Posts

মুসলিম মনীষী - সাহাদত হোসেন খান

Image
  পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম পরিবর্তনের ঘৃণ্য চক্রান্ত- স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের সবগুলাে বই ল্যাটিনসহ অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়। তবে অনূদিত গ্রন্থগুলােতে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নামও ল্যাটিনে অনুবাদ করা হয়। অন্য যে কোনাে ভাষায় কোনাে লেখকের বই অনুবাদ করার সময় কেবলমাত্র বইয়ের বিষয়বস্তু অনুবাদ করা হয়। কখনাে লেখকের নাম অনুবাদ করা হয় না। লেখকের নাম অনুবাদ করার এমন অদ্ভুত উদাহরণ ইতিহাসে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব দেশের কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের নাম অক্ষত রেখে অনুবাদ কর্ম সম্পাদন করা হলেও স্বর্ণযুগের মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের নাম অক্ষত রাখা হয়নি। ল্যাটিন ভাষায় মুসলিম পণ্ডিত ও বিজ্ঞানীদের নাম বিকৃত করার এই হীন প্রচেষ্টা অধ্যাপক সারটনের উক্তিকে সত্য বলে প্রমাণ করছে। আরবী গ্রন্থগুলাে ইউরােপীয় ভাষায় অনুবাদ করা হলেও গ্রন্থকারের ল্যাটিন নাম দেখে বুঝার উপায় নেই যে, তারা মুসলমান। প্রত্যেক মুসলমান গ্রন্থকারের নাম আরবীতে লম্বাচুরা হলেও ল্যাটিন ভাষায় তাদের নাম দেয়া হয়েছে, একটি মাত্র শব্দে। ইবনে সিনার পুরাে নাম আবু আলী আল-হুস...

আগমনী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আগমনী শিশির আহাম্মেদ খান  সকালের রোদ এসে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় দোয়েল শিষ দিয়ে আগমনী দিন গুণে যায়, কুয়াশা মারিয়ে মুকুল ধরেছে আমের ডালায়  শাল-সেগুনের বনে সব পাতা ঝড়ে যায় । এত আর কিছুই নয় ,বসন্তের আগমনী হচ্ছে তাই ! দুর্বা ঘাসে শিশির কনা হাতছানি দিয়ে বলছে তাই, শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে  আগামীর বসন্ত কে স্বাগত জানাই।  প্রজাপতি উড়ে আসে রঙিন ডানায়, মাতাল হাওয়া এসে মন জুড়িয়ে যায় ! খেজুর রসে ভরে হারি , গাছি নিয়ে যায় বাড়ি, কত অমৃত সেই রস , চুমুকেই তৃপ্তির ঢেকুর ছড়ায়। অতিথি পাখি গুলি রোজ সকালে গান গেয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় , সারা পৃথিবী গুড়ে আমি পাইনি হায় ! যে রুপ পেয়েছি এই বাংলায় ।

কল্পনার রং তুলি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কল্পনার রং তুলি শিশির আহাম্মেদ খান  কল্পনায়  অনেক কিছু বাস্তবে তা মিথ্যা, কল্পনায় যা ঘটে বাস্তবে তা কিতসা।  বাস্তব অনেক কঠিন  বুঝা বড় দ্বায়,  কল্পনা শুধু কল্পনায়  বাস্তবতা আর নয় । কল্পনার কলম খানি একটু না বাকাঁ! কল্পনার রং তুলি  অচিন পুরের ছবি আঁকা। কল্পনা ফুরিয়ে গেলে  বাস্তব যায় দেখা । ২৫\০৯\২০০৫ সালে লিখা

খলিফা উমর (রা) এর ঈদের শপিং

Image
   খলিফা উমর (রা) মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর ঈদ শপিং! ঈদের আগের দিন খলিফা উমরের (রা) স্ত্রী নিজ স্বামীকে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’। আরব জাহানের শাসক খলিফা উমর (রা) বললেন, ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’। পরে খলিফা উমর (রা) তার অর্থমন্ত্রী আবু উবাইদা (রা) কে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন। সমগ্র মুসলিম জাহানের খলিফা যিনি, যিনি সেই সময় প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পেয়ে আবু উবাইদার (রা) চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন আবু উবাইদা (রা) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। ১। আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না? ২।বেঁচে থাকলেও দেশের জনসাধারণ আপনাকে সেই মেয়াদ পর্যন্ত খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’ চিঠি পাঠ করে খলিফা উমর (রা) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে আবু উবাইদার (রা) জন্য দোয়া করলেন...

করোনার মিছিল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 করোনার মিছিল  শিশির আহাম্মেদ খান  মরব যখন একলা কেন  মরব সবাই মিলে ! করোনাভাইরাস বয়ে নিব ঈদের ছুটি পেলে । যানবাহন নাই থাকুক  যাব পায়ে হেটে, কার আগে কে যাবে  কাধে কাধে মিলে ! আহাম্মক এক মাতাল জাতি করোনার কি দুশ ? শহরের রোগ গ্রামের পথে চলছে ছুটে রোজ । করোনার ছোঁয়ায় লাশের মিছিল  বাড়ছে রোজ রোজ, তবু মোদের করোনার লাগি ডাকছি মিছিল, করছি করোনার ভোজ।

ফাঁসির আগের রাতে - ইতিহাস

Image
  ফাঁসির আগের রাতে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে, কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো।  জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন? ইমাম বললেন.আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।সায়্যিদ কুতুব বললেন...এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? ইমাম বললেন,কর্তপক্ষ দিয়েছে। সায়্যিদ কুতুব বললেন...এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান? ইমাম বললেন...হ্যাঁ, আমি এর থেকে বেতন-ভাতা পাই। তখন সায়্যিদ কুতুব (রহ:) বললেন... কী আশ্চর্য!যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে!! তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়,আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!"   কালিমা শুধু মুখের বুলি নয় যা উচ্চারণ পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ।মুমিনতো তারাই যারা আল্লাহকে ভালোবেসে  কালিমার সঠিক প্রচার করে ফাসির মঞ্চে যেতেও দ্বিধাবোধ করেনা।

প্রেম সুধা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হতাশা আর দীর্ঘ শ্বাস তোমার উচ্ছ্বাসে আমার কারাবাস , সব কিছুই নীয়তির অবকাশ তুমি নেই, তাই এ জীবন খেয়ায় সর্বনাশ। মনের পৃথিবী আজ আধাঁরে ঢাকা মিথ্যে আশ্বাসে বেঁচে থাকা, স্বপ্ন গুলো আজ মেঘে ঢাকা ! তুমি নেই তাই, জীবনের সব আয়োজন ফাঁকা। বেদনার পরশ ভোলা রূপালি দিন গুলো সব পথ ভোলা , বাঁধন ছিড়ে উড়ল ঘুরি নাটাই ছাড়া এইত বেশ ভালোই আছি তুমি ছাড়া । কষ্ট নামের সোনার হরিণ মন গহীনে করে খেলা , প্রেম গাঙ্গের সুধা নিয়ে দিলে গো এ কেমন জ্বালা ।

May be - Shishir ahmed khan

Image
 May be  Shishir ahmed khan  May be in a lonely body on a roadside The dreaming princess runs naked leg. Cool breeze flows under the shade of the tree, Letting the golden paddy dry in the  golden sun, May be sitting in some shought . In the  corner of the yard,  In the  gourd of the net, Shalik-shyama only calls, The dreams sprouted deep in the heart Are looking for the future ! I don't think about what is there in a life, The more I  think, the more I remember.

হলদে রংঙ্গের গাঁ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হলদে রংঙ্গের গাঁ আজকে চল যাই ছুটে নীল আকাশে সাদা মেঘের পিছু  অচেনা কোন গায়ের পথে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামুক পিছু । হলদে রংঙ্গের রোদ গুলো যখন হলদে গাঁয়ে আসে ! হলুদ রাঙ্গা সোনালু ফুলে সবাই মিষ্টি হাসি হাসে। কাঁঠাল গাছের ডালের ফাঁকে  ইষ্টিকুটুম মিষ্টি সুরে ডাকে , শাপলা -শালুক ফুটছে দেখ  জামরি বিলের বাঁকে । গাঁয়ের মাথায় সিধুর মেখে আকাশ যেথায় নামে  সেখান থেকে বাদুড় গুলো  উড়ছে দেখ সবে !  এত কিছু বলার পরে  থাকল সবী বাকি , এত সুন্দর গাঁয়ের স্মৃতি  কেমনে ভুলে থাকি !

হাল ছেড় না - রাইমা খানম

Image
 হাল ছেড় না ১৯৫০ সালের দিকে হার্ভার্ডে অধ্যয়নের সময় ড. কার্ট রিখটার পানির বড় একটি পাত্রে কিছু ইঁদুর রেখেছিলেন তারা কতক্ষণ পানিতে থাকতে পারে তা পরীক্ষা করতে। (গড়ে ইঁদুর 15 মিনিট পরে হাল ছেড়ে দেয় এবং ডুবে যায়। ) ক্লান্তির কারণে তারা হাল ছেড়ে দেওয়ার ঠিক আগে, গবেষকরা ইঁদুর কে বের করে ফেলতেন,শরীর শুকিয়ে ফেলতেন, কয়েক মিনিট বিশ্রামে রাখতেন। এবং তাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য ফিরিয়ে আনতেন। এই দ্বিতীয় চেষ্টায় ইঁদুর কতক্ষণ টিকে থাকবে বলে মনে করেন? (মনে রাখবেন - মাত্র কয়েক মিনিট আগে এরা ব্যর্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাঁতার কেটেছিলো ...) এখন কতক্ষণ থাকবে বলে মনে হয় ? আরও 15 মিনিট? 10 মিনিট? 5 মিনিট? না! 60 ঘন্টা! হ্যাঁ, এটি কোনো ত্রুটি নয়, এটাই ঠিক! 60 ঘন্টা টিকে ছিলো হাল ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত। যেহেতু ইঁদুর বিশ্বাস করেছিলো যে তারা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পাবে, তাই তারা তাদের দেহকে আগে যা অসম্ভব বলে মনে করেছিল সেই পথেই ঠেলে দিতে পেরেছিলো। একটি সারমর্ম দিয়েই শেষ করবো: আশা যদি ক্লান্ত ইঁদুরগুলিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সাঁতার কাটাতে পারে, তবে নিজের এবং নিজের যোগ্যতার উপর কী ...

পেপোরোমিয়া গাছের গুণাগুণ

Image
  পেপোরোমিয়া বা দীপ্ত লুচি পাতার ব্যবহার 🌿এই পাতার সাথে আমরা সবায় কম বেশী পরিচিত,বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি তারা এই পাতাটা ভালো করে চিনি, ছোট বেলায় রান্না, বান্না খেলার সময় এই লুচি পাতাকে সবজি হিসেবে ব্যবহার করতাম আমরা। 🌿দীপ্ত লুচি পাতা যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো ( পেপোরোমিয়া)🌿 🌿সারা বছর জম্মে এই গাছটি স্যাঁতসেঁতে কম আলোতে ভালো হয় দীপ্ত লুচি। ব্যবহার সমূহঃ 🌿এটি শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয় ও সালাদেও ব্যবহার করা হয়। 🌿জ্যামাইকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে সর্দি, ঠান্ডার জন্য এবং কিডনি সমস্যার জন্য একটি মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত। 🌿ফোঁড়া বা,পাচড়া এবং নেত্রবর্ত্মকলার প্রদাহ উপশমের জন্যে ব্যবহৃত হয়। 🌿মানসিক উত্তেজনা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় 🌿বাত এবং এছাড়াও বাতের সমস্যা,ছোটখাটো আগুনে পোড়া ক্ষত, ফোঁড়াতে এর ব্যবহার হয়। 🌿এই পাতার রস সকালে এক কাপ খালি পেটে পান করলে পাইলসের কারনে যাদের রক্তক্ষরণ হয় তা এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হবে। পোস্ট সংগৃহীতঃ

নিরাপদ কিছু

Image
  নিরাপদ কিছু ঘোড়া যেখান থেকে পানি পান করে, সেখানে পানি পান করুন। ঘোড়া কখনও খারাপ পানি পান করে না। বিড়াল যেখানে ঘুমায়, সেখানে আপনার বিছানা পাতুন। বিড়াল কখনও অপবিত্র বা নোংরা জায়গায় ঘুমায় না। যে ফল পোকা ছুঁয়েছে তা নির্ধিতায় খান। পোকা কখনও বিষাক্ত ফল খায় না। পোকাপ্রাণী মাটিতে যেখানে খনন করে বাস করে, সেখানে গাছ লাগান। ভাল গাছ পাবেন। পাখির সাথে একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং পাখির সাথে একই সময়ে জাগ্রত হন। আপনার সমস্ত দিন স্বর্নের শস‍্যে কাটবে। মাছের মতো পানীতে প্রায়শই সাঁতার কাটুন। মাছের মতো আপনি নিজেকে পৃথিবীতে হালকা, ফুরফূরে এবং  সজীবতা অনুভব করবেন। যতবারই সম্ভব আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন।  আপনার চিন্তাধারা আকাশের মতো স্বচ্ছ, সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে উঠবে। যথাসম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করুন এবং অল্প কথা বলুন। আপনার হৃদয়ে দেখবেন নীরবতা আসবে, আপনার তনু মন  প্রশান্তিতে ভরে উঠবে ইনশাআল্লাহ।    ✅✅✅

গালগপ্পের ভিড়ে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 বিলাসবহুল গালগপ্পের ভিড়ে বাস্তব বড় কঠিন লাগে ছোট্ট এই দেশে মানুষ আর কুকুর একি সাথে পড়ে থাকে ফুটপাতের পথে পথে ! উচু উচু দালান গুলো ফাঁকা ই পড়ে থাকে কত টাকার পাহাড় গড়েছে, কে তাদের খবর রাখে ! নিচু তলার মানুষের রক্ত চুষা ঐ রঙ্গিন মানুষ গুলো হীরক রাজার মতনই আবার গরিবের চোখে দেয় ধুলো। স্বাধীনতার আজ চেতনাতেই পড়ে আছে জীবনের সাথে নেই তার কোন মিল , কেউ মরে অন্ন খুঁজে কারো আবার বিলাসী মদের নেশায় দাঁতে মারে খিল !

ফিঙ্গার পিন্ট -

Image
ফিঙ্গার পিন্ট   এই যে আঙুলের ছাপ দিয়েই খুলে যাচ্ছে মোবাইলের লক, গেটের তালা,অফিসের উপস্থিতি, ফিঙারপ্রিন্ট নিয়েই যাচাই করা যাচ্ছে কে অপরাধী, এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশান সিস্টেম প্রথম কে আবিষ্কার করেছিল জানেন? তিনি ছিলেন একজন বাঙালী,নাম খান বাহাদুর কাজী আজিজুল হক।বাড়ি খুলনা জেলার কসবার পায়গ্রামে।কাজ করতেন তৎকালীন বেঙল পুলিশে। ফিঙারপ্রিন্ট নিয়ে অনেকেই আগে কাজ করেছেন কিন্তু এর প্র‍্যাকটিক্যাল ইউজ কি, কিভাবে যাচাই করা যায়,কিভাবে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায় মানুষকে সেটা প্রথম আবিষ্কার করেন আমাদের দেশের কাজী আজিজুল হক। ব্রিটিশ আমলে বেঙল পুলিশের আইজি ছিলেন এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি। তিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গবেষণার জন্য নিয়োগ করেন দুই বাঙালী প্রতিভাকে, একজন গণিতবিদ কাজী আজিজুল হক, আরেকজন হেম চন্দ্র বোস। কাজী আজিজুল হক ও হেমচন্দ্র বোস ৭০০০ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলেন। অনেক পরিশ্রম করে একটা গাণিতিক সূত্র দাড়া করলেন যেটা দিয়ে ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই এর মাধ্যমে মানুষ সনাক্ত করা যায়।আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিশাল বড় আবিষ্কার। এই পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল "বোস-হক আইডেন্টিফিকেশান সিস্টেম...

মন ছুটে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মন ছুটে আজও মন ছুটে ঐ নদীর কিনারে বাদাম তোলা নাও যেথা চলে ভেসে । সকালের মিঠে রোদ শিশির জলে হাসে, এ পাড়ার নবধূর রাঙা পা ভিজিয়ে জল নিয়ে যায় , বারেক ফিরে কি যেন দেখে আড় চোখে । কি যে মায়া লুকিয়ে আছে তার চলনে । জাল ফেলে সেই কথা বারে বারে ভাবে করিম জেলে । জীবন চলে জীবনের পথে সন্ধ্যা নামে তটে বুকের গহীনে ভালবাসা উকি দিয়ে যায়, রাত বিরাতে ।

ড.ইউনূস- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  স্বদেশে যারে করেছো  অপমান বঞ্চনা  সেই মহাজনে বিশ্বময়  পায় দেখ  কত সম্মাননা.... তার পায়ের ধুলি নিতে আসে কত জ্ঞনীগুণী, সেই দেখে হিংসায় দিলে তারে গালি। তার জয় বিশ্ব সভায় সালাম ঠুকে সকলিই , তুমি কোন পাগল বল কেন এতো হিংসে কর শুনি ?

একজন সাহিত্যিক- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 একজন লেখক তা র মনের গহীনে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে টিকে থাকে। সাধারণ মানুষের জীবনে একটা লক্ষ্য থাকে । কিন্তু একজন সাহিত্যিক এর কোন লক্ষ্য নেই। কেন না সে এই পৃথিবীতে তার সাক্ষ্যর রাখে প্রতিনিয়ত।  সাহিত্যিক কখনও ভয় পায় না । সে অন্য কে ভয় পাইয়ে দেয় ! সে নিজেই নিজের মনে বিভিন্ন চরিত্রের চিত্র অংকন করে আবার তা মুছে দেয়.....। সাগরের বিশাল ঢেউ গুলো যেমন সৈকতে এসে আছড়ে পড়ে । তেমনই সাহিত্যিক এর জীবনে ভালো’বাসা - বিচ্ছেদ বিরহ বেদনা তাদের রং ছড়িয়ে যায় প্রতি ক্ষণে .....

লোক দেখানো ভালো’বাসা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোমার শ্রদ্ধা ভাগারে গেল ওদের প্রার্থনা কবরে , তোমাদের ভালবাসা লোকদেখানো হাজার ছবির চালাচালি খবরে ! আলেমের ভালবাসা হৃদয়ের গহীনে ভালবাসা পৌছে যাবে কবরে । শহীদ বেধীতে কোটি টাকার ফুল বিসর্জনে শহীদদের কি বা আসে যায়, এত বছর পরে এসে যদি শহীদ পরিবার কাঁদে ক্ষুধার জ্বালায় ধুলায় লুটায়। হাজার গরু - খাশির কুরমা পোলাও দিয়ে করছো যখন ভুরিভোজ, ফুটপাতে জীর্ণ দেহে খাবারের লাগি যুদ্ধ করে রোজ রোজ। কোটি জনতার রক্ত গামে অট্টালিকায় যাদের নিবাস তারাই আবার আমজনতার শোষে করে যায় দানবীয় উল্লাস।

ভোরের অপেক্ষা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
সেদিনের সেই ভোরের অপেক্ষায় আমরা, যে ভোরে আলো আসবে সত্য নিশান হাতে নিয়ে ! শত সহস্রী লোনাজলে ধুয়ে যাবে অন্যায়, লাখ প্রাণ করে যাবে দান মুছে যাবে মিথ্যার আধাঁর। সম সূরে গাইবে সবাই মুক্তির জয় গান , রাজপথে আনন্দ মিছিল হবে বীর জনতা স্লোগান দিবে স্বগৌরবে বলবে ওরা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। নির্যাতনের ক্ষত শুকিয়ে যাবে, আসবে শান্তির উষ্ণ বাতাস কেটে যাবে কোটি প্রাণের দীর্ঘশ্বাস। 

বুকের মাঝে বিডি - দিলরুবা আহমেদ

Image
 বুকের মাঝে  বিডি সারা খুব লম্বা মেয়ে। লিকলিকে শুকনো। মাথায় সব সময় কাপড়ের টুপি পরে থাকে। চুল ঢেকে রাখে ধমীর্য় কারণে। সেও মুসলমান। অন্য দেশীয় মুসলমানেরা কেমন হয় জানার সাধ ছিল নিহার অনেক দিনের। এখন সারাকে পেয়ে সে বেশ পর্যবেক্ষণে মত্ত। একটা সরকারি স্কলারশিপে নিহা বেশ কিছুদিন হয় আমেরিকায় এসেছে। যতোটুকু পারা যায় পড়াশোনার ব্যস্ততার মধ্যেই সে জেনে নিতে চায় অচেনা অজানা এই মহাদেশটিকে।অবাক হয়ে চারদিক দেখে। কতো দেশের কতো রকমের মানুষের যে বসবাস এখানে! হরেক রকম মানুষ। লাল, শাদা, গোলাপি, বাদামি, কালো। যেন এক খিচুড়ি নিবাস। একেকজনের উৎপত্তিস্থল একেক মহাদেশে। আদি আর অন্তের দূরত্বই যোজন যোজন। বিশ্বের সব কানাকুনা থেকে সংগৃহীত হয়েছে যেন এই সকল মানব স্যাম্পল। তারপরে চানাচুরের বক্সে ভরে এক মহা ঝাকুনি। ঝাকুনির চোটে সোমালিয়ান সারাও এখন আমেরিকান হয়ে গেছে। কোথায় সেই আফ্রিকা মহাদেশ আর কোথায় এই আমেরিকা! ওয়াশিং রুমে কাপড় ধুতে গিয়ে সারার সঙ্গে নিহার আলাপ। সারার একটা কোয়ার্টার কম পড়েছিল কাপড় ড্রাই করতে। ডলার আছে সঙ্গে। কিন্তু লাগবে কোয়ার্টার। তিনটা কোয়ার্টার অর্থাৎ ২...

গোড় - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
পেঁয়াজ খাচ্ছে জামাত বিএনপি  পেঁয়াজ খায় স্বাধীনতা বিরোধীরা  তাই ত এমন দাম বেড়েছে  বুঝতেছ না কেন সুধীরা। হারাম টাকায় আরাম করে স্বপ্ন দেখে ঘুমের গোড়ে, দেশটা হল সিঙ্গাপুর ! আমজনতার চিৎকারে ঘুম ভেঙে  নেতা দেখেন ,দেশ হল জামালপুর ।

সময়ের রং- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  সময়ের কত রং কত শত অগোছালো ঢং ! তোমার সময়ে আমি ভিলেন আমার সময়ে তুমি তুচ্ছ ! জীবনের এ বেলায় দাঁড়িয়ে দেখি জীবন আমার কত সচ্ছ , সূর্যের আলোর মতন উজ্জল সে খুঁজে ফিরে শিশিরের কোমল স্পর্শ। 

আবার দেখা হবে- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আবার দেখা হবে এ দেখা শেষ দেখা নয়, আবার কথা হবে এ কথা ই শেষ কথা নয় । বন্ধু অভিমান রাখ যত হৃদয়ে পুষে ভালবাসার রং দিয়ে সব দিব মুছে , ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন ছিল যত আবার সাজাব নতুন করে । প্রণয়ের সেই ক্ষণ আজ ভেসে ওঠে সোনা ঝরা সকালের রোদ হয়ে .....

রুপকথা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  রুপকথা ছোট্র বেলার সেই প্রিয় বান্ধবী আজ হারাল কোথায়! সকল ব্যস্ততা ছেড়ে তার কথা শুধু মনে পড়ে যায়। কোথায় সে, আজ হারাল কোথায় স্মৃতির পৃষ্ঠা উল্টে শুধু তার ছোয়া পাই। পুতুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে, তুই নেই বলে তাই। ছোট্ট বেলার সেই সব দিন গুলি আজ হারাল কোথায়! উল্লাস ছিল সব, তবু ও আজ নিরবতা। তুর আমার ছেলে-বেলা হল আজ রুপকথা। আজও শিউলি -বকুল ফুটে ঝড়ে রোজ সকালে, আজও কোকিল ডাকে নববসন্তে। শুধু তুই নেই, মাঝ পথে হারিয়ে গেলি খুব নীরবে কিছু না বলে।

শুভ জম্মদিন- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
শুভজম্মদিন দেয়ালের ঐ পাশে তুই আর এই পাশে আমি কত গল্প, কত শত পাগলামি ছিল সব তুকে গীড়ে আজও তা আছে মনে স্মৃতির চাদরে ঢেকে ভাললাগা আবেশ মেখে রয়েছে ভালবাসার হিম ঘরে। তুই কি ভুলে গেলি সে দিনের সে কানামাছি আর সাপ লুডু খেলা, চোখে চোখ রেখে সেইসব কথার মালা। ভালো থাকিছ তুই ভালবাসা নিছ তুই এই কামনা প্রতিদিন আজ তুর জন্মদিন । ঐ দিগন্তে হারিয়ে যায় আকাশে সব নীল জীবনে তুর ভালবাসার রংধনু ভেসে থাক প্রতিটি দিন। তুই হাসলে যেন জ্যোস্না ঝরে পড়ে তুর চোখেতে পৃথিবী কারো প্রেমম ময় হোক চিরদিন । আজ তুর জন্মদিন ভালবাসায় মুখর হোক তুর সূখের নীড় হাজার স্বপ্ন থাকুক সেথায় ভিড়।

তোর সাথে প্রেম- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
     যতবার আমি দেখি তুকে ততবার আমি তোর প্রেমে পড়ে যাই, তুই কাছে আসলে আমি তোকে ছুঁয়ে যাই, সারাটা জীবন আমি তোর হাতটি ধরতে চাই।  তোকে আমি ভালবাসি  ভালবাসি সকাল কি সন্ধ্যায়, তোর সাথে করতে প্রেম কেন যে বারে বারে মন চায় । তোর মন আকাশে সীমায় আমি মেঘ হতে আমি চাই,  ঝুমবৃষ্টির কাব্য হয়ে থাকব আমি তোর চোখের কিনারায় । তোর ঠোঁটের লাজুক হাসির কারণ  আমিই হতে চাই,  তোর ভালবাসার সুখের নীড়ে  আমি বসতি গড়তে চাই । আমি তোর দিঘল চুলের  বেনি হতে চাই, তোর নাকের নোলক হয়ে আমি তোর সঙ্গী হতে চাই। 

খান দের ইতিহাস- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 # ৯৬ বছরের পুরনো আসবাবপত্র ! আমাদের খান বংশটা একটা ঐতিহাসিক পরিবার, আমাদের পূর্ব পুরুষ রা মূলত এসে’ছিলেন মঙ্গলিয়া থেকে । মঙ্গলিয়া থেকে আফগানিস্তান হয়ে ভারতবর্ষে আগমন করেন। তারপর বঙ্গতে আসেন।ময়মনসিংহ হয়ে এগারোসিন্দুরে কিছুদিন অবস্থান নেওয়ার পর দক্ষিণ দিকে এসে এই অঞ্চলে খানকা স্থাপন করেন।  আমরা যে গ্রামটিতে বসবাস করছি এর নামকরণ ও হয় আমাদের পূর্ব পুরুষদের দ্বারা। এই খানে প্রায় পাঁচ টি গ্রামের নামকরণ এ আমাদের পূর্ব পুরুষগণ জড়িত ছিলেন বলে , কিছু নথিপত্র এ দেখা যায়।  আমাদের পূর্ব পুরুষ #শাহ সূফী নাদের আলী খান এই অঞ্চলে আসেন ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে। তিনি এই অঞ্চলের সব থেকে উচু ভুমি " বর্তমানে খান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান পুরানবাড়ির টেক এ বসতি স্থাপন করেন।  ঐ সময়ে ১০০০ একর জমির তালুকদারি প্রদান করেন বৃট্রিশ সরকার।  তার সেই তালুকদারির অঞ্চল কে প্রথমে দুই ভাগ করে একটাকে উত্তর খামের আর অন্য টাকে দক্ষিণ খামের রাখা হয় । পর্বতীতে আরো একটি গ্রাম তৈরি করেন , শীতলক্ষা নদীর তীর ঘেঁষে।  যার নাম দেওয়া হয় চর খামের।  ইতিহাসের বিস্তারিত যাচ্ছি না , এখন  ব...

সেই পথের বাঁকে- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 সেই পথের বাঁকে                 [ এক ] ঋতু বাবা মার খুব আদরের মেয়ে ।অনেক সুখে যার বেড়ে ওঠা।ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী ।মোহাম্মদ পুর লালমাটিয়া কলেজে পড়ে।এত কিছুর পড়ে ও তার মনে ছিল শূন্যতা, হতাশা ।কারণ প্রায়সই তার বাবা, মা ঝগড়া করত ।একদিন এমনই এক ঝগড়া তার কাছ থেকে কেড়ে নিল মায়ের সুখ।তার মা আয়শা ওদের ছেড়ে চলে গেল।এই সব কারণে প্রায়স ই মন খারাপ থাকত ঋতুর ।এইবার পূজার ছুটি, তাই বন্ধু রা গাজীপুরে গুড়তে যাবে ।পুরো এক সপ্তাহের টুর ।কিন্তু ঋতু যেতে আগ্রহী না ।তার বাবা রাসেল আহমেদ একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন ।তাই সকাল -সন্ধ্যা শুধু ব্যস্ত থাকেন ।রাত 11 টা বাজে ,খাবার টেবিলে ঋতু বসে আছে ।বাবা জিজ্ঞাসা করল ,কি হল খাচ্ছো না কেন ? শরীর খারাপ ? ঋতু - না এমনি ভালো লাগছে না। বাবা - তোমার কলেজ থেকে আমাকে ফোন করেছিল ।তোমরা নাকি পিকনিকে যাচ্ছো ? ঋতু - ওরা যাবে । বাবা -তুমি যাবে না ? ঋতু - না বাবা - কেন যাবে না ? ঋতু - আমার ভাললাগছে না । বাবা -তুমি ও গুড়ে এসো তাদের সাথে , দেখবে মনটা ভালো লাগবে ।আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি আর কোন সমস্যা থাকলে ব...

তুমি আসবে বলে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
তুমি আসবে বলে এই শ্রাবনের দিনে, পাংশুটে মেঘেরা সারাদিন  আনন্দে এদিক ওদিক ছুটেছে।  তুমি আসবে বলে  বাগানে শতশত ফুল ফুটেছে ! প্রজাপতি পাখনা মেলে হাজার রংঙ্গে সেজেছে।  তুমি আসবে বলে  পথে পথে এত কোলাহল  জনতার উচ্ছ্বাস চোখে মুখে , তোমাকে স্বাগত জানাতে ওরা এসেছে । তুমি আসবে বলে স্বপ্ন বালিকা ! আমের ডালে বসে , হলুদ রাঙ্গা ইষ্টিকুটুম  মিষ্টি সুরে ডাকছে সেই সকাল থেকে। তুমি আসবে বলে  শীতলক্ষার জল নেচে উঠেছে কল কল কল্লোলে ! বাদাম তোলা নাও পাড়ে ভিড়ে আছে । তুমি আসলে পরে  ভাসাবে তরী শান্ত নদীর জলে , মেঠুপথ আজ কাদায় ভরা  তোমার পা রাঙ্গাবে বলে ! সারাবেলা ঝরেছে বকুল  কলমির ফুল ফুটিছে বিলে, কানায় কানায় জল ভরিয়াছে  সারা গাঁয়ের খাল- বিলে । সবুজ বনের বায়না এখন বলছে খুব করে , তুমি আসলেই পরে শ্রাবণ বর্ষণে ভিজবে।  তাইত এমন তোমার লাগী  পথ চেয়ে আছে , বহু দিনের স্বপ্ন আমার  তোমায় পাব কাছে ।

রুখব ওদের- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
এই কান্নার নাই কি কোন দাম  নাই কি কেহ শান্তনা দেওয়ার লোক  ? আমরা রুখব ওদের এবার  ঝরতে দিব নাকো আর কোন চোখের জল পুরতে দিব না ওদের,   জ্বলুক যত হিংসার দাবানল। সবাই মিলে অওয়াজ তুল প্রতিবাদ কর, প্রতিবাদ কর ভেঙ্গে দাও সব অন্যায়  মানুষ হয়ে মানুষের ক্ষতি সে কি ভাবা যায় ? আর নয় বিদ্বেষ,  হানাহানি রক্ত প্রাত মোরা শান্তির স্লোগান তুলে সব করিব নিপাত।

প্রতিবাদ- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
বন্ধ হোক সকল ধ্বংসলিলা  বন্ধ হোক পৈশাচিকতা,  দিন শেষে ওদের লাগি  মনে কি যে ব্যথা ! ওরা আমার আত্মীয় না নয় কোন স্বজন,  ওরা ও মানুষ, আমিয় মানুষ  তাই ওদের সাথে আমার আত্মার বন্ধন। একই দেশের মানুষ মোরা একই মাটিতে থাকা, তবে কেন হিংসার আগুনে জগৎ পুরে ফাঁকা  ?

বিমূর্ত স্বপ্ন ! - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  বিমূর্ত স্বপ্ন !  শিশির আহাম্মেদ খান  তুই ছিলি আমার সকল খুশির তীর্থ  ভালবাসার পাঠশালা  ! হাজার কথার ফুলঝুরি বেঁচে থাকার সমার্থ । তুই ছিলি কৈশোরের প্রথম প্রেম  লাজুক চোখের ইশারা, তুই আর আমি মিলে  গড়ে ছিলাম স্বপ্নের পাড়া। তুই আজ সত্যি জীবনের রানী আমি এখনও সেই স্বপ্নের গোড়ে, তোকে খুঁজে বেড়াই কল্পনাতেই  ফিরে পাব বুঝি নতুন দেখা ভোরে । মান-অভিমান আজ দেয়াল গড়েছে  শূন্য হৃদয়ে তার কারুকাজ,  স্মৃতির চাদরে চাপা পড়েছে জীবনের অতীত উচ্ছ্বাস! নয়নের জলে  ধুয়ে গেছে সূখ আজ অবুঝ মনের দীর্ঘ শ্বাস , এক নিমেষে ভেঙ্গে দিলি তুই  যা ছিল আমার বিশ্বাস। 

স্বপ্ন ছিল যত-শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 স্বপ্ন ছিল যত তোমায় গিড়ে  ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সুখের নীড়ে, তোমায় ছাড়া কিছুই লাগে না ভালো জ্বলে না এখন আর সুখের আলো। কেন যে ভালো লাগে না ? সে কথা জানি না ! জানি না ! কেন যে জানি না , জানি না !

মেঘ বালিকা-শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেঘ বালিকা ( শেষ পর্ব ) ইমন দুপুরে স্কুল থেকে এসে বই খাতা ছুড়ে ফেলে সে ঐ চারা গাছটার কাছে গেল । ওমা গাছটা এত অল্প সময়ে এত লম্বা হল কি করে । এত দেখছি আমার মাথার উপরে উঠে গেছে। মনে হচ্ছে লতানো কোন গাছ । মনে হচ্ছে এক টুকরু মেঘ সব সময় ছায়া দিয়ে রাখছে প্রতি মূহুরতে গাছটা লম্বা হতে লাগল। ইমন চিনতে পারল এই গাছটার পরিচয় ।এটা একটা সিম গাছ । সে একটা কঞ্চি কুপে( গেড়ে) দিয়ে লতাটা কঞ্চিতে পেচিয়ে দিল। এক দিন যায় , দুই দিন যায় এমনি করে গাছটা বড় হতে লাগল । এক সময় মাস চলে গেল । কিন্তু গাছটিতে কোন ফুল ধরল না। প্রতিদিন অপেক্ষায় বসে থাকে ইমন , যেন আজ গাছটায় কোন ফুল দেখবে । কিন্তু কোন ফুল ফুটে না সেখানে ! লতাটা মনে হল আকাশে উঠে গেছে। এক দিন সকালে ইমন লতা বেয়ে উঠতে লাগল । মনে হয় আর একটু উঠলেই লতাটার শেষ মাথা পাওয়া যাবে । কিন্তু শেষ মাথা আর শেষ হয় না। বেলা গড়িয়ে এলো পূর্ব আকাশে সূর্য উঠল, সে আরো উপরে উঠল । এখন অনেক উপরে উঠে গেছে সে। ক্লান্ত হয়ে গেল ইমন ,তাই সে ভাবল একটু জিরিয়ে নেই । তাই হল করল সে , সিম পাতার ছায়ায় বসে লতায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল । লতা আরো অনেক ...

চোরের এ কাল সে কাল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 চোরের এ কাল সে কাল চোর এসেছে চোর এসেছে মাঝ রাইতের পরে , উত্তর পাড়ায় হিং দিয়েছে  মনু মিয়ার ঘরে ! শিক কেটেছে শিক কেটেছে করিম বেপারীর পিছন জানালার উপরে। চারিদিকে হৈ চৈ ডাকা ডাকি  চোর আইছে চোর ! চোরের ভয়ে জাগল সবাই  ভাবছে আবার , এত রাইতে পরেও কেনে  হয় আবার ভোর । অনু চোরের বউ ঘুমিয়ে নাই যে কোন ভয় , চুরির লাগি হেতের জামাই  সেরাম পটু হগলতেই কয় । আতি চুরি পাতি চুরি  বাদ দেয় নাই কিছু, অহন হেতি হিং কাটা চোর উন্নতি হয়ছে কিছু । ক্ষুধার জ্বালায় চুরি করে  নইলে থাহে উপুষ , গেদা-গেদির মুখের চাহন আর কি তাহে হুশ।  দিন-বদলের ছোঁয়ায় অহন বদলে গেছে সবি ! অহন সবাই সাধু  চোর কারে কইবি ? উপর তলার সাহেব এখন দামি ফ্ল্যাটের মালিক,  ২০|২৫ হাজার বেতন তাহার  কোটি কোটি টাকার তবে মালিক।  ঘুষের টাকা মানতে নারাজ  হাদিয়াতে খুঁশি, হাজার টাকার চাকরি করে সংসার খরচ লাখ টাকার বেশি।

ঘুমিয়ে গেছে কান্ডারি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আয় নিয়ে আয় ,বিষের বাঁশি ,অগ্নিবিণা  শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ; পরাণ ভরে শুনাব তুদের শিকল ভাঙার গান। কাণ্ডারি আজ ঘুমিয়ে গেছে হয় না ক প্রতিবাদ ! দিনের সূর্য ডুবে গেছে আজি নামল ধরায় নিঘুম কালো রাত #কবি শিশির আহাম্মেদ খান

মেঘ বালিকা (পর্ব 2)- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  মেঘ বালিকা (পর্ব 2)- শিশির আহাম্মেদ খান  ইমন দুপুরে স্কুল থেকে এসে বই খাতা ছুড়ে ফেলে সে ঐ চারা গাছটার কাছে গেল । ওমা গাছটা এত অল্প সময়ে এত লম্বা হল কি করে । এত দেখছি আমার মাথার উপরে উঠে গেছে। মনে হচ্ছে লতানো কোন গাছ । মনে হচ্ছে এক টুকরু মেঘ সব সময় ছায়া দিয়ে রাখছে প্রতি মূহুরতে গাছটা লম্বা হতে লাগল। ইমন চিনতে পারল এই গাছটার পরিচয় ।এটা একটা সিম গাছ । সে একটা কঞ্চি কুপে( গেড়ে) দিয়ে লতাটা কঞ্চিতে পেচিয়ে দিল। এক দিন যায় , দুই দিন যায় এমনি করে গাছটা বড় হতে লাগল । এক সময় মাস চলে গেল । কিন্তু গাছটিতে কোন ফুল ধরল না। প্রতিদিন অপেক্ষায় বসে থাকে ইমন , যেন আজ গাছটায় কোন ফুল দেখবে । কিন্তু কোন ফুল ফুটে না সেখানে ! লতাটা মনে হল আকাশে উঠে গেছে। এক দিন সকালে ইমন লতা বেয়ে উঠতে লাগল । মনে হয় আর একটু উঠলেই লতাটার শেষ মাথা পাওয়া যাবে । কিন্তু শেষ মাথা আর শেষ হয় না। বেলা গড়িয়ে এলো পূর্ব আকাশে সূর্য উঠল, সে আরো উপরে উঠল । এখন অনেক উপরে উঠে গেছে সে। ক্লান্ত হয়ে গেল ইমন ,তাই সে ভাবল একটু জিরিয়ে নেই । তাই হল করল সে , সিম পাতার ছায়ায় বসে লতায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়...

মেঘ বালিকা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেঘ বালিকা (পর্ব-১) (দস্যি ছেলে গল্পের বই থেকে নেওয়া) ইমন রাগ করেছে বড় বোন মনির সাথে। তাই মন খারাপ করে বসে আছে পুকুর ঘাটে। মনটা খুব খারাপ, সে পণ করেছে কারো সাথে কোন কথা বলবে না।সে সবার কাছে আঁড়ি নিয়েছে। সন্ধ্যা হয়ে এল বলে চারিদিকে আবছা অন্ধকার নামছে ।মাথার উপর পুকুর পাড়ে থাকা শিউলি গাছের ডাল ঝুলে আছে । কি মিষ্টি গন্ধ ছড়াচ্ছে শিউলি ফুলের। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু ঝড়া ফুল পড়ে আছে । ইমন বসে বসে সে ফুল কুঁড়িয়ে এক জায়গায় রেখে নিজের গেঞ্জি থেকে সুতা খুলে একটা মালা গাঁথল । এত সুন্দর দেখাচ্ছিল মালাটা ,দেখে ইমন ভুলেই গেল কিছুক্ষণ আগে তার মন খারাপ ছিল। পুকুর ঘাটে মালাটা রেখে বাড়ি ফিরে এল। সে সময় এদিক দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল মেঘ রাজ্যের রাজকুমারী মেঘ বালিকা...... মেঘ বালিকা সাদা মেঘের বেলায় উড়ে বেড়ায় ।যখন যে দিকে ইচ্ছে সে দিকেই উড়ে যায় ।মেঘ বালিকা পুকুরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেল পুকুর ঘাটে একটা মালা পড়ে আছে । মেঘ বালিকার প্রিয় ফুল শিউলি আর সেই ফুলের মালা তার চাই চাই ! তাই সে মালাটি উঠিয়ে নিল। মেঘ বালিকা মালা টা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগল, কোন রাজ পুত্র না ...

The mind is running- Shishir ahmed khan

Image
 The mind is running Shishir ahmed khan The mind is still running Pick up nuts on, The bank of the river Where it floats. In the sweet morning , the sun smiles In the dew water. The bride of this neighbourhood Drenches her red feet and takes away the water. The turns back and sees something with her eyes. What kind of illusion is hidden In her way . Karim is in jaile Thinks about it again and again After throwing In the net. Life goes on the way of life, On the shore of evening, Love peeps in the deepest of the heart, In the night.

বুকের মাঝে বিডি- দিলরুবা আহমেদ

Image
বুকের মাঝে  বিডি-  দিলরুবা আহমেদ সারা খুব লম্বা মেয়ে। লিকলিকে শুকনো। মাথায় সব সময় কাপড়ের টুপি পরে থাকে। চুল ঢেকে রাখে ধমীর্য় কারণে। সেও মুসলমান। অন্য দেশীয় মুসলমানেরা কেমন হয় জানার সাধ ছিল নিহার অনেক দিনের। এখন সারাকে পেয়ে সে বেশ পর্যবেক্ষণে মত্ত। একটা সরকারি স্কলারশিপে নিহা বেশ কিছুদিন হয় আমেরিকায় এসেছে। যতোটুকু পারা যায় পড়াশোনার ব্যস্ততার মধ্যেই সে জেনে নিতে চায় অচেনা অজানা এই মহাদেশটিকে।অবাক হয়ে চারদিক দেখে। কতো দেশের কতো রকমের মানুষের যে বসবাস এখানে! হরেক রকম মানুষ। লাল, শাদা, গোলাপি, বাদামি, কালো। যেন এক খিচুড়ি নিবাস। একেকজনের উৎপত্তিস্থল একেক মহাদেশে। আদি আর অন্তের দূরত্বই যোজন যোজন। বিশ্বের সব কানাকুনা থেকে সংগৃহীত হয়েছে যেন এই সকল মানব স্যাম্পল। তারপরে চানাচুরের বক্সে ভরে এক মহা ঝাকুনি। ঝাকুনির চোটে সোমালিয়ান সারাও এখন আমেরিকান হয়ে গেছে। কোথায় সেই আফ্রিকা মহাদেশ আর কোথায় এই আমেরিকা! ওয়াশিং রুমে কাপড় ধুতে গিয়ে সারার সঙ্গে নিহার আলাপ। সারার একটা কোয়ার্টার কম পড়েছিল কাপড় ড্রাই করতে। ডলার আছে সঙ্গে। কিন্তু লাগবে কোয়ার্টার। তিনটা কোয়ার্টার ...

রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা -(2) শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 জুয়েল :- সেই টাই ছিল সফলতার পুঁজি ! রাতুল :- বলিস কিরে ? জুয়েল :- ঠিকই বলেছি, নেতা ভাই কে আশীর্বাদ করেছে ভাই দুই হাতে কামিয়ে নিছে । আমি শুধু রুবেল ভাই এর আগে পিছে আছি । এই উছিলায় শ, কোটি হবে বোধ হয় কামিয়েছি । তাই দিয়ে কোন রকমে কষ্ট করে চলছি । রাতুল :- আমি থ, খেয়ে গেল ! একশ কোটি টাকার মালিক হয়ে ও কোন রকমে কষ্ট করে জীবন চলছে আর এই মুহূর্তে পাঁচ টাকার কয়েনের মালিক তাও কোন হতাশা নেই । আ'হ এইটাই বুঝি সুখ । এই জন্য ই জাতীয় আলোকিত অধ্যাপক "আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ " স্যার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, যার কোন সম্পদ নাই সে ফুটপাতে ইট মাথায় দিয়ে ঘুমাতে পারে । তার কোন ভয় থাকে না আর যে শত শত টাকার মালিক সে ঘরে ঘুমালে ও ভয় পায় । আবার যিনি কোটি টাকার মালিক, তিনি অট্রালিকা বানিয়ে থাকেন। টাকা গুলো ব্যাংকে রেখেও চিন্তার ভাজ কপালে । রাতের ঘুম হয়ে যায় উধাও ! স্যারের শেষ কথা তার সাথে আমি একমত হতে পারি নাই। কারণ আমার কোন সম্পদ নাই। কিন্তু আমি নিশাচর । শত চেষ্টায় ও ঘুমাতে পারি না রাতের বেলা ।  শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর "হিমুর " মতন আমিও হাটতে খুব ভাল...

বন্ধু - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 বন্ধু শিশির আহাম্মেদ খান তোর চোখে স্বপ্ন মাখা ঠোঁটে কার্নিসে প্রেম রাঙা ছুঁয়ে যাওয়া সূখ চমকে আছে প্রাণে । তুই ছিলি অতীতে আমার বন্ধু বর্তমানে তুই আছিস মনে ভবিষ্যতে থাকবি জেনে রাখিস বন্ধু বলছি আমি তুকে । হাজার গানের সূর গুলো বাজুক তোর কানে ! জনম ভরে ভাসব ভালো খুব গোপনে ! ভাবনার মিনারে ফুল ছিটিয়ে শত প্রদীপ জ্বেলে, করব স্বরণ তোর জন্মদিন এলে আজও আমি দাঁড়িয়ে একা অতীত স্মৃতির ভীড়ে ।

সরকারি জমিদার- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  সরকারি জমিদার শিশির আহাম্মেদ খান এই যদি হয় উপহার ? বছর না গুরতেই ভাংঙ্গন যার ! চেতনার ক্যাপসলে মুড়ানো বিষ যা করছে জাতিকে ছাড়খার। এত এত দুর্নীতি হচ্ছে চারিপাশটায় মানুষের মতন হলেও ওরা পিচাশ, ওরা অশিক্ষিত সরল মানুষের ভাত কেড়ে নেয় বলে আমরা শিক্ষিত, আমরা জাতির সব ! আসলে ওরা চুর লুটেরা ,বর্বর রক্ত খেকো রাক্ষস , সরকারি অফিসার নামের জমিদার ওরা ঘুষ খেয়ে সব করছে শেষ ।

মায়া- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
মায়া শিশির আহাম্মেদ খান  হয়ত বা কোন অজপাড়া গায় কোন এক শরষে ফুলের মাঠে এলো চুলে তুমি ছোটাছুটি কর আবীর রাঙা সন্ধ্যায় । হয়ত বা তোমার অপলক দৃষ্টি বাড়ির পথের পানে, এদিক ওদিক আড় চোখে খোঁজ কি আমায় আঁধার নামার ক্ষণে ? আজও তুমি অধরাই আছো স্বপ্ন লোকের পরে স্বপ্নে দেখা রাজকুমারী স্বপ্নে থাক পড়ে । যতই ডাকি ,যতই খুঁজি আসনা তুমি ফিরে অন্তহীন পথ ধরে , তুমি চলেছ তবু দূরে ।

রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ফুটপাতে রাতুল হাটছে , শ্রাবণের আকাশে রোদে- মেঘের খেলা । রাস্তায় তেমন কোন গাড়ি নেই ,দুই একটি অটোরিক্সার ছাড়া । এই অটোরিক্সায় চড়লে ভাড়া গুনতে হয় তিন গুণ। রাতুলের পকেট ফাঁকা, প্যান্টের পকেট ঝেড়ে পাঁচ টাকার একটা কয়েন পেল । হাঁটছে একা একা , অন্য সময়ে ঝানজটের কারনে ফুটপাটের উপরে হুন্ডা উঠে যেত । কিন্তু আজ রাতুল একা একা হাটছে, কাঠ ফাটা গরমে জীবন অতিষ্ঠ মনে হচ্ছে । উদ্দেশ্য বিহীন পথ ,অকস্মাৎ কালো রং এর বি এম ডব্লিউ গাড়ি এসে থামল। কালো গ্লাস নামিয়ে ডাকলেন রাতুল বলে । আমি এ দিক ও দিক তাকালাম, না কোন মানুষ আশে পাশে নাই । আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে বলছেন ? এখানে অন্য কেউ আছে না কি ! না মানে এই শহরে এত বড়লোক আমার পরিচিত কেউ নেই । আর পনাকে ও ঠিক এই মুহুর্তে চিনতে পারছি না .... আরে আগে গাড়িতে ওঠেন, পরিচয় বলছি । রাতুল :- এই বুঝি ফেসে গেলাম, শুনেছি এইরকম কালো গ্লাস লাগানো গাড়িতে করে মানুষ কে গুম করে । মনে হচ্ছে আরজাইল ফেরেশতা কাছা কাছি কোথাও আছে । কি করব বুঝতেছি না ,ইচ্ছে করছে প্রাণ পণ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই । কিন্তু এতে কোন লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না । তার চেয়ে নিরাপদে ...

ভাল থেক সুলতানা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ভাল থেক সুলতানা শিশির আহাম্মেদ খান ভালো থেক সুলতানা সূখে থেক চিরদিন স্বপ্ন বুনা চাদর ঝরিয়ে থেক তুমি ভাবনাহীন। কত কথা মনে আজ স্মৃতি হয়ে আছে, কত দিন কত পথ তুমি ছিলে পাশে। চোখে চোখে হাতছানি ভালবাসায় মুখর প্রতি ক্ষণে, আজ কেন সুলতানা কাদঁ তুমি একাকী খুব গোপনে