Posts

Showing posts from February, 2022

বাংলা ভাষার ইতি কথা

Image
 বাংলা ভাষার ইতি কথা হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিলো দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা ফতওয়া জারি করেছিলো, “যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা ‘রৌরব’ নামক নরকে যাবে।” ঐ সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী নির্যাতিত বাঙালীদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ সালে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারী নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলাজীর বাংলা বিজয়ের মাধ্যম দিয়ে সেইদিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সাথে মুক্ত হয়েছিলো বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’। ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, “মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।” অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।” মধ্যযুগে মুসলিম...

প্রস্থান- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  প্রস্থান আহা আজি সন্ধ্যা নামার পরে ফিরব যখন আপন ঘরে আপনা হতেই তোমার কথা জাগবে জাগবে আমার মনে। জোনাক পোকার ঘুম ভাঙ্গিয়ে রাখব আমার সাথে , যখন আকাশ ভেঙ্গে জ্যোন্সারা সব আসবে ধরায় নেমে । তখন আমি তোমার কথা বলব তাদের সাথে, দক্ষিণ হাওয়ায় আসবে যখন হাসনা হেনার সুভাষ ভেসে। নিরব মনের ভাষা আমি বুঝব যখন রাত্রি তখন শেষে, কাঁদবে সবাই, ভিজবে নয় নিথর হয়ে থাকব তখন তাদের পাশে ।

ইশারায় প্রেম- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ইশারায় প্রেম  শিশির আহাম্মেদ খান চলনা একটু ভিজি শ্রাবণের কোন ঝুম বৃষ্টিতে, চলনা ছুটে বেড়াই মেঠু পথে প্রান্তরে । তোমার দু হাত ধরে নতুনের আহ্বানে নতুন করে তুলব সুর পুরনো কোন গানে। আবার হাসব আমরা প্রাণ খুলে আপন মনে, আবার লিখব কবিতা ডাইরীর পাতায়, তোমার নামে । আবার গাঁথব মালা কুঁড়িয়ে শিউলী, কৃষ্ণকথা ডাকবে আবার হাসবে সোনার গোধূলি।

ঝন্টু(2) - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
#ঝন্টু গল্পের  - (পর্ব-2)  দুই ভাই ছানা দুই টা এনে পিঞ্জরের ভিতরে রেখে দিল । মন্টু খুব খুঁশি ছানা দুই টা পেয়ে ।ছানা গুলোকে চালের খুদ ভিজিয়ে খাইয়ে দিল ঝন্টু নিজ হাতে । মন্টু তা দেখল , কি করে খাইয়ে দিতে হয় । তাদের এখন খুব ব্যস্ততা । নাওয়া - খাওয়া ভুলে শুধু ছানা দুইটার সেবা-যত্ন করতে থাকল । একদিন গেল, দুই দিন গেল , ছানা গুলো বড় হতে লাগল। ও মা কি সুন্দর পালক গজাচ্ছে ছানা গুলোর গায়ে । এখন ঝন্টু আর মন্টুর অনেক ভক্ত হয়ে গেছে ছানা গুলো । ঝন্টুর মা ও মাঝে মধ্যে ছানা গুলোকে খাবার দেয় । এখন পালক গুলো অনেকটা ওঠে পড়েছে । একটু আধটু ডাক দেয় । এই ডাক শুনে ঝন্টু আর মন্টু মহা খুঁশি । তারপর একদিন দুপুরে আকাশ কালো করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হল । সারা বিকেল ঝড় বৃষ্টির পরে ও রাত অব্দি চলল । ঝন্টু - মন্টু ঘরের মধ্যে থাকল , আর ভের হল না । খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ল ওরা ঝন্টু ঘুম থেকে ওঠে বাড়ির সামনের জমিতে জমে থাকা পানিতে ব্যাঙ ডাকছে শুনে দৌড়ে গেল। ঝন্টু ত অবাক , এত বড় বড় গোলা ব্যাঙ ! দেখতে হলুদ আর সাদা আর যখন ডাকে কেমন যেন লাগে । এসব দেখে মাথার মধ্যে একটা দুষ্টুমি খেলে গেল ...

যে দিকে তাকাই - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 যে দিকে তাকাই  শিশির আহাম্মেদ খান  যে দিক পানে তাকাই  বিপদের গন্ধ শুধু পাই ! যে দিকেই যাই অন্যায় আর অবিচার খুঁজে পাই।  মানুষে মানুষে মারামারি কাটাকাটি হিংসা বিদ্বেষ চরম আকারে দেখা যায় , যে কথাই আসে ভাবনায় ভাষা শহীদদের কথা মনে পড়ে যায় । যায় সেই ৭১ এর স্বাধীনতার কথা , বাঙালির রক্তে রাঙ্গিয়ে সবুজ দুর্বা ঘাস হারিয়ে ছিল সজীবতা । তবে আজও কেন চলছে এই রক্ত পাত ? রক্ত বন্যায় ভিজে এই মাটি মিটে নাই রক্তের স্বাদ ! আজও কেন হাজারো রফিক, বরকত , রক্ত দিয়ে যায় ; আমাদের এই স্বাধীন বাংলায়  ? কেন আজও শত মায়ের বুক খালি হয়ে যায়  ? ছেলের শোকে মা শুধু অশ্রু ঝড়ায় , নিষ্ঠুর এই এই বাংলায় ! তারিখ:১৫\০১\২০০৭

পত্রমিতা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 পত্রমিতা দেখ  চারিদিকে কত কোলাহল কত প্রেম ভালবাসার উল্লাস  সূখের আনাগোনা,  শুধু শূন্যতা পরে আছে আমার এই  । পত্রমিতা আজ তোমার ঘরে কত হাজার স্বপ্নের চলাচল , শত মঙ্গল প্রদীপ তোমার ঘরে আশার আলো জ্বেলে করে ঝলমল । অন্ধকারের চোরাবালিতে হাতরে বেড়াই কে রাখে আমার খবর। তোমার আকাশের মেঘ গুলি যে সাতটি রংঙ্গে সাজে আমার আকাশ আঁধার কালো গর্জে ওঠে মেঘে। তোমার বাগানের ফুলগুলি যে ছড়ায় সৌরভী ঘ্রাণ , আমার বাগানের গাছ গুলি যে শুকিয়ে  গেল প্রাণ।