Posts

Showing posts from 2024

রক্ত গঙ্গা / শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 রক্ত গঙ্গা শিশির আহাম্মেদ খান। জুলাই মাসের ১৬ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত হাজার গুলি ছুড়ল পুলিশ! ঝড়ল কত রক্ত! সেই গুলিতে প্রাণ দিল যে আবু সাঈদ তার নাম যে, তার শোকে মিছিল হল , প্রাণ খোলা এক দম যে! প্রতিবাদ ছাত্র জনতার স্লোগান দিল আমার ভাই মরল কেন ? খুনি তুই জবাব দে ? সেই মিছিলে ও গুলি হল শহীদ কত শত যে! যায় নি জানা সেই শহীদদের হিসেব খানি গুম করেছে লাশ গুলি সে ! আকাশ বাতাস প্রকম্প্রিত লাখ গুলির শব্দে এমন হায়েনা দেখেনি জাতি বাংলাদেশের অব্দে ! কত মায়ের বুক খালি আজ, ক্ষমতায় থাকার দম্ভে মানুষ রুপি পিচাশ ওরা ,খামছে ধরেছে শহীদ মিনারের স্তম্ভে। শহীদ হল সোনার মানিক, কাঁদল তাহার মা ! আঁচল তাহার রক্তে ভেজা, চোখ দুটো অশ্রু ঝরার ঝর্ণা ! সেই শহীদে শামিল হল কত মায়ের কন্যা। সত্য আলো উদয়ের ক্ষণে বইছে দেখ কত রক্ত গঙ্গা ! তার স্রোতে ভেসে যাবে হাজার রকম অন্যায় ! সেই  ক্ষোভে পুরল শহর, জ্বলছে কত অগ্নি মশাল হাতে মিছিল ধরল ! মুগ্ধ, শাকিলের ভগ্নি। 

অজেয় তারুণ্য / শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  অজেয় তারুণ্য ! শিশির আহাম্মেদ খান। আজ রক্তাক্ত রাজ পথ আজ রক্তাক্ত ক্যাম্পাস আজ রক্তাক্ত জনপদ আজ রক্তাক্ত ক্যানভাস। আজ রক্ত জবার রং ছড়াল অধিকার আদায়ের মিছিলে, নতুন কুঁড়ির বুক ঝাঁঝরা হল স্বদেশী হায়েনার গুলিতে। নিজ দেশে পরাধীন যে জাতি গালি খায় রাজাকারের নাতি, শাসক, স্থাবক এক হয়েছে ধ্বংস করতে জাতি। হাজার জওয়ান অকাতরে দিয়ে গেল প্রাণ মুক্তির সোপান গড়তে, কামানের সম্মুখ এ, বুক পেতে দেয় যে তারুণ্য, তারা কি কভু পারে হারতে । লক্ষ্য বুলেট ছুড়তে পারে মারতে পারে লাখ, রক্ত ধুয়ে আসবে আলো আঁচল পেতে রেখ। ভয় কি মা কাঁদছ কেন  যত্ন করে আরেক টি বার, খোকা বলে ডাক! তোমার ছেলে আসবে ফিরে মা গো দুয়ার খুলে রেখ।

উপমা /শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  উপমা ! শিশির আহাম্মেদ খান। আমি তোমাকে নিয়ে আর লিখতে চাই না কোন কবিতা , কি গানের কথা, তুমিই হারিয়ে গেছ এ কথা আমি বিশ্বাস করি কি করে আমার অস্তিত্বে আছ মিশে পুরোটা জুড়ে..। পুরোনো স্মৃতি গুলো যেন নতুন লাগে বয়ে চলা স্রোত ধারারির মতন... যে ভালবাসা হারিয়ে গেছে আজও তা রেখেছি পুষে, করেছি তাকেই যতন। সময়ের কাছে হার মেনে ছিলাম সে দিন তোমাকে হারিয়েছি যখন, আজ এখানে থমকে দাঁড়াই তোমার জন্য বুকের বা পাশে তুমি আছ আগেরী মতন। দু চোখের লোনা জল শুকিয়ে গেছে হয় নাই নদী পদ্মা , মেঘনা , যমুনা.. তোমার আমার ভালবাসা গল্প,  কবিতার মাঝে বেঁচে থাক জম্ম জরমান্তরের হোক উপমা। 2/7/2024

স্মৃতির আর্তনাদ / শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 স্মৃতির আর্তনাদ।  শিশির আহাম্মেদ খান । স্মৃতির চাদর জড়িয়ে তুমি হাস অনাবিল সুখে, যন্ত্রণার কালো মেঘে ঢেকে আছে জীবন নিয়মের কোন সে অসুখে । ভাললাগা সেই বিকেলে উড়ে বেড়ানো দাউস ঘুড়ি নেই আর নীল আকাশে  চরকা কাটা চাঁদের বুড়ি। কই গেলি সব খেলার সাথী কইরে তোরা কই  ? কতদিনের লুকোচুরি, গোল্লা খেলার ক্ষণ  তোদের কথা ভেবে ভেবে কাঁদে আমার মন।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কথা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ধীরেন্দ্রনাথ দত্তর কথা কারো মনে আছে  ?  ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে আমরা ভুলে গেছি, মনে রাখিনি। ইতিহাস মুছে ফেলে বর্তমান নিয়ে মশগুল আমরা অতীত ভুলে যাচ্ছি। একদিন ইতিহাস মুখ ফিরিয়ে নেবে। সেদিন নিকট-কাছে... '' তাঁর মৃ'ত্যুর পর গায়ে থুতু দেয়ার জন্য তাঁর ম'রদেহ বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বলছি কিংবদন্তি  ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কথা যদি জিজ্ঞেস করি কে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব রাখেন? সেই ইতিহাস আমরা অনেকেই মনে রাখি নি। ইতিহাসে যিনি আড়ালেই থেকে গেলেন।  পাকিস্তান স্বাধীন হয় ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ই আগস্ট। মাত্র ছয় মাসের মাথায় করাচিতে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ খ্রীষ্টাব্দে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে যিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি তুলেন - “বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা হোক”, সেই মানুষটির নাম ‘ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’।  ধীরেন্দ্রনাথ দত্তই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলে ছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সেই দাবি পাকিস্তান পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়। তারপরই ভাষা আন্দোলনের সূচনা ঘটে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘পূর্ব পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লাখ মা...

২১ তাই কথা বলে- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ২১ তাই কথা বলে। শিশির আহাম্মেদ খান । সালাম হে বীর শহীদ ভালবাসা অবিরাম তোমাদের প্রতি তোমাদের কাছে আমরা চির ঋণি  কোন কিছুর বিনিময়ে এ ঋণ শুধ হবে না জানি। কোটি কোটি বাঙ্গালীর মনের আ’কুতি  বাংলায় বলব কথা,এ ছিল প্রাণের মিনতি। ৫২ ছিল জাগ্রত, ফেব্রুয়ারির ২১ তাই কথা বলে রফিক, বরকত, জব্বার,  শফিউল দের রক্ত স্রোতে অবাক বিস্মিত আজ বিশ্ব লোকালয়ে । মাতৃভাষা বাংলা চাই ! বাংলা চাই ! মাতৃভাষা বাংলা চাই ! আজও কানে বাজে সে স্লোগান,  নতুন দিনের প্রেরণায় প্রাণে তোলে শিহরণ  মায়ের ভাষার জন্যে ওরা দিয়ে গেল জীবন।  মাতৃভূমি, মা জননী আর মাতৃভাষার সম্মান  শত বুলেট বুকে পেতে নিতে পারে জাতি ৮ ই ফাল্গুন এই কথাই বলে, শিমুল পলাশের বনে রক্ত জবার রং  রাজপথ রঙিন হয়েছিল আমার ভাইয়ের খুনে। কোকিল, শালিক,  বউকথাকও যে ভাষায় কথা বলে যে ভাষায় রবীন্দ্রনাথ,  নজরুল,জীবন আনন্দ, আল-মাহমুদ , কবিতা লিখে! যে ভাষায় মা ডাকে খোকন সোনা বলে। সেই ত আমার মায়ের ভাষা , আমি চিনেছি তারে হাজার বছর ধরে।

হয়ত বা একদিন- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হয়ত বা এক দিন !  শিশির আহাম্মেদ খান। হয়ত বা কোন একদিন পথ ভুলে তুমি আবার সেই পথে হাঁটবে, নতুন কিছুর আলড়নে নতুন করে মাতবে। হয়ত বা সেই দিন বুনো ফুল ফুঁটবে আবার শিমুল পলাশের বনে হারানো দিনের ভালবাসা সেদিন তুমি ভুলে হাটাহাটি করবে তুমি এলো চুলে। জোড়া শালিকের দল হাঁটবে আপন মনে। কতদিনের কত স্মৃতি এই পথেই না ছিল, আজ কে কেন এমনি করে সব কিছুই অতীত হয়ে গেল! বাঁশ বাগানের পাতার ফাঁকে ইষ্টিকুটুম মিষ্টি করে ডেকে, জানিয়ে দিবে মোড়ে কত কাছে ছিল তুমি আজ কে কত দুরে।

তোদের ঘিরে আবার ফিরে - রুহুল আমিন শেখ

Image
 তোদের ঘিরে আবার ফিরে। রুহুল আমিন শেখ।  ১৯-০১-২০২৪ তোদের ঘিরে আবার ফিরে পাচ্ছি যেন নতুন করে, সেই পুরনো দিনগুলো সব যেসব গিয়েছিলো ঝরে। প্রাণ খুলে খুব হাসতে পারি বলতে পারি মনের কথা, ভুলে যাবার রসদ জুগায় পুষে রাখা দুঃখ ব্যথা। খুব ভরসা রাখতে পারি সবাই আছিস আমার সাথে, সুখে দুখে পাশাপাশি সাহস দিয়ে দিনে রাতে। এখন আমি ভাবনা বিহীন যেথায় সেথায় ছুটতে পারি, তোরার সাথে আছি বলেই শূন্যে বাঁধি আশার বাড়ি। এখন আমি নির্ভাবনায় ধরতে পারি মৃত্যু বাজি, সঙ্গে আছিস বলে তোরা লাগামছাড়া দুষ্টু পাজি। এখন আমি ইচ্ছে মতো যখন তখন সবার সাথে, গল্প কথার কল্প লোকে হৃদয় ভাসাই রম্য খাতে।

আসে যদি - রুহুল আমিন শেখ

Image
  কষ্টের পাঁচিল টপকে সুখ আসে যদি পথ ভুলে, আমিও তারে করব গ্রহণ অতি আগ্রহে প্রাণ খুলে। বাঁধা দেবো না ফুলের ঘ্রাণ নাকে যদি সুবাস ছড়ায়, খুশি মনে কেউ যদি এই হৃদয়ের হৃদয় জড়ায়। কেউ যদি পাশে দাঁড়ায় এক জীবনের আপন হয়ে, দুঃখ কষ্ট যাই আসুক আপন হয়েই যাবে রয়ে। আমি যখন নীল বেদনার গভীর থেকে গভীর তলে, একটু একটু যাচ্ছি ডুবে মৃত্যুপুরীর গহীন জলে। ঠিক তখনই হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে নেবে বুকের কাছে, নতুন করে বেঁচে থাকার সুযোগ পেলে কেনা বাঁচে?

মনে পড়ে তোমাকে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
       মনে পরে তোমার কে !                 শিশির আহাম্মেদ খান।              তুষার  স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে  আকাশ পানে চেয়ে কি যেন ভাবছে আর বির বির করছে। তুষার  :- তুমিই আমাকে ভুলে গেছ, দুঃখ্য নেই।  সুখে থাক সারাটা জীবন  শুধু এই চাওয়া টা আমার প্রতিদিন। ঐ দূরের নীল আকাশ যেমন খুব কাছের মনে হয় , তেমনি তুমি যত দূরে থাক না কেন বুকের বাম পাশে খুব যত্নে আছ । আজও সেই আগের মতোই তোমাকে ভালোবাসি,  আজও তোমার প্রিয় ফুলের ঘ্রাণ আমি নিশ্বাস নেই।  আজও আমার মুহুর্ত গুলো তোমায় নিয়ে  চিন্তায় মগ্ন থাকে নিরবে । এই বুঝি ভালবাসা , তোমার কথা ভেবে চোখের কোন জল ছল ছল করে তবুও কাঁদতে পারি না । কাউ কে বলতে পারি না তোমাকে ছাড়া আমার পৃথিবী কতটা শূন্য !