবন চলে জীবনের পথে সন্ধ্যা নামে তটে বুকের গহীনে ভালবাসা উকি দিয়ে যায়, রাত বিরাতে ।

ড.ইউনূস- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  স্বদেশে যারে করেছো  অপমান বঞ্চনা  সেই মহাজনে বিশ্বময়  পায় দেখ  কত সম্মাননা.... তার পায়ের ধুলি নিতে আসে কত জ্ঞনীগুণী, সেই দেখে হিংসায় দিলে তারে গালি। তার জয় বিশ্ব সভায় সালাম ঠুকে সকলিই , তুমি কোন পাগল বল কেন এতো হিংসে কর শুনি ?

একজন সাহিত্যিক- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 একজন লেখক তা র মনের গহীনে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে টিকে থাকে। সাধারণ মানুষের জীবনে একটা লক্ষ্য থাকে । কিন্তু একজন সাহিত্যিক এর কোন লক্ষ্য নেই। কেন না সে এই পৃথিবীতে তার সাক্ষ্যর রাখে প্রতিনিয়ত।  সাহিত্যিক কখনও ভয় পায় না । সে অন্য কে ভয় পাইয়ে দেয় ! সে নিজেই নিজের মনে বিভিন্ন চরিত্রের চিত্র অংকন করে আবার তা মুছে দেয়.....। সাগরের বিশাল ঢেউ গুলো যেমন সৈকতে এসে আছড়ে পড়ে । তেমনই সাহিত্যিক এর জীবনে ভালো’বাসা - বিচ্ছেদ বিরহ বেদনা তাদের রং ছড়িয়ে যায় প্রতি ক্ষণে .....

লোক দেখানো ভালো’বাসা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোমার শ্রদ্ধা ভাগারে গেল ওদের প্রার্থনা কবরে , তোমাদের ভালবাসা লোকদেখানো হাজার ছবির চালাচালি খবরে ! আলেমের ভালবাসা হৃদয়ের গহীনে ভালবাসা পৌছে যাবে কবরে । শহীদ বেধীতে কোটি টাকার ফুল বিসর্জনে শহীদদের কি বা আসে যায়, এত বছর পরে এসে যদি শহীদ পরিবার কাঁদে ক্ষুধার জ্বালায় ধুলায় লুটায়। হাজার গরু - খাশির কুরমা পোলাও দিয়ে করছো যখন ভুরিভোজ, ফুটপাতে জীর্ণ দেহে খাবারের লাগি যুদ্ধ করে রোজ রোজ। কোটি জনতার রক্ত গামে অট্টালিকায় যাদের নিবাস তারাই আবার আমজনতার শোষে করে যায় দানবীয় উল্লাস।

ভোরের অপেক্ষা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
সেদিনের সেই ভোরের অপেক্ষায় আমরা, যে ভোরে আলো আসবে সত্য নিশান হাতে নিয়ে ! শত সহস্রী লোনাজলে ধুয়ে যাবে অন্যায়, লাখ প্রাণ করে যাবে দান মুছে যাবে মিথ্যার আধাঁর। সম সূরে গাইবে সবাই মুক্তির জয় গান , রাজপথে আনন্দ মিছিল হবে বীর জনতা স্লোগান দিবে স্বগৌরবে বলবে ওরা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। নির্যাতনের ক্ষত শুকিয়ে যাবে, আসবে শান্তির উষ্ণ বাতাস কেটে যাবে কোটি প্রাণের দীর্ঘশ্বাস। 

বুকের মাঝে বিডি - দিলরুবা আহমেদ

Image
 বুকের মাঝে  বিডি সারা খুব লম্বা মেয়ে। লিকলিকে শুকনো। মাথায় সব সময় কাপড়ের টুপি পরে থাকে। চুল ঢেকে রাখে ধমীর্য় কারণে। সেও মুসলমান। অন্য দেশীয় মুসলমানেরা কেমন হয় জানার সাধ ছিল নিহার অনেক দিনের। এখন সারাকে পেয়ে সে বেশ পর্যবেক্ষণে মত্ত। একটা সরকারি স্কলারশিপে নিহা বেশ কিছুদিন হয় আমেরিকায় এসেছে। যতোটুকু পারা যায় পড়াশোনার ব্যস্ততার মধ্যেই সে জেনে নিতে চায় অচেনা অজানা এই মহাদেশটিকে।অবাক হয়ে চারদিক দেখে। কতো দেশের কতো রকমের মানুষের যে বসবাস এখানে! হরেক রকম মানুষ। লাল, শাদা, গোলাপি, বাদামি, কালো। যেন এক খিচুড়ি নিবাস। একেকজনের উৎপত্তিস্থল একেক মহাদেশে। আদি আর অন্তের দূরত্বই যোজন যোজন। বিশ্বের সব কানাকুনা থেকে সংগৃহীত হয়েছে যেন এই সকল মানব স্যাম্পল। তারপরে চানাচুরের বক্সে ভরে এক মহা ঝাকুনি। ঝাকুনির চোটে সোমালিয়ান সারাও এখন আমেরিকান হয়ে গেছে। কোথায় সেই আফ্রিকা মহাদেশ আর কোথায় এই আমেরিকা! ওয়াশিং রুমে কাপড় ধুতে গিয়ে সারার সঙ্গে নিহার আলাপ। সারার একটা কোয়ার্টার কম পড়েছিল কাপড় ড্রাই করতে। ডলার আছে সঙ্গে। কিন্তু লাগবে কোয়ার্টার। তিনটা কোয়ার্টার অর্থাৎ ২...

গোড় - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
পেঁয়াজ খাচ্ছে জামাত বিএনপি  পেঁয়াজ খায় স্বাধীনতা বিরোধীরা  তাই ত এমন দাম বেড়েছে  বুঝতেছ না কেন সুধীরা। হারাম টাকায় আরাম করে স্বপ্ন দেখে ঘুমের গোড়ে, দেশটা হল সিঙ্গাপুর ! আমজনতার চিৎকারে ঘুম ভেঙে  নেতা দেখেন ,দেশ হল জামালপুর ।

সময়ের রং- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  সময়ের কত রং কত শত অগোছালো ঢং ! তোমার সময়ে আমি ভিলেন আমার সময়ে তুমি তুচ্ছ ! জীবনের এ বেলায় দাঁড়িয়ে দেখি জীবন আমার কত সচ্ছ , সূর্যের আলোর মতন উজ্জল সে খুঁজে ফিরে শিশিরের কোমল স্পর্শ। 

আবার দেখা হবে- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আবার দেখা হবে এ দেখা শেষ দেখা নয়, আবার কথা হবে এ কথা ই শেষ কথা নয় । বন্ধু অভিমান রাখ যত হৃদয়ে পুষে ভালবাসার রং দিয়ে সব দিব মুছে , ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন ছিল যত আবার সাজাব নতুন করে । প্রণয়ের সেই ক্ষণ আজ ভেসে ওঠে সোনা ঝরা সকালের রোদ হয়ে .....