Posts

Showing posts with the label গবেষণা মূলক প্রতিবেদন

উনিই সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি!!

Image
উনিই সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি!! যে মানুষটি এক সময় ক্ষুধার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনিই আজ একটি দেশের রাষ্ট্রপতি!হালিমা বিনতি ইয়াকুব, সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী ও দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্রপতি। অথচ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হওয়া এই মানুষটিই আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন।১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া হালিমা বাবাকে হারান মাত্র ৮ বছর বয়সে। তার বাবা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। কারখানায় ওয়াচম্যানের কাজ করে পাঁচ সন্তানকে বড় করার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।অসম্ভব দারিদ্র্যের চাপে পিষ্ট পরিবারটিকে বাঁচাতে হালিমার মা কখনো হোটেলে ক্লিনারের কাজ কখনোবা রাস্তায় খাবার বিক্রি করতে শুরু করেন। মায়ের সাথে হালিমা সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক এর সামনের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার বিক্রি করতেন। কিন্তু পড়াশোনাটা ছেড়ে দেননি। সিঙ্গাপুর চাইনিজ গার্লস স্কুলের পাঠশেষে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি হতে আইনে স্নাতক হন। ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের একজন আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন আর তার পরিবার টেনে আসা দারিদ্রতা থেকে পায় স্বস্তির সুবাতাস। ১৯৯২ সালে তিনি এই ...
Image
এভাবেই কতো অজানা বিস্ময়কর  কাহিনী লুকিয়ে আছে জিয়াউর রহমান কে নিয়ে......... প্রেসিডেন্ট জিয়া উলশী-যদুনাথপুর প্রকল্পের অগ্রগতি স্বচক্ষে দেখতে যশোরে এসেছেন। প্রকল্প প্রদক্ষিণ শেষে পিআরও জানালেন যে প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ সম্পন্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি তখন একটি দৈনিকের বার্তা সম্পাদক। সে'সুবাদে ঠাঁই হলো তাঁর কাছাকাছি চেয়ারে! টেবিলে হরেকরকম খাবার সাজানো ছিলো। আমরা খাবার টেবিলে বসার প্রায় সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁর আসন গ্রহণ করে আমাদের প্রত্যেককে 'বিসমিল্লাহ' করার আহ্বান জানালেন। সাংবাদিকদের কেউকেউ নিজেরাই ভাত ও বেগুন ভাঁজা পাতে তুলে নিলেও প্রেসিডেন্টের প্লেট ছিলো তখনো ফাঁকা! আমরা সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছি দেখে প্রেসিডেন্ট স্মিত হেসে বললেন, আমারটা এক্ষুনি আসবে, আপনারা শুরু করুন। প্রেসিডেন্ট না খেলে আমরা খাই কী করে! এমন সময় প্রেসিডেন্ট এক চামচ ভাত নিলেন। ছোট্ট একটি বাটিতে তাঁর জন্যে গুঁড়া মাছের চচ্চরি এলো। এলো পাতলা ডাল। প্রেসিডেন্ট তৃপ্তিভরে তাই খেলেন ও খাবার শেষে 'আলহামদুলিল্লাহ' স্বগতোক্তি করলেন। আমরা মাছ-মাংস দিয়ে উদরপূর্ত...
শেখ  রাসেল নাামের ইতি কথা  ! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। তাঁর অনেক বই তিনি পড়েছেন। বার্ট্রান্ড রাসেল কেবলমাত্র একজন দার্শনিকই ছিলেন না বিজ্ঞানীও ছিলেন। ছিলেন পারমাণবিক যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের একজন বড় মাপের বিশ্ব নেতাও। বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্যে বার্ট্রান্ড রাসেল গঠন করেছিলেন—”কমিটি অব হানড্রেড”। রাসেলের জন্মের দু’বছর পূর্বে ১৯৬২ সালে কিউবাকে কেন্দ্র করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী ক্রুশ্চেফ-এর মধ্যে স্নায়ু ও কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছিল। যেটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই বিশ্বমানবতার প্রতীক হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল। আর তাঁরই আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বঙ্গবন্ধু তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম করন করেন রাসেল।

আল্লাহর ক্ষমার দৃষ্টান্ত:

Image
মুসা (আ:) এর সময় একবার প্রচন্ড খরা হয়েছিল। একদিন জনবসতির সবাই একত্রিত হলো আকাশের দিকে হাত উঠিয়ে প্রার্থনা করার জন্য। মুসা (আ:) এবং অন্যরা যখন প্রার্থনা করছিল তখন তারা অবাক হয়ে লক্ষ্য করল, আকাশে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত মেঘ অদৃশ্য হয়ে গেল, তাপ উধাও হয়ে গেল, এবং খরাটি আরও তীব্রতর হল। . মুসা (আ:) কে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বললেন, বনী ইসরাইলের এই গোত্রের মধ্যে একজন পাপী আছে, যে চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আল্লাহ কে অমান্য করছে। তাকে এই গোত্র থেকে আলাদা করলেই কেবল বৃষ্টি নামবে। . মুসা (আ:) তখন লোকদের ডেকে বললেন, "আমাদের মধ্যে এমন একজন ব্যক্তি আছেন যিনি চল্লিশ বছর ধরে আল্লাহর অবাধ্য আছে। সে যদি এই জনমন্ডলী থেকে আলাদা হয়ে যায় তখনই আমরা খরা থেকে মুক্তি পাব ও বৃষ্টির দেখা মেলবে। . পাপী ব্যক্তি টি তখন সেখানেই ছিল। সে অপেক্ষা করছিল, বাম ও ডান দিক তাকিয়ে আশা করছিল যে অন্য কেউ এগিয়ে যাবে, কিন্তু কেউ তা করেনি। লোকটি জানত যে, সে যদি জনমন্ডলীর মধ্যে থাকে তাহলে সবাই মারা যাবে এবং তিনি যদি অগ্রসর হয় তিনি চিরকালের জন্য অপমানিত হবেন। এ অবস্থায় সে অশ্রু বিগবিগলিত করে প্রার্থনা করল, "হে আল্লাহ! আমার ...

বাংলা সনের ইতিবৃত্ত- পলিন

Image
বাংলা সনেরইতিবৃত্ত বাংলা পঞ্জিকা হঠাৎ করে বা এমনি এমনি আসেনি। এসেছে একটি বিশেষ সমস্যার সমাধানকল্পে। দিল্লীর সম্রাট মহামতি আকবর বাংলা সনের প্রবর্তক। তখন বাংলা সনকে বলা হত ‘সন-ই-ইলাহী’ । আর যে সমস্যার কারণে বাংলা পঞ্জিকার উদ্ভব , সেটি আর কিছুই না-খাজনা আদায়ের সুবিধা। তখন দিনের হিসাব রাখার জন্য যে দুটি পদ্ধতি প্রচলিত ছিল সেগুলো হল- চান্দ্র মাস বা হিজরি সন আর সৌর বর্ষ। কিন্তুদেখা যায় যে, চান্দ্র মাস