Posts

ভালবাসা মিলে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ভালবাসা মিলে !  শিশির আহাম্মেদ খান । এই শহরের  ইট পাথরের পাহাড়ের ভিড়ে, হাজার ব্যস্ততা থাকে গিড়ে কোটি কোটি টাকা উড়ে আটাকাতে সূখ মিলে। সেই শহরের অলিগলির মোড়ে কিছুটা শান্তির সন্ধানে রাস্তার দু ধারে পড়ে থাকা মানুষ  ফুটপাটের ঐ বস্তিতে। মেঘ বৃষ্টি কি রোদে পুড়ে ছেড়া কাঁথায় শীত কাটে তবু হাসি মাখা মুখে। ছেড়া জুতো শূন্য পকেটে ডাল ভাত আর শুকনো মরিচের জ্বালে,  ভালবাসা ধরা দেয় ছিন্ন মূল মানুষের কাছে ।

প্রথম প্রেম - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  প্রথম প্রেম !  শিশির আহাম্মেদ খান। তোমার ঐ চোখের ভাষা আমি বুঝে গেছি, তোমার ঐ ঠোঁটের কোণে হাসি আমি দেখে ফেলেছি। দেখে ফেলেছি... প্রথম দেখা হাসি প্রথম প্রেমের কারণ, তোমার চোখের ইশারা এ মন করেছে হরণ। স্বপ্ন যত মনের গহীনে সব তোমাকে নিয়ে, শত কবিতার ছন্দ সব তোমাকে নিয়ে। উদাস হাওয়ায় উড়ে যায় মন তোমার প্রেমের কারণে কেন এমন হয়, বল না আমায় এ কেমন প্রেমের কারণ। ঐ নীল আকাশে উড়ে মন ছুটে সবুজ প্রান্তর ছুঁয়ে, পাহাড় কি নদী সব তোমার প্রেমের যায় খয়ে। 

ভালো থেক প্রিয় - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ভালো থেক প্রিয় ! শিশির আহাম্মেদ খান ভালো থেক প্রিয় ! সময় অসময়ে  সুখ গুলো সব নিজের করে নিয় । নীল আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে হৃদয় , আমার ভালোবাসা নিয়। বুকে চাঁপা অভিমান মন ভাঙ্গা সেই পিছু টান, যন্ত্রণা সব আমার করে দিও। কৃষ্ণচূঁড়া ফোঁটুক  তোমার  ঠোঁটে খোঁপায় থাকুক শিউলি বেলী , আমার পথে বিরান সবই পড়ে আছে শুধু ধুলি। একাকী পথিক আমি আত্ম-চিৎকার দিয়ে বলি ভালো থেক প্রিয় ।

তোমার ভালোবাসা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোমার ভালবাসা!  শিশির আহাম্মেদ খান । মেঘলা দিনে আপনা হতে  ঘরের কোণে বসে থাকি সারা দিনের কাজ ভুলেছি  নাই কোন নাই তাড়া । ঘরের কোণে হাত রেখে হাতে চাইছে এ মন তোমার প্রেমের ইশারা। আশার আলো ফুঁটাব দু জনে হব না আজ ঘর ছাড়া। উষ্ণ ছোঁয়া ছড়িয়ে প্রাণে জাগাব সকল আশা, বৃষ্টির জলে ভিজব দুজন রংঙ্গী হবে তোমার আমার ভালবাসা।

খেঁজুর বিচি - সংগ্রীহিত

Image
  " তুমি আমার জন্য খেজুর এনেছো কিন্তু এগুলোর বীচি ফেলো নি ! " . এটা একটি বিখ্যাত আরবী প্রবাদ, কিন্তু এই প্রবাদটির উৎপত্তি কীভাবে হয়? আর কিভাবেই বা এটি বিখ্যাত হয়ে উঠে? . উমার বিন খাত্তাব ( রাঃ ) কে কেউ একজন জানালো যে, আবু বকর ( রাঃ ) ফজরের সালাত শেষ করে মদীনার সীমানার দিকে যান; একটা ছোটো বাড়িতে বেশ কিছু সময় কাটান; তারপর নিজের ঘরে ফিরে আসেন। . আবু বকর ( রাঃ ) কী করতেন না করতেন তার সব খবরই উমার ( রাঃ ) রাখতেন; শুধুমাত্র এই বাড়িতে কী হতো- তা তাঁর অগোচরে ছিলো। . দিন যায়, কিন্তু খলীফা আবু বকর ( রাঃ ) এর ঐ বাড়িতে গমন বন্ধ হয় না। উমার ( রাঃ ) সিদ্ধান্ত নিলেন- ফজরের পর আবু বকর ( রাঃ ) ঐ বাড়িতে গিয়ে কী করেন, তা তিনি নিজের চোখে একবার দেখে আসবেন। . উমার ( রাঃ ) ঐ ঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন- ওখানে একজন বৃদ্ধা বাস করেন। বৃদ্ধার কেউ নেই, তারউপর বৃদ্ধা অন্ধ। . উমার ( রাঃ ) অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হলেন। বৃদ্ধার সাথে আবু বকরের কী সম্পর্ক- তা জানার জন্য তিনি আগ্রহী হয়ে উঠলেন। উমার ( রাঃ ) বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলেন, . " এই লোক আপনার বাড়িতে প্রতিদিন কী জন্য আসে? " . বৃদ্ধা জবাব দিলেন, . " আ...

বসন্ত - মালিহা খানম দীবা

Image
 বসন্ত ! মালিহা খানম দীবা । চারিদিকে কোকিলের মধুর কন্ঠে কুহু কুহু গান, পলাশ,শিমুল ফুল ফুটে ছড়ায় মিষ্টি ঘ্রাণ। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমণির সুর পাখপাখালিরা সব ডেকে উঠছে কাছে কিংবা দূর। হঠাৎ মেঘলা আকাশ,হঠাৎ নামে বৃষ্টি আঁধারে চাদের আলোয় একরাশ মুগ্ধতার সৃষ্টি। চারিদিকে বইছে বাতাস,হঠাৎ আকাশে সৃষ্ট বাজ আগমন হলো প্রকৃতিতে বসন্ত ঋতুরাজ। হঠাৎ সব মেঘ কেটে মেঘমুক্ত আকাশ পড়ন্ত বিকেলে বাসন্তি ফুলের সুবাস। `বসন্ত এসে গেছে'গান সবে চারিদিকে রটে সব গাছের পাতা ঝড়ে পত্রবৃষ্টি ঘটে। বসন্ত মানে একরাশ মুগ্ধতাতে ঘেরা বসন্ত মানে নতুন ছন্দে মনকে রাঙাতে সেরা। বসন্ত মানে গাছে গজানো সবুজ নতুন পাতা বসন্ত মুক্ত করুক সকলের সব বিষন্নতা। বসন্তের চারিদিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা প্রকৃতিতে তাই ঋতুরাজ বসন্তই সবসেরা।

জীবন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
           জীবন ! কবি শিশির আহাম্মেদ খান। জীবন নামের সোনার হরিণ আপন তালে ছুটছে, স্বর্গ সবে হাতের মুঠোয় নিত্য আশায় পুড়ছে। সুখের লাগি ছুটছে যে সেই কি আর থামছে, বয়স নামের ঘুরনি পাকে হিসেব করে রাখছে। কখন জানি থামবে হরিণ লাগাম টেনে ধরবে, জীবন নামের হরিণ টা কে মরণ নামে ডাকবে । সোনার দেহ  মাটির বুকে করবে আলিঙ্গন, এই পৃথিবীর সব ই রবে আমি আবার ছিলাম কখন  ? নাম - দাম, ধন -সম্পদ থাকল পরে আমার নাই কোন চিহ্ন! শূন্য হতে আমি'র জম্ম মরণ করে আমায় নিশ্চিহ্ন  !

কবিতার মত চোখ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
      কবিতার মত চোখ ! শিশির আহাম্মেদ খান।  26/1/23 কবিতার মত তার দু'চোখ যেন কিছু বলতে চায় ! যে দৃষ্টিতে হাতছানি দেয় বলে শুধু কাছে আসস্তে। রাঙা ঠোঁটের কার্নিসে শুধু ভালবাসা পেতে চায়, হৃদয় ছোঁয়া হাসি দিয়ে অবুঝ মন চুরি করেছে হায়। দখিনা বাতাসে এলো চুল উড়ে মন চুরি হয়ে গেছে কোন মনের ভুলে......

আল্লাহু আকবার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 "আল্লাহু আকবার  " এই তাকবীর ধ্বনি র পাওয়ার যে কত ব্যাপক তা অনুধাবন করার জ্ঞান মানুষের মাঝে নাই।  "আল্লাহু আকবার" তাকবীর রাসূল (সঃ) এর অন্যতম সুন্নাত।  এই তাকবীর দারা একজন মুসলমান এর ঘুমন্ত ঈমান জাগ্রত হয়। হৃদয়ে প্রশান্তি আসে । কঠিন বিপদ আল্লাহ সহজ করে দেন। অন্য দিকে কাফের,  মুনাফিক দের অন্তরে কম্পন সৃষ্টি করে দেয় । ওদের অন্তর সমূহ ভিত হয়ে পরে। # এখন আসি আল্লামা মামুনুল হক (হাফিঃ) এর ডান্ডা বেরি পড়া অবস্থায় কোর্ট চত্বরে একা বন্দি অবস্থায় তাকবীর দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন  ? একজন আলেম হিসেব এ উনি খুব ভালো করেই জানেন,  বান্দা যত পেরেশানির মধ্যেই থাকুক, যত ভয়ংকর বিপদের মধ্যেই থাকুক।একবার আল্লাহ কে ডাকলে আল্লাহ অবশ্যই সারা দেন। রাসূল (সঃ) যখন প্রকাশ্য ইসলাম প্রচার করতে পারছিলেন না। তখন গোপনে পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে তাকবীর দিয়ে আসতেন।  সাহাবী গণ যখন জিজ্ঞেস করলেন এমনটা করার কারণ ? নবী (সঃ) বলেন,  আমি পাহাড়ের চূড়ায় তাকবীর দেওয়ার মাধ্যমে মক্কার বাতাসে আল্লাহর নাম ছড়িয়ে দেই । এতে যখন কাফের গণ নিশ্বাস নিবে , নিশ্বাস এর সাথে আল্লাহর দাওয়াত পৌঁ...

তোমার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোমাকে ! শিশির আহাম্মেদ খান। তোমাকে নিয়ে আমি স্বপ্নে বিভোর, সাজানো বাসর আজ শুধু তোমাকে গিড়ে তোমাকে গিড়ে রাঙ্গানো ভোর ঝরা শিউলি, শিশিরে করে মাখামাখি। তোমাকে ছুঁয়ে যায় সকালের মিষ্টি নরম রোদ জ্যোৎন্সা মাখা চাঁদ দেয় হাসি তোমাকে দেখে, তোমাকে দেখে রাতের আকাশে আজ তারার মেলা; তোমাকে নিয়ে রাত জেগে থেকে হয় ভালবাসার গল্প বলা। তোমাকে ভেবে আজ আমি পাগল পাড়া কিছুতেইবাঁচতে পারব না আমি তোমাকে ছাড়া!  তোমাকে ছাড়া ভালবাসা বিষাদ সিন্ধু  আকাশটাও নীল ছে রংঙ্গের ছায়া।

কবিতার মত চোখ- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
      কবিতার মত চোখ !  শিশির আহাম্মেদ খান । কবিতার মত তার দু'চোখ যেন কিছু বলতে চায় ! যে দৃষ্টিতে হাতছানি দেয় বলে শুধু কাছে আসস্তে। রাঙা ঠোঁটের কার্নিসে শুধু ভালবাসা পেতে চায়, হৃদয় ছোঁয়া হাসি দিয়ে অবুঝ মন চুরি করেছে হায়। দখিনা বাতাসে এলো চুল উড়ে মন চুরি হয়ে গেছে কোন মনের ভুলে......

প্রস্থান - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 প্রস্থান! শিশির আহাম্মেদ খান।  ছেড়ে যেতে হবে এ ভুবন  কোন এক দিবসে, কাঁদবে সবাই  হাসব আমি নিরবে । আমি আবার জম্মনিব  বিধাতার আহ্বানে  হয়ত বা এ পৃথিবীতে নয়  অন্য কোন গ্রহে !

অতীতের স্মৃতি - বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ গণী

Image
অতীতের স্মৃতি ! বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ গনি। অতীতের স্মৃতি কাউকে কাঁদায়, আবার কাউকে হাসায়। অতীতের স্মৃতিগুলো,  ভেসে বেড়ায় চোখের পর্দায়। কখনো ভাবি সে সোনালী অতীত, যদি ফিরে পাওয়া যায়। ঘুরে বেড়াতাম নদীর কিনারায়। ডাংগুলি খেলতাম বালুর চরে, আনন্দে মেতে উঠতাম মাছ ধরে। শীতলক্ষার কাছকি, চাপিলা, চিংড়িরুই বোয়াল ,চিতল মাছ, পাওয়া যেত বারো মাস। আজ নদী শুকিয়ে হয়েছে ভরাট, নদীর দুই তীরে ফসলের মাঠ। কালবৈশাখীর ঝড়ে, নদীর পানি উঠে যেত উপরে। কখনো বর্ষার জোয়ারে, ফসল তলিয়ে যেত নদীর দু'ধারে। আজ নদীর রুপ যৌবন, সব গেছে হারিয়ে। এক সময় গাংচিল উড়তো বালুচরে, কার্তিক মাসে পঁচা মাছ খেত ধরে। তখন ছিল সুখ ছিলাম স্বপ্নের নীড়ে,  সম্পদ বেড়েছে আজ সুখ গেছে হারিয়ে।

সোনার শৈশব - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 সোনার শৈশব , #কবি শিশির আহাম্মেদ খান । হায় সোনার শৈশব  বন্দি এখন রূপোলি খাঁচায়  এদিক সেদিক গুড়ে -ফিরে মন সেদিন দিনটারে খুঁজে বেড়ায় । কত সাধের খেলনা পাতি কাদা মাটির  ঘর, পুতুল খেলার ছলে নব বধূ  হত সে  আমি হতাম বর। কত দিনের লুকোচুরি কত ঘরের কোণে, কত পাখির বাসা ভেঙে  উল্লাস করেছিলাম মোরা দুই জনে। এত বছর পরেও এসব স্মৃতি  বুকের মাঝে ঢেউ খেলে যায় , কোন সে গোপন প্রেমের টানে ছোট্ট বেলার বন্ধু তুকে খুঁজি আনমনে ।

পরবাস - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 পরবাস  ! কবি শিশির আহাম্মেদ খান।  ১৮\০১\২০২১ তোমার স্পর্শ আজও আমায় ছুঁয়ে যায় প্রভাতীর আলো ফুটার ক্ষণে, শিশির ভেজা ঘাসের ডগায়  মুক্তা রাঙ্গা হাসির ছলে। তোমার ঐ মায়া মায়া চাহনি ভাসে শান্ত নদীর সচ্ছ জলে , সাত রাঙা রংধনু ভেসে ওঠে তোমার ঐ কপোলে।  যা দেখে আমি পাগল হই, আমি পাগল হই, হারাই তোমার প্রেমের অতলে,  ভালবাসি আমি তোমাকে ভালবাসি এ কথা তুমি আমায় শিখালে । সব কিছুই শুধুই স্বপ্ন মনে হয় কেন স্বপ্ন মনে হয় ? কুয়াশার ঝাঁপসা আলোয় ফিশ ফিশ করে কারা যেন কথা কয় ! নরম হাতে এখনও মেহেদীর রং রক্ত জবার মত মনে হয় , গোলাপের পাপরি নাড়িয়ে সে ভালবাসার কথা কয়। আধাপাকা দিঘল চুলের খোঁপায়  একটা জঙ্গলী ফুল গোঁজে , কাজল মাখা নয়ন তারায়  আনমনা হয়ে আমায় বুঝি খোঁজে ?

অভ্র - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  লাজুক ঠোঁটের মিষ্টি হাসি বেজায় ভালবাসি, তার মায়া মায়া চোখের তারায়  স্বপ্ন রাশি রাশি । এই গায়ের ই  দস্যি ছেলে অভ্র  নামে ডাকি, সকল সূখের আবির মেখে শুভ্র মেঘে ঢাকি।  # কবি শিশির আহাম্মেদ খান।

মেয়ে - রুহুল আমিন শেখ

Image
 মেয়ে  , রুহুল আমিন শেখ।  মেয়ে তুমি মহাশূন্য চেনো শুধু শূন্যতা বুঝনা, মেয়ে তুমি ভালোবাসা বুঝ ষ তবে প্রেমিক খুঁজো না। মেয়ে তুমি হাসতে জানো  একটু হাসাতে জানো না, নিয়ে তুমি সুখী বুঝলেও কেনো দুঃখ বুঝনা? মেয়ে তুমি বিরহ চাওনা তবুও বিরহ দাও, সুখের বিপরীতে কেন যে তুমি দুঃখ ঢেলে যাও? মেয়ে তুমি একাকি থাকো না একলা রাখতে জানো, বিশ্বাসের ঘরে তুমুল বেগে বিষাদে ঝড় হানো।

ওয়াহাবী কারা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ওয়াহাবী কারা  ? শিশির আহাম্মেদ খান।  ১। ওয়াহাবী কারা  ? ওয়াহাবী বলতে কি বুঝায়  ? Muhammad ibn ʿAbd al-Wahhab (আরবি: محمد بن عبد الوهاب‎‎;বাংলায়: মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব) (জন্ম ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে, মৃত্যু ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে) একজন ইসলামিক সালাফি পণ্ডিত এবং ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।তাঁর জন্ম নজদ প্রদেশে (বর্তমান রিয়াদ)।মূলত তাঁর নামানুসারে এই আন্দোলনের নাম হয়েছে। এটি ছিল মূলত বিভিন্ন শিরক,  বিদায়াত  বিরোধী আন্দোলন।   ২। ওয়াহাবী আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ছিল  ? ওয়াহাবী আন্দোলন (আরবীঃ وهابية ওয়াহাবিয়াহ) হচ্ছে একটি ধর্মীয় আন্দোলন । এটি ইসলামের একটি অতি বিশুদ্ধবাদী শাখাগোষ্ঠী। যা অর্থোডক্স, ধর্মের দিক থেকে অতিচরমপন্থী বা বিশুদ্ধবাদীতার দিকে নিয়ে যায়।একেশ্বরবাদীর উপাসনার জন্য ইসলামী পূনর্জাগরণ হয় এই আন্দোলনের মাধ্যমে।অনেকের মতে এটি একটি চরমপন্থী আন্দোলন বলে পরিচিত করেন। ইবনে তাইমিয়া এবং আহমাদ ইবনে হানবাল এর শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে এই মতবাদে বিশ্বাসীরা ইসলামের মূলধারা থেকে বিচ্যুতদেরকে কোরআন ও হাদিসের বর্ণিত পথে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ...

হয়ত বা শত সুখ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হয়ত বা শত সুখ ! শিশির আহাম্মেদ খান। হয়ত বা শত সুখের ভিড়ে আমাকেই মনে পরছে তোমার, হাজার স্বপ্নের মাঝে আমার মলিন মুখখানি ভেসে উঠে বারে বার। সেই চেনা পথের রাঙা ধুলি লাজুক প্রেমের গল্প গুলি, জোড়া শালিক দেখার শুভ ক্ষণে তোমার আমার দেখা হয়ে যাওয়ার মুহুর্ত গুলি। হয়ত বা  জ্যোন্সা রাতে হিমেল হাওয়া এসে তোমায় ছুঁয়ে যায় আগেরী মতন রাঙা ঠোঁটের পরেছে বুঝি রুক্ষ আবরণ কোন কারণে কি হয়েছে এমন ? লক্ষ্য কোটি টাকার পাহাড়ে খুঁজে ছিলে তুমি ভালবাসা সাজালে তুমি যে ভুবন  ! আজ কেন এত আনমনা হয়েছে তোমার জীবন  ? তোমায় নিয়ে গল্প , কবিতা লিখেছিলাম কত করে চাপা পরে আছে সব স্মৃতির চাদর মুড়ে ! বকুলের সেই মালা টা তেমনি আছে শুধু তার গন্ধ গেছে হারিয়ে !

রোদ্দুর - সাদিয়া আফরিন

Image
  সেই মেঘবালিকার গল্প হোক শহরজুড়ে বৃষ্টি হোক রোদ্দুর হোক আজ শুধুই তার ডাকনাম পাতাভরা শব্দ টুকরোরা কালবৈশাখীর মতো মুখচোরা সব ভিজে যাক, শুধু বেঁচে থাক অভিমান

ব্যস্ততার অজুহাত - রুহুল আমিন শেখ

Image
  ব্যস্ততার অজুহাতে ফেলে রেখেছি কাজ, জানি কি গো সব ব্যস্ততার ইতি হবে আজ? অলস বসেও ব্যস্ততা দেখাই জীবন ঘিরে কত, ব্যস্ততা মানেই আসল জীবন ক'জন অবগত? ব্যস্ততা ঘিরে সুস্থ জীবন আলস্য চরম ব্যাধি, সময়ের মূল্য দিয়ে চলো সব আলস্য রোধি। অজুহাত নয় সত্যিকারে সময় মেনে চলি, মানতে বাধ্য হতেই হবে যদি মুখে বলি।

কখনও যদি মনে কর ! - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কখনও যদি মনে কর !  শিশির আহাম্মেদ খান । একটা বাঁকা জাম গাছের নিচে দাড়িয়ে আছে শ্রাবণ । অনেক পুরোনো এই জামগাছ টা ! এখনও দিব্যি সেই আগের মতোই কোমর বাঁকা করে দাঁড়িয়ে আছে অবিচল। এই গাছের নিচে আজ থেকে 20 বছর পূর্বে বর্ষা হাত ধরে বলে ছিল জীবনের কত শত স্বপ্নের কথা ।যা কিনা আজ বিষাদ রাঙা এক  যন্ত্রণার ইতিকথা। আজ এত বছর পরেও সেই স্মৃতি বুকে আগলে বেঁচে আছে শ্রাবণ। এখনও সেই দিন গুলোর হাতছানি দিয়ে যায় প্রতি মুহুর্তে। কিন্ত কেন এমন হল  ? কি ভুল  ছিল শ্রাবণের ভালবাসায়,  যার জন্য 20 টি বছর কারো পথ চেয়ে কাটিয়ে দিতে হল । কি আপরাধ ছিল তার  ? কেন ই বা ভাঙ্গনের ঝড়ে সব হয়ে গেল এলোমেলো !

বন্ধু - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 বন্ধু  ! শিশির আহাম্মেদ খান। তোর চোখে স্বপ্ন মাখা ঠোঁটে কার্নিসে প্রেম রাঙা  ছুঁয়ে যাওয়া সূখ  চমকে আছে প্রাণে । তুই ছিলি অতীতে আমার বন্ধু  বর্তমানে তুই আছিস মনে ভবিষ্যতে থাকবি জেনে রাখিস  বন্ধু বলছি আমি তুকে । হাজার গানের সূর গুলো বাজুক  তোর কানে ! জনম ভরে ভাসব ভালো  খুব গোপনে ! ভাবনার মিনারে ফুল ছিটিয়ে শত প্রদীপ জ্বেলে,  করব স্বরণ তোর জন্মদিন এলে  আজও আমি দাঁড়িয়ে একা অতীত স্মৃতির ভীড়ে ।

একটু শান্তির আশা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 যখনই খুব মন খারাপ হয় , হতাশা এসে ভিড় জমায় জীবনের অ-বেলায় ...... তখনই খোলা মাঠে  খোলা আকাশের নীচে  ছুটে যাই ,একটু শান্তির আশায় !  সকল দুঃখ্য উড়িয়ে দিয়ে  ঐ দূরের আকাশ সীমায় আমার মাঝে আমি কে ,যে খুঁজে পায়  ।

কিলিয়ান এমবাপ্পে - রুহুল আমিন শেখ

Image
 কিলিয়ান এমবাপ্পে _"_"_"_"_"_"_"_"_"_ পরাজিত ওই ফরাসি দুর্গে অপরাজেয় ধামাল ছেলে, ভালোবাসার আবেশ মাখানো নৈপুর দিয়ে খেলে। বিশ্ব শ্রেষ্ঠ আর্জেন্টিনা  অনুস্বীকার্য হয়ে আছে, ফ্রান্স নয় এমবাপ্পে তুমি একাই রয়েছো কাছে। অতিমানবীয় হয়তো কিছু তোমার মাঝে লুকিয়ে, সিংহের মতো একাই লড়ে দিচ্ছিলে সব চুকিয়ে। ভাগ্য ছিল না সহায় তোমার তাই তিক্ত পরাজয়, তোমার জন্য আগামি থাকলেও হয়ে তুমি ময়।

অধিকার- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 অধিকার! শিশির আহাম্মেদ খান।  বিনম্র শ্রদ্ধা , ভালবাসা অবিরাম , তার অধিকার আদায়ে চলছে আজও আমাদের মুক্তির সংগ্রাম  ! রক্ত গঙ্গায় স্নান করেছে এ জাতি বহুবার জীবনের বিনিময়ে চেয়েছে ভোট ভাতের অধিকার !

মুক্তিযুদ্ধের গল্প

Image
 তখন ১৯৬৯ সাল। এই বাচ্চা ছেলেটার নাম আদৌ জানা যায়নি। ঢাকায় প্রতিটি রাজপথে মিছিল চলছে। হঠাৎ এই ছোট্ট নাবালক শিশু মিছিলের সামনে চলে আসে, ওকে সামনে রেখেই মিছিল আগাতেই থাকে। এক সাংবাদিক এই ছবিটা তোলার পর ২য় ছবি তোলার জন্য রিল টানতে গিয়ে হঠাৎ বিকট গু/লি/র শব্দ হয় তারপর তাকিয়ে দেখে ছেলেটার বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছে মিলিটারিরা। বাচ্চা ছেলেটার ২য় ছবি আর তোলা হয়নি। (সুত্রঃ রাশিদ তালুকদার, তৎকালীন ফটোসাংবাদিক) '৩০ লক্ষ' শহীদদের মধ্যে একটি মাত্র 'গল্প' এইটি। স্বাধীনতার ওজন বুঝতে হবে। শুধু নামমাত্র গদ্য রচনা করলেই হবেনা। আসুন এই বিজয়ের মাসে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এদেরকে স্বরন করি।

হৃদয়ের উঠোন - রুহুল আমিন শেখ

Image
  কুয়াশাচ্ছন্ন হৃদয়ে উঠোন হতাশা তাই ঝাপসা করে রাখে, কে বলবে এখানেই কোমল মায়ায় বড় একটা হৃদয় থাকে? মুখের হাসি উবে গেছে উদাস দৃষ্ট দূরের গগন পানে, নেই তো জানা কোন কারণে ওখানে দৃষ্টি হারায় কিসের টানে! একলা থাকলে বিষন্ন লাগে জনসমাগমে বিতৃষ্ণা লাগে আরো, জানিনা তো কেন এমন হয় বলো যদি বা কেউ বলতে পারো। নির্ঘুম চোখ কি যে খুঁজে কি যেনো খুঁজে তৃষ্ণায় ভরা মন, শুধু হতাশা বাড়তে থাকে দিনকে দিন জীবনে সারাক্ষণ।

শেষ থেকেই শুরু - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  শেষ থেকেই শুরু ! শিশির আহাম্মেদ খান। ভুলে গেছি বললেই কি ভুলে থাকা যায় , সব শেষ বললেই কি স্মৃতি মুছাঁ যায়  ? শত আঘাতে হৃদয় ভাঙ্গলে ও রয়ে যায় তার চিহ্ন, হাজার যন্ত্রণায় জ্বলে ও থাকে মন তার মায়ায় মগ্ন। শত কবির কাব্যে যার বিচরণ আমার দু' চোখে দেখি তার স্বপণ, কারণে অকারণে সেই ত আমার প্রিয়জন আমি ভালবাসি তাকে সারাটা জনম । সুখে আছি বললেই কি সুখী হওয়া যায় , প্রিয় কিছু মুহূর্ত হাতছানি দিয়ে ডাকে আমায় । জমা আছে যত অভিমান দু পায়ে দলে আগামীর পথে, মিলবো দু জন এক মোহনায় দুঃখ্য সুখের ভেলায়। 12/12/22

জীবনের দৈর্ঘ্য - রুহুল আমিন শেখ

Image
  জীবনের দৈর্ঘ্য খুবই ছোট ভোরের ফোটা ফুলের মতো, কিংবা ধরো ভোরের শিশির ঝরার পরেই শুকিয়ে মৃত। বাড়ে বয়স কমে আয়ু দৈর্ঘ্যে প্রস্থে সমান তালে, স্বপ্ন আশার জীবন তরী সুখের পানি পায়না হালে। নিত্যদিনের চিত্ত ভরা বিত্ত ধনের আহাজারি, বাঁচতে শেখায় কতরকম  আশায় জীবন স্বপ্নচারী।

কৈশোর - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 কৈশোর ! #কবি শিশির আহাম্মেদ খান । কৈশোর পেরিয়েছি সেই কবে তবু আবার সেই দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে  করে ! মন বলে হয়ে যাই আবার দস্যি ছেলে,  প্রিয় মাঠে আবার মেতে উঠি সব বন্ধু রা মিলে । ডাংগুলি আর কানামাছি খেলার ছলে ছুটে বেড়াই সব ভুলে । ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ,ভরা পূর্ণিমার রাতে  উঠানে বসে দিদির কণ্ঠে গান শুনে হারিয়ে যেতাম ঘুম পাড়ানির দেশে। সকাল হলে বাবার ডাকে ঘুম ভাংক্ত মক্তবে যেতাম, কালেমা শিখতাম পরাণ ভরে।

সাদা কালো - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 সাদা - কালো ! শিশির আহাম্মেদ খান।  আমার সাদা-কালো পৃথিবীতে  তোমার রঙ্গিন জীবনে স্পর্শ চাই - কোন এক পৌঁষের রাতে  কুয়াশার চাদর ভেদ করে তোমার বুকে মাথা রেখে  আবেগী উষ্ণ ছোঁয়ায় ঘুমোতে চাই- আমি রাগে, অনু-রাগে জীবনের কোলাহলে  তোমাকে সঙ্গী করতে চাই !

কাতার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কাতার শিশির আহাম্মেদ খান কাতার এখন কাতার ধরে খেলছে  সবাই ফুটবল, কেউ জিতে উল্লাস করে কাঁদে কেউ মাঠে হেরে । হার জিৎ খেলার মাঝে চলছে যখন হইচই, গ্যালারির দর্শক বলছে চেঁচিয়ে আমার কাপটা কই  ? বিশ্বকাপের আসর জুড়ে মাতল সারা বিশ্ব, কে জিতল কে জিতল জিতল ফুটবল,  জিতল কাতার, মাতল সারা বিশ্ব। 

এই তো সেদিন - রুহুল আমিন শেখ

Image
 ____এই তো সেদিন____ """"""""""""""//\\""""""""""""""         রুহুল আমিন শেখ এইতো সেদিন প্রথম যেদিন দেখা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে করেছ পণ, আমার জন্য মৃত্যুকেও তুচ্ছ জ্ঞানে হাসিমুখেই করতে পারো বরন। যেকোনো মূল্যে প্রতিদিন‌ই দেখা গল্পগুজব চোখে চোখ রাখা, গল্পে গল্পে বেখেয়ালে যেত সময় তবু স্থির পাশাপাশি বসে থাকা। আস্তে আস্তে সম্পর্ক পুরনো হলো দেখো সাক্ষাৎ আকাঙ্ক্ষা গেল কমে, ভালোবাসার ধূমায়িত  রসায়ন প্রস্তর কিংবা পাথর হলো জমে। জীবন দেয়া সে তো দূরের ব্যাপার সময় দিতেও তালবাহানা কত, গাঢ় সম্পর্কটা হলো ঢিলেঢালা দেখা সাক্ষাৎ হয় না আগের মতো। সময়ের সাথে বদলে যায় সব মানুষ মন সম্পর্ক যত আছে, সব হারিয়েও দিব্যি বাঁচে মানুষ মুখোশ খুলে পরিচয় ভাসে পাছে। এইতো সেদিন নিজেকে আড়াল করে পাশ কাটিয়ে নির্দ্বিধায় চলে গেলে, অবাক বিস্ময়ের চেয়ে ছিলাম তোমার দিকে অপলক আঁখি মেলে। হয়তো তখন আবেগে অন্ধ হয়ে সব প্রতীজ্ঞা নিজের অজান্তে করে, বাস্তবতায় যেই না ফিরে এলে পালিয়ে বাঁচ...

তবু তার অপেক্ষায় - রুহুল আমিন শেখ

Image
 তবু তার অপেক্ষায় ____//----রুহুল আমিন শেখ--- ০৯-১১-২০২২ চোখের জলে লিখে যাচ্ছি নীল বেদনার কাব্য, মরা গাঙ বর্ষা এলেই হয় যেমন নাব্য। মনের আশা ফিরে আসায় লটকে গেছে বুঝি, সঞ্চিত সুখ তোর ফেরাতে হয়ে উঠবে পুঁজি। চোখের জল ফুরায় যদি কাঁদবো কেমন করে, শুষ্ক চোখে কখনো কি নোনতা জল ঝরে। তোর কাছেই রেখেছিলাম সুখের চাবিকাঠি, তুই হারাতেই সুখ হারানো জীবন হলো মাটি। জাগিয়ে আশা সর্বনাশা ঢেলে দিলি বুকে, বারা ভাতে ছাই ছিটিয়ে ব্যথা ঢাললি সুখে। সাগর যেমন কান্না পেলে জাগিয়ে তুলে ঢেউ, তেমনি মন উথাল পাতাল দেখলো নাত কেউ। ফুলের কুঁড়ি দিয়ে গেলি যত্নে রাখি তারে, তোর হারানোর কারন তো সে খুঁজছে বারে বারে। তাকে রেখে পথটা বেঁকে গেলে ভিন্ন পথে, সামান্য সুখ কতটা শোক হানছে কষ্ট ক্ষতে। অবুঝ ছেলে তোকে পেলে কতই হতো সুখী, দুটি মনে ক্ষণে ক্ষণে জাগিস পোড়ামুখী। চোখের জলে কষ্ট দলে জমছে হাহাকার, ভালোই আসিস কারো বুকে কতই চমৎকার।

আবার দেখা হবে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আবার দেখা হবে এ দেখা শেষ দেখা নয়, আবার কথা হবে  এ কথা ই শেষ কথা নয় । বন্ধু অভিমান রাখ যত হৃদয়ে পুষে ভালবাসার রং দিয়ে সব দিব মুছে , ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন ছিল যত আবার  সাজাব  নতুন করে । প্রণয়ের সেই ক্ষণ আজ ভেসে ওঠে সোনা ঝরা সকালের রোদ হয়ে .....

জীবনের অবসান - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  জীবনের অবসান । শিশির আহাম্মেদ খান।  এই দূর দিগন্তের বেলায় আলো ছায়ার খেলায়, মন ছুটে চলে ! মন হারানোর মেলায় । কবিতার বই হাতে এলো চুলে কিশোরী, ছুটে চলে দিক দিগন্তে ! আলতা রাঙ্গা পায়ে । শিশিরের আলিঙ্গন ষোড়শীর নগ্ন পায়ে, উন্মুক্ত হিমেল আবেদন উত্তরী সমীরণে। চাওয়া পাওয়ার হিসেবে লাভ ক্ষতির খতিয়ান, সন্ধ্যার আধাঁর নামুক হোক জীবনের অবসান। 28- 10- 2022

কখনও যদি মনে কর- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কখনও যদি মনে কর ! শিশির আহাম্মেদ খান। জীবনের গল্প টা যদি লিখতে পারতাম,  তবে দশটা উপন্যাস হয়ে যেত।  মাঝ বয়সে এসে ও একাকীত্ব এর সাথে বসবাস করা কি যে যন্ত্রণার  তা বলে শেষ করা যাবে না। ছোট্ট বেলায় আমার দস্যি পণার জন্য পরিবারের সবাই বিরক্ত ছিল। মা ভাই বোন সবাই চিন্তা করত আমাকে নিয়ে । মা বলত দেখ শাওন এত দুষ্টুমি করলে জীবনে মানুষ হতে পারবি না। আজ তাই মনে হয় , মানুষ হলাম আর কই! জীবন্ত একটা লাশ হয়ে বেঁচে আছি । জীবনের সব থেকে প্রিয় সঙ্গী এখন আমার মোটরসাইকেল টি । যাকে নিয়ে সারাদিন গুড়ে বেড়াই এখান থেকে ও খানে ।ছোট্ট বেলায় যখন হাইস্কুলে পড়তাম,  তখন একটা বাইসাইকেল ছিল।  স্কুলে যাওয়ার জন্য ছোট আপু কিনে দিয়ে ছিল।  সেই সাইকেল নিয়ে সারাদিন ছোটাছুটি করতাম। কত আনন্দ লাগত, জীবনের কোন মানে জানা ছিল না। ছিল না কোন দুশ্চিন্তার ছাপ। ক্লাস এইটে পড়ি তখন, আমাদের স্কুলের গণিতের শিক্ষক সাহাবুদ্দিন স্যার এর কাছে প্রাইভেট পড়ি। স্যার অংকে এত ভালো ছিলেন যে আশেপাশের অন্য স্কুল গুলো থেকে ও প্রাইভেট পড়তে আসত। স্যার সকাল ছয়টা থেকে দশটা আর বিকাল চারটা থেকে রাত আটটা প...

যৌবন - বর্ষা মল্লিক

Image
 যৌবন !  বর্ষা মল্লিক ; হে শ্যাম সুন্দর পদ্ম মালঞ্চ মনোহর শ্যামঙ্গী মোহিনী সাঁজি অপরূপ দেহে আজি ঝঙ্কার অলংকার সৌরভ দেহে লটায় কলোরব সৌরভে ভরপুর রূপে ভৌমর খুঁজে মধুপে দুগ্ধ উদ্ভিদের রসে চলন -- বলন চাকচিক্য বয়সে সাঁজ সজ্জা লাজ ভূলি তুচ্ছ আজ উচ্ছলতা চঞ্চচলা মাঝে চির যৌবন অম্লতীত রাজে

সেই রমনী - বর্ষা মল্লিক

Image
  চোখ মেলে দেখি সেই রমনী  সচল হয়ে উঠলো শিরা ধমনি  স্বপ্ন বিভোর মোর পাশে  আলেয়ার আলো নিয়ে আসে  লজ্জা শরম মাথায় খেয়ে রাখি  কিছুই না দিয়ে রেখেছো সব বাকি।  ১২/৭/১৮

চৈত্রের দুপুর - বর্ষা মল্লিক

Image
চৈত্রের দুপুরের রূপ ফুঠে উঠেছে  ফাল্গুন চৈত্র বসন্ত এসেছে  চৈত্র বসন্ত বরষা শেষে  প্রকৃতি ভয়াবহ রূপ এসে  ফাল্গুনে নতুন পাতার সমারোহ  পুষ্প -- পুষ্পে মঞ্জরী বিকশিত  ভ্রমরে গুঞ্জন ফুলে উড়ে  উদ্দমতায় উচ্ছল তারা নড়ে প্রচন্ড রোদের দাবদাহে সূর্য্য সমস্ত উত্তাপ উগলে পড়ে রৌদ্র তাপে অগ্নিমূর্তি ছারখার  দাবদাহে দগ্ধ শরীর অস্হীর সমাহার।

একুশে ফেব্রুয়ারী - বর্ষা মল্লিক

Image
একুশ মানে, শহীদ দিবস একুশ মানে,রক্তিম পাতা একুশ মানে,গৌরবোজ্জল আত্নত্যাগ একুশ মানে, মুক্তির চেতনা একুশ মানে,মাতৃভাষার অক্ষুন্ন আত্নহুতি একুশ মানে,বেদনার রক্তে রঙিন স্মৃতি চারন একুশ মানে,রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই একুশ মানে,উজ্জল দীপ্ত প্রান একুশ মানে,বাঙালি জাতির বলিষ্ঠ সংগ্রাম একুশ মানে,মুক্তির উষালগ্নে একটি চারাগাছ একুশ মানে,আত্নত্যাগের সমুজ্জল একটি মহান দিন একুশ মানে,ইতিহাসের একটি অম্লান অধ্যায় একুশ মানে,হংক্কার এর ধ্ধনি দৃঢ় প্রত্যয়ে বাঙালি জাতি এই কথায় বলি।

অজ্ঞাত কবির লেখা

Image
  যারা প্রায়ই হাসতে জানে এবং ভালোবাসতে জানে, যারা জ্ঞানী লোকের কদর পায়, আর পায় বাচ্চাদের আদর। সমঝদার সমালোচকের প্রশংসা পায় আর যারা মিথ্যা বন্ধুত্বের বেইমানী, সহ্য করতে পারে ! যারা সৌন্দর্যের পূজারী, যারা মানুষের মধ্যে মহত্ত্ব খুঁজে বেড়ায়। যারা প্রতিদানের প্রত্যাশা না করে নিজেদের উজার করে দেয় ; যারা অনাবিল হাসিতে হয়ে উঠতে পারে উচ্ছ্বসিত, গান গেয়ে যারা আত্মহারা হয় যারা পৃথিবীতে জন্মেছে বলে, পৃথিবীর বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া সহজ হয়েছে। যদি জানে যে অন্তত একটি জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে তারই চেষ্টায় , তাহলে তাই হবে জীবনের সার্থকতা, সাফল্য। 

ঘুম নিল ছুটি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ঘুম গুলি যে ছুটি নিল পরীর দেশে তাই এত রাতেও কেউ জেগে আছে মনের সীমানায় । তার দু চোখের তারায় স্বপ্ন গুলো হাতছানি দিয়ে যায় আপন করে পাবার অভিপ্রায় জ্যোস্না ঝড়া পূর্ণিমায় ।

অপেক্ষা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
কোনও এক চৌত্রের দুপুরে কাঠফাটা রোদে তপ্ত মেঠুপথ ধরে হাঁটছি একা আমি! উদ্দেশ্য হীন কোন খানে। মনের গহীনে একটাই প্রশ্ন তোমাকে ফিরে পাব কি জীবনে? আবার চলবে কি হাত রেখে আমার হাতে? হৃদয় জমিনে বিষণ খড়ায় তপ্ত মরুর বালুকা বেলা মরিচিকা হয়ে জ্বলে , তুমিই আসলে ভালবাসারবৃষ্টি ঝরবে মনের প্রান্তর জুড়ে । তুমি আসিলেই নতুন করে জম্ম নিবে চিরহরিৎ বন-মাঠ শত সহস্রী প্রাণ হৃদয় গহীনে বাজবে বাঁশি আপনারে ভূলে গাইব সখা তোমার গাওয়া গান। তোমার লাগি শূন্য হৃদয় তুমি এলে পূর্ণ হবে সব খান।

দিলাম সবী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  নন্দিত ললিতা কুসুম কুমারী সঞ্চিত ভালবাসা দিলাম সবী, ঠোঁট রাঙানো তার অস্থ যামিনী কি মায়া হ্যায় তার চোখের চাহনি। অভান্তর কিছু চাওয়া পাওয়ার মাঝে তার অস্তিত্ব চাই এই  জীবনে, তার চুম্বন আমার ঠোঁটে ! ভালবাসা একে দেয় হৃদয়ের পটে। কি আশার দুয়ার খুলে তার চলনে ! আজি ভালবাসা পড়ে রয় শুধু বিশ্বাসে। আশার অদৃপ্ত ক্ষণে, তার কথা আরও বেশি পড়ে যায় মনে।

খোকার বরশি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আটিম বাটিম টিপ টিপ খোকার হাতে বাঁশের ছিপ, বরশি  গেল কই  ? তা তা থৈ ! তা তা থৈ  ! রুই গিল্ল,  ভূই গিল্ল , লাফ দিল কৈ ! কাকড়াঁ মশাই যেন কসাই! কাটল খোকার বরশি তাইত খোকা কাঁদছে একা ডাকছে দেখ , জলদি এসো পিষি।

জনি লিভার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
                      জনি লিভার !                          একদিন ক্লাস সেভেন এ পড়া অবস্থায় লেখা পড়ার ইতি টানতে হল  কিশোর ছেলেটির। শুরু করল ফুটপাতে কলম বিক্রির কাজ । উদ্দেশ্য তার বাবা কে সাহায্য করা ।কালো বেটে চেহারার ছেলেটার জম্ম ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এ । বাবা মায়ের সাথে বোম্বাইয়ের ধারাবি বস্তিতে বাস করে । সেই ছেলেটি একদিন হয়ে উঠল ভারতবর্ষের জনপ্রিয় অভিনেতা।  ধারাবি বস্তি থেকে বলিউডের সুপারস্টার হওয়া এতটা সহজ ছিল না । বাবা ছিলেন সামান্য বেতনের মটর অপারেটর। তিনি যা বেতন পেতেন , তা দিয়ে পরিবারের ব্যয় মেটানো কঠিন ছিল। জনি ভাই-বোনদের মধ্যে বড় হওয়ায় দ্বায়ীত্ব গাড়ে এসে পড়ল। সে মাত্র 13 বছর বয়সে ফুটপাতে কলম বিক্রি করত সমবয়সী ছেলেদের সাথে। তখন ছেলেটা বলিউডের অভিনেতাদের অভিনয় নকল করে মানুষ জড়ো করে কলম বিক্রি করত। কিছুটা বড় হয়ে বাবার সাথে মোটর  অপারেটর এর কাজ করার সময় ধীরে ধীরে তার প্রতিভা প্রকাশ হতে লাগল। একদ...

তিতলি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
               তিতলি ! হামিদ সাহেব সহজ সরল একজ মানুষ ।অফিস থেকে ফিরে  এসে একটু চিন্তিত হয়ে বউ কে বলল ওগো শুনছো #কাল তিতলি আসছে । এই কথা শুনে হামিদ সাহেবের বউ রেগে মেঘে কাপড় চোপর ব্যাগে ভরে কাঁদতে কাঁদতে সোজা বাপের বাড়িতে রওনা দিল। হামিদ সাহেব শুধু হত ভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল ! রাতে হামিদ সাহেব না খেয়েই ঘুমিয়ে পরল।পরদিন সকালে কলিংবেল এর আওয়াজ এ ঘুম ভাঙ্গল ।দরজা খুলতে চোখ কপালে একি বউ দেখি হাজির । হাসতে হাসতে বউ ঘরে ঢুকে বলল তুমি খুলে বলবা না  ঘুরনিঝর এর নাম তিতলি ।আমি তো ভাবছিলাম কোন মেয়ে কে আবার .... এই কথা শুনে হামিদ সাহেব বেহুঁশ! 2018/10/10

হান্নান শাহ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হান্নান শাহ! শিশির আহাম্মেদ খান।  কত স্মৃতি, কত ভালবাসার ইতি কথা। এক সকালে ছুটলাম মহাখালী ডিওএইচ এর বাসায় ।উদ্দেশ্য নেতার সাথে দেখা করব।অনেক দিন কোন কথা হয়নি।সকাল 8:38 মিনিটে বাসার ড্রয়িংরুমে বসে আছি,আরো অনেক নেতা বসে আছে।তিনি দোতলা থেকে নিচে নেমে বললেন এদের চা দাও আমি আসতেছি ।একজন এসে চা দিয়ে গেল , বসে বসে পান করছি আর গল্প করছি অন্যদের।পনের মিনিট পর নিচে এসে সবার সাথে সংক্ষেপে কথা শেষ  করলেন ।আমি আর এক জন ছাত্র নেতা বসে আছি।উনি ইশারায় বললেন গাড়িতে উঠে বসতে। #গাড়িতে বসে আছি একটু ভয় কাজ করছে।তিনি বিরক্ত হলেন কি না ! তিনি ড্রাইভার এর পাশে বসে আছেন ।গাড় গুড়িয়ে বললেন বাবা সকালের নাস্তা করেছ। উত্তরে বললাম জি স্যার । তিনি বললেন আসলে প্রেসক্লাবে একটা প্রোগ্রাম আছে ,তাই সময় দিতে পারলাম না।সাথে থাক ভালো লাগবে ।গাড়ি জাহাঙ্গির গেট দিয়ে গাড়ি ফার্মগেট মোড়ে ।রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা চলছে ।হঠাৎ একটা ছয় তলা বাড়ি দেখিয়ে বললেন ,এই বাড়ি আমার ছিল আজ রাজনীতি করে বিক্রি করলাম ।জীবন অনেক কে দেখেছি জিরো থেকে হিরো হতে ।আর আমি হিরো থেকে নিঃস্ব হয়েছি। কথায় কথায় বললেন আজ আমার ...