Posts

Showing posts from December, 2021

হৃদয়ের মোহনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হৃদয়ের মোহনা  শিশির আহাম্মেদ খান  তুমি আমার হৃদয়ের মোহনায় ভালবাসার শেষ ঠিকানা, তুমি অপরূপ, তোমার নেই কোন তুলনা, তুমি আমার অনন্যা । আমি ভালবাসি তোমায় তুমি কি তা বুঝনা । সকালের নরম রোদ হয়ে চুমু দিয়ে যাব তোমার নরম গালে, তুমি কখনও থেকনা আনমনা তুমি আমার অনন্যা। ওগো প্রিয়সী তামান্না তুমি আমার প্রথম প্রেমের সীমানা ।

সুখের অসুখ - সংগ্রীহিত

Image
 সুখের অসুখ  হাসপাতালে ২জন রোগী পাশাপাশি বিছানায় থাকেন। ২জনেই মৃত্যু শয্যায়। একজন রোগী থাকতো জানালার কাছে।বিছানা থেকে উঠে বসার মতো শক্তি ছিল না কারোরই। তবুও জানালার কাছে থাকা রোগীটি নার্স কে ডেকে প্রতিদিন বিকেলে এক ঘণ্টার জন্য জানালার পাশে উঠে বসতেন। অপলক চেয়ে থাকেন তিনি বাইরের দিকে... ১ ঘণ্টা পরে পাশের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীর কাছে বাইরে কি কি দেখল তাঁর বর্ণনা করতেন। তিনি প্রতিদিন বলতেন--"বাইরে অনেক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। ছোট ছোট শিশুরা মাঠে খেলা করছে। বাচ্চারা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে পানিতে..." পাশের বিছানায় শুয়ে শুয়ে রোগীটি এইসব কল্পনা করতো। আর মনের আকাশে উড়ে বেড়াতো মেঘেদের সাথে। অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতো এসব বর্ণনা শুনে।হঠাৎ একদিন জানালার পাশে থাকা রোগীটি মারা গেলেন। পাশের বিছানার রোগীটি তখন নার্স কে অনুরোধ করলো তাকে যেন জানালার পাশের বেড এ থাকতে দেওয়া হয়।বিকেল হলো। সে আজ প্রকৃতি নিজ চোখে দেখবে। অনেক আশা নিয়ে কনুই এ ভর করে চোখ রাখলেন জানালায়... কিন্তু হায়!! সেখানে তো সাদা দেয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই!!!! নার্স কে ডাকলেন,জিজ্ঞেস করলেন--"এখানে তো দেয়াল ছাড়া ...

অতীত কথন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 অতীত কথন কবি শিশির আহাম্মেদ খান  কেমন আছো ? কে ? কে  ? কে ? আমি বলছি ,আমি ; আমি টা আবার কে ? আমি তোমার ইতি,  আমায় তুমি সহসা ভুলে গেলে ? ও , মনে রাখার কি আছে, তা কি মনে করে  উল্টো পথে উকি দিলে ? আমার উপর রেগে আছো বুঝি ? সে অধিকার তুমি দাওনি ? শুধু শুধু ছলনার মায়া জালে বন্দি করে এ হৃদয় রক্তাক্ত করেছিলে । আজও তুমি আমার উপর  অভিমান করে আছো , তুমি কি কখনও আমাকে  বুঝতে চেয়েছ , নিজ থেকে ? আজও তুমি সেই আগের মতনই  রয়ে গেছো  ! কথাটা ভুল বলনি,  তোমাকে অন্ধের মতন বিশ্বাস করতাম বলে তোমার ছলনা বুঝার চেষ্টা করিনি, আমার হাত ধরে যে কথা দিয়েছিলে সে কথা তুমি রাখনি  । অসীম সুখের বাগান পেয়ে আমার তৃণসম হৃদয় জমিনে  তাই তুমি থাকনি । আমার অগোছালো জীবনটাকে তুমি আরো অগোছালো করে দিতে একটুও তোমার মনে বাঁধেনি ! ঠিক ই বলেছ,  আমি আসলেই স্বার্থপর  ; তাই মরিচিকার সুখ পেতে ভালবাসার দিয়েছি কবর , আজ তাই নিশ্ব আমি ভেঙ্গেছে সেই ঘর ! সবই আমার কপালের লিখন,  এখন বল ,তুমি কেমন আছো  ? তুমি বিয়ে করেছো নিশ্চয়ই,  তোমার বউ দেখতে আমার থেকেও স...

স্বপ্নচারী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  স্বপ্ন  শিশির আহাম্মেদ খান। স্বপ্ন গুলো তোলা থাক মনেরী দেয়ালে  ভালবাসা থমকে যাক তুর মনের খাম খ্যায়ালে ! আদরে আদরে আমি হারাব প্রতি ক্ষণে তোর রূপের মায়া তে !  তুর ঐ চোখের সাগরে  মাতব হায় ডুব সাঁতারে  বল না কি প্রেম লুকানো  তুর ঠোঁটের মুচকি হাসিতে। তুর প্রেমে পড়ি হ্যায়  সকাল কি সন্ধ্যা- রাত্রিরে , বল না তুই কি আমায় ভালোবাসিস এক জীবনে ?

হারাম খোর জাতি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হারাম খোর জাতি  শিশির আহাম্মেদ খান গরিব কাঁদে রোদ ,বৃষ্টি, শীতে  নেয় না কেহ খোঁজ  ! কষ্ট শুধু উপর তলায় নরম বিছানার খাটে  উঁকি দিয়ে যায় রোজ রোজ  ! হারাম টাকার মহল গড়ে উদর পুরে হারাম খাবার খাচ্ছ , ওরে ফুটপাতে ঐ পড়ে থাকা  অনাহারি মানুষ গুলি কেমন আছে তার খবর কি নিচ্ছ ? পৌষের শীতে কাঁপছে ওরা গরম কাপড় চাই রে পেটের ক্ষুধা মেটে না যাদের , কোথাও একটু মাথা গোঁজা ঠাই পায়রে । কে নেবে ওদের খোঁজ  কে দিবে গরম কাপড় ! দেবার মতন কেউ নাই রে। বক্তিতায় কত কথা ,টিভি টক শোতে মরে মরুক গরিব সবে হাজার টাকার মে কাপ কিনব ঘোষ চাই ,নইলে বউ রাগ করে বাপের বাড়ি যাবে ওরে ! ছেলে মেয়ের শীতের জামা কিনতে হবে লাখ টাকা চাই রে  ! দশ বারো সেট শীতের জামা  তবু নতুন জামা চাই রে  ! উপড় তলার মানুষ গুলো কেমন যেন ভাই অনাহারির খাবার কেড়ে নিয়ে  ক্যাসিনোতে উড়ায়  !

একশত বছর পরে -শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ক্যালেন্ডারের পাতায় ২১২১ সাল। আজ থেকে ১০০ বছর পর। লেখাটি যারা পড়ছেন, আমাদের প্রত্যেকের দেহ তখন মাটির নিচে। অস্তিত্ব তখন রূহের জগতে। দেখছি আমাদের তাকদীর, আমি জান্নাতি না জাহান্নামি। ইতিমধ্যে ফেলে যাওয়া আমাদের সুন্দর বাড়িটা হয়ত অন্যদের দখলে চলে গেছে,নেক্সট প্রজন্ম ভোগ করছে, পছন্দের কাপড়গুলো ব্যকডেটেড হয়েগেছে, শখের গাড়িটি হয়ত অন্য কেউ চালাচ্ছে। আর আমাদেরকে? খুব কম জনই স্মরণে রেখেছে। কেউবা ভাবেও না। হাতে সময় নেই!যাদের জন্য সব করতে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলাম! আচ্ছা, ব্যস্ততার এই জীবনে ..  আপনার দাদার কথা কত বার আপনি স্মরণ করেন? আপনার দাদীর চেহারা কি আপনার মনে পড়ে? পৃথিবীর বুকে আজকের এই বেঁচে থাকা, যার জন্য এতো হইচই, এতো মায়া কান্না— গত হওয়া অসংখ্য প্রজন্মকে টপকে আমরা এই জীবন লাভ করেছি। তেমনিভাবে আগামীতে অসংখ্য প্রজন্মের ভিড়ে হারিয়ে যাবে এই জীবন। যত প্রজন্ম আসছে আর যাচ্ছে, দুনিয়াকে বিদায় জানাবার, দায়িত্ব-ক্ষমতা অন্যের হাতে অর্পণ করবার, কিংবা কারো ইচ্ছা অপূর্ণ রেখে যাবার পূর্বে— খুব কম জনই সময় পায় ফেলে যাওয়া জীবনটা একটু ফিরে দেখবার। বাস্তবতা হচ্ছে, এই জীবনটা আমাদের কল্পনার চেয়েও ...

কমান্ডার জিয়া - শমসের মবিন চৌধুরী

Image
 মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমান্ডার জিয়া: খুব সম্ভবত দিনটি ছিল ৭ ই এপ্রিল, কালুরঘাট ব্রীজের পাশে আমরা অবস্থান নেই। পাক আর্মি খবর পেয়ে যায় মেজর জিয়া তার বাহিনীর সাথে আছেন। যুদ্ধ কালীন পুরা সময় টি পাক আর্মির কাছে এক নাম্বার টার্গেট ছিল মেজর জিয়াউর রহমান। পারলে আটক করা অথবা হত্যা করা। তারা ভুলেনি কে রেডিওতে পুরা পাক বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। পাক আর্মি তার সমস্ত শক্তি এক করে কালুরঘাট ব্রীজ এলাকায় শেল বর্ষন শুরু করে, সাথে গুলি তো আছেই, সেদিন ওই এলাকায় আকাশের বৃষ্টির ফোটার মত পাকিস্তানী শেল বর্ষিত হচ্ছিল। সামনে, পেছনে, ডানে, বায়ে সব দিকে গুলি। আমি জিয়াউর রহমানকে বললাম, “স্যার আপনি কোন বাংকারে চলে যান।” তখন তিনি আমার দিকে ফিরে বললেন, “ If a bullet has my name written on it, it will find me whenever. I will not to inside any Bunker. That will discourage my troops, we must led by example, not Just by command” যদি একটি বুলেটের উপরে আমার নাম লেখা থাকে, তবে এটি আমাকে খুঁজে পাবে যেখানেই থাকি।আমি কোনও বাংকারের ভিতরে যাবোনা। এটা আমার সৈন্যদের নিরুৎসাহিত করবে, আমরা উদাহরণ দ্বারা পরিচালিত...

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক (বীর প্রতীক)

Image
  কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক  (বীর প্রতীক) । রাইফেল হাতে এই কিশোর মুক্তিযুদ্ধার ছবিটা কত জায়গায় কতবার যে দেখেছি তার কোনো ইয়ত্তা নেই। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে, পোস্টারে, পেস্টুনে কিংবা ক্যালেন্ডারে। যতবারই দেখেছি ততবারই মনে মনে খুব জানতে ইচ্ছে করতো তিনি কি বেঁচে আছেন? নাকি শহীদ হয়েছেন? তবে ফেসবুকের কল্যাণে জানলাম তিনি বেঁচে আছেন। তিনি হলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক(বীর প্রতীক)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উচ্চ বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল আবু সালেক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে বই খাতা পেলে সীমানা পেরিয়ে কিশোরটি চলে গেল ভারতের আগরতলায়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে লোক বাছাই চলছিল। কিন্তু আবু সালেক বয়সে ছোট হওয়াতে ওকে কেউ-ই যুদ্ধে নিতে চাইল না। বাছাইয়ে না টিকে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি। ওর কান্না দেখে বাধ্য হয়ে ওকে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিত হল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের। আগরতলা থেকে আবু সালেক নিয়ে যাওয়া হলো মেলাগড় ক্যাম্পে। তারপর বড় যোদ্ধাদের সঙ্গে কিশোর আবু সালেক শুরু করল দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ।  এমনি একদিন ওরা ভীষণ যুদ্ধ করছিল চন্দ্রপুর গ্রামে। আবু সালেক সেই যুদ্ধে ছিল বাংক...

কৈশোর-শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কৈশোর   শিশির আহাম্মেদ খান  কৈশোর পেরিয়েছি সেই কবে তবু আবার সেই দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে  করে ! মন বলে হয়ে যাই আবার দস্যি ছেলে,  প্রিয় মাঠে আবার মেতে উঠি সব বন্ধু রা মিলে । ডাংগুলি আর কানামাছি খেলার ছলে ছুটে বেড়াই সব ভুলে । ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ,ভরা পূর্ণিমার রাতে  উঠানে বসে দিদির কণ্ঠে গান শুনে হারিয়ে যেতাম ঘুম পাড়ানির দেশে। সকাল হলে বাবার ডাকে ঘুম ভাংক্ত মক্তবে যেতাম, কালেমা শিখতাম পরাণ ভরে।

ভাসানী এক বিস্ময় !

Image
  ভাসানী এক বিস্ময়  ! পরবর্তী জেনারেশন কি চিনবে! এই মহান মানুষটা কে? চীন থেকে ফিরতি পথে পাকিস্তানে নেমেছিলেন মাওলানা ভাসানী। তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন তারা। মাওলানা ভাসানীর মাথায় তালের টুপী আর পরনে ছিলো লুঙ্গি; স্টেজে উঠেছেন ভাষণ দিতে.... ভাসানীর বেশ ভূষা দেখে দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে গুনগুন মন্তব্য "ইয়ে তো মিসকিন হ্যায়"! কোরান তেলাওয়াত দিয়ে ভাসানীর বক্তব্য শুরু হতেই শ্রোতাদের কণ্ঠে আরেকটি মন্তব্য ভেসে এলো "ইয়ে তো মওলানা হ্যায়"! ভাসানীর রাজনৈতিক বক্তব্য শুরু হতেই ঐ একই দর্শক শ্রোতারা বলে উঠলেন, "আরি বাহ্ ইয়ে তো পলিটিশিয়ান হ্যায়"! ভাসানী যখন বিশ্ব পরিস্থিতি ও বিশ্ব মোড়লদের শোষণ পীড়ন নিপীড়নের কথা বলতে শুরু করলেন তখন ঐ একই দর্শক শ্রোতারাই বলে উঠলেন "হায় আল্লাহ ইয়ে তো এস্টেট ম্যান হ্যায়"! মজলুম জননেতা, উপমহাদেশের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ইতিহাসের মহানায়ক মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

মিটফোর্ড হাসপাতাল ও শায়েস্তা খান

Image
 মিটফোর্ড হাসপাতাল ও কিছু স্মৃতি শায়েস্তা খান অসম্ভব দক্ষ একজন শাসক।  তিনি যথেষ্ট যোগ্যতার সাথে রাজকার্য করে মর্যাদার সাথে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি মোঘল সম্রাট শাহজাহানের শ্যালক ও আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন। অত্যন্ত উঁচু বংশের সন্তান বলে দিল্লীর দরবারে তার ছিল অপ্রতিহত প্রভাব। ১৬৬৩ সালে তিনি সুবাহ বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন। দাক্ষিণাত্যে থাকার সময় শিবাজির পাঠানো গুপ্তচরের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে বাংলায় তিনি একবছর পরে আসেন ও সুবাহদারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আজ যেখানে মিটফোর্ড/সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, সেই এলাকায় কাটরা পাকুড়তলী নামে একটি প্রাসাদে শায়েস্তা খাঁন বসবাস করতেন। তাঁর সময় ১৬৬৬ সালে জ্যাঁ ব্যাপ্টিস্ট টেভারনিয়ার নামে একজন পর্যটক ঢাকায় আসেন। তার লেখা ডায়েরি থেকে জানা যায় যে, তিনি শায়েস্তা খাঁনের সাথে ঐ প্রাসাদেই সাক্ষাত করেন। বর্তমানে প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার কোন চিহ্ন নেই। কিন্তু ঐ সময়ের বাবুবাজার ঘাটটি আজও বর্তমান রয়েছে কালের সাক্ষী হিসেবে। শায়েস্তা খাঁন তার সুবাদারির প্রথম দিকে এখানে একটি মনোরম ছোট প্রাসাদ, নহবতখানা ইত্যাদি তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। পরে...

কাপাসিয়ার শহীদ দৌলত হোসেন খান বীর বিক্রম

Image
  কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান শহীদ দৌলত হোসেন মোল্লা বীর বিক্রম। শহীদ মো. দৌলত হোসেন মোল্লা, বীর বিক্রম নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তাঁকে। ভারতের হলদিয়া নৌবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করল মুক্তিবাহিনীর দুটি জাহাজ ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’। পলাশ জাহাজে আছেন মো. দৌলত হোসেন মোল্লা। তিনি জাহাজের ক্রুম্যান। তাঁদের লক্ষ্য, খুলনায় পাকিস্তানি নৌঘাঁটি দখল করা। মুক্তিবাহিনীর দুটি জাহাজের সঙ্গে আছে মিত্রবাহিনীরও একটি জাহাজ। খুলনার রূপসা নদীতে শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি আসামাত্র ঘটল এক আকস্মিক বিপর্যয়। এ সময় আকাশে দেখা গেল তিনটি জঙ্গি বিমান। সেগুলো জাহাজের ওপর চক্কর দিয়ে চলে গেল সাগরের দিকে। তারপর আবার এগিয়ে এল জাহাজগুলো লক্ষ্য করে। বোমা বর্ষণ করল। প্রথম ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হলো পদ্মা। পলাশের ইঞ্জিনরুমে জ্বলছে দাউ দাউ আগুন। একটু পর পলাশও ডুবতে থাকল। ডেকে শহীদ নৌমুক্তিযোদ্ধাদের লাশ পড়ে আছে। আহত যোদ্ধারা কাতরাচ্ছেন মৃত্যুযন্ত্রণায়। গুরুতর আহত মো. দৌলত হোসেন মোল্লা অনেক কষ্টে পানিতে ঝাঁপ দিলেন। এ ঘটনা ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের। জাহাজ দুটি ভারত থেকে রওনা হয় ৭ ডিসেম্বর। সেদিন দুপুরে পৌঁছে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে। মিত্রবাহিনীর বিমা...

মরিচিকার ভাবনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  মরিচিকা ভাবনা   শিশির আহাম্মেদ খান কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ  বেদনা করে ফিসফাস  নিরঘুম রাত কাটে অবাচিন দীর্ঘ শ্বাস । মিথ্যে প্রেমের আনাগোনা  দুঃখ্য তার ঠিকানা ! তুমি টা তুমি ছিলে  না আমার কল্পনা ?

ফকির মজনু শাহ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ফকির মজনু শাহ  ! শিশির আহাম্মেদ খান বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ফকির আন্দোলনের নেতা ফকির মজনু শাহ । মানুষটা ছিলেন ফকির, কিন্তু কারো কাছ থেকে কিছু নেয়া মানুষটার স্বভাবে ছিল না। হাদীসে নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন, ওপরের হাত নিচের হাতের চাইতে উত্তম। তাই তিনি কারো কাছে কিছু চাইতেন না, কঠিন পরিশ্রম করে নিজের রুযি রোজগার করতেন, বাকি সময় কাটাতেন আল্লাহর ইবাদতে। কেউ তার কাছে কিছু চাইলে ফিরিয়ে দিতেন না, কাছে যা থাকতো দিয়ে দিতেন। তার আসল নাম ছিল মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তালিব। জন্ম মেওয়াটে, সেখান থেকে মাদারিয়া তরিকায় বাইয়াত নিয়ে চলে এলেন কানপুরে। তিনি নিজের মুরশিদ ই আলা হিসেবে মানতেন ইমাম যাইনুল আবেদীন ইবন হুসাইন ইবন আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে। তাই সদকা দেয়া ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ এবং সদকা নেয়া ছিল অপ্রিয় কাজ। সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ ছিল তার সমস্ত কাজের মূলনীতি। আর এই করতে করতেই তিনি শেষমেশ লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেন ব্রিটিশ রাজের সাথে। এভাবেই, মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তালিব হয়ে গেলেন ইমামে মালাং ফকির মজনু শাহ বুরহানা। মধ্য ভারত থেকে পূর্বে বাঙ্গ, আর দ...