Posts

Showing posts from October, 2022

জীবনের অবসান - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  জীবনের অবসান । শিশির আহাম্মেদ খান।  এই দূর দিগন্তের বেলায় আলো ছায়ার খেলায়, মন ছুটে চলে ! মন হারানোর মেলায় । কবিতার বই হাতে এলো চুলে কিশোরী, ছুটে চলে দিক দিগন্তে ! আলতা রাঙ্গা পায়ে । শিশিরের আলিঙ্গন ষোড়শীর নগ্ন পায়ে, উন্মুক্ত হিমেল আবেদন উত্তরী সমীরণে। চাওয়া পাওয়ার হিসেবে লাভ ক্ষতির খতিয়ান, সন্ধ্যার আধাঁর নামুক হোক জীবনের অবসান। 28- 10- 2022

কখনও যদি মনে কর- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কখনও যদি মনে কর ! শিশির আহাম্মেদ খান। জীবনের গল্প টা যদি লিখতে পারতাম,  তবে দশটা উপন্যাস হয়ে যেত।  মাঝ বয়সে এসে ও একাকীত্ব এর সাথে বসবাস করা কি যে যন্ত্রণার  তা বলে শেষ করা যাবে না। ছোট্ট বেলায় আমার দস্যি পণার জন্য পরিবারের সবাই বিরক্ত ছিল। মা ভাই বোন সবাই চিন্তা করত আমাকে নিয়ে । মা বলত দেখ শাওন এত দুষ্টুমি করলে জীবনে মানুষ হতে পারবি না। আজ তাই মনে হয় , মানুষ হলাম আর কই! জীবন্ত একটা লাশ হয়ে বেঁচে আছি । জীবনের সব থেকে প্রিয় সঙ্গী এখন আমার মোটরসাইকেল টি । যাকে নিয়ে সারাদিন গুড়ে বেড়াই এখান থেকে ও খানে ।ছোট্ট বেলায় যখন হাইস্কুলে পড়তাম,  তখন একটা বাইসাইকেল ছিল।  স্কুলে যাওয়ার জন্য ছোট আপু কিনে দিয়ে ছিল।  সেই সাইকেল নিয়ে সারাদিন ছোটাছুটি করতাম। কত আনন্দ লাগত, জীবনের কোন মানে জানা ছিল না। ছিল না কোন দুশ্চিন্তার ছাপ। ক্লাস এইটে পড়ি তখন, আমাদের স্কুলের গণিতের শিক্ষক সাহাবুদ্দিন স্যার এর কাছে প্রাইভেট পড়ি। স্যার অংকে এত ভালো ছিলেন যে আশেপাশের অন্য স্কুল গুলো থেকে ও প্রাইভেট পড়তে আসত। স্যার সকাল ছয়টা থেকে দশটা আর বিকাল চারটা থেকে রাত আটটা প...

যৌবন - বর্ষা মল্লিক

Image
 যৌবন !  বর্ষা মল্লিক ; হে শ্যাম সুন্দর পদ্ম মালঞ্চ মনোহর শ্যামঙ্গী মোহিনী সাঁজি অপরূপ দেহে আজি ঝঙ্কার অলংকার সৌরভ দেহে লটায় কলোরব সৌরভে ভরপুর রূপে ভৌমর খুঁজে মধুপে দুগ্ধ উদ্ভিদের রসে চলন -- বলন চাকচিক্য বয়সে সাঁজ সজ্জা লাজ ভূলি তুচ্ছ আজ উচ্ছলতা চঞ্চচলা মাঝে চির যৌবন অম্লতীত রাজে

সেই রমনী - বর্ষা মল্লিক

Image
  চোখ মেলে দেখি সেই রমনী  সচল হয়ে উঠলো শিরা ধমনি  স্বপ্ন বিভোর মোর পাশে  আলেয়ার আলো নিয়ে আসে  লজ্জা শরম মাথায় খেয়ে রাখি  কিছুই না দিয়ে রেখেছো সব বাকি।  ১২/৭/১৮

চৈত্রের দুপুর - বর্ষা মল্লিক

Image
চৈত্রের দুপুরের রূপ ফুঠে উঠেছে  ফাল্গুন চৈত্র বসন্ত এসেছে  চৈত্র বসন্ত বরষা শেষে  প্রকৃতি ভয়াবহ রূপ এসে  ফাল্গুনে নতুন পাতার সমারোহ  পুষ্প -- পুষ্পে মঞ্জরী বিকশিত  ভ্রমরে গুঞ্জন ফুলে উড়ে  উদ্দমতায় উচ্ছল তারা নড়ে প্রচন্ড রোদের দাবদাহে সূর্য্য সমস্ত উত্তাপ উগলে পড়ে রৌদ্র তাপে অগ্নিমূর্তি ছারখার  দাবদাহে দগ্ধ শরীর অস্হীর সমাহার।

একুশে ফেব্রুয়ারী - বর্ষা মল্লিক

Image
একুশ মানে, শহীদ দিবস একুশ মানে,রক্তিম পাতা একুশ মানে,গৌরবোজ্জল আত্নত্যাগ একুশ মানে, মুক্তির চেতনা একুশ মানে,মাতৃভাষার অক্ষুন্ন আত্নহুতি একুশ মানে,বেদনার রক্তে রঙিন স্মৃতি চারন একুশ মানে,রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই একুশ মানে,উজ্জল দীপ্ত প্রান একুশ মানে,বাঙালি জাতির বলিষ্ঠ সংগ্রাম একুশ মানে,মুক্তির উষালগ্নে একটি চারাগাছ একুশ মানে,আত্নত্যাগের সমুজ্জল একটি মহান দিন একুশ মানে,ইতিহাসের একটি অম্লান অধ্যায় একুশ মানে,হংক্কার এর ধ্ধনি দৃঢ় প্রত্যয়ে বাঙালি জাতি এই কথায় বলি।

অজ্ঞাত কবির লেখা

Image
  যারা প্রায়ই হাসতে জানে এবং ভালোবাসতে জানে, যারা জ্ঞানী লোকের কদর পায়, আর পায় বাচ্চাদের আদর। সমঝদার সমালোচকের প্রশংসা পায় আর যারা মিথ্যা বন্ধুত্বের বেইমানী, সহ্য করতে পারে ! যারা সৌন্দর্যের পূজারী, যারা মানুষের মধ্যে মহত্ত্ব খুঁজে বেড়ায়। যারা প্রতিদানের প্রত্যাশা না করে নিজেদের উজার করে দেয় ; যারা অনাবিল হাসিতে হয়ে উঠতে পারে উচ্ছ্বসিত, গান গেয়ে যারা আত্মহারা হয় যারা পৃথিবীতে জন্মেছে বলে, পৃথিবীর বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া সহজ হয়েছে। যদি জানে যে অন্তত একটি জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে তারই চেষ্টায় , তাহলে তাই হবে জীবনের সার্থকতা, সাফল্য। 

ঘুম নিল ছুটি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ঘুম গুলি যে ছুটি নিল পরীর দেশে তাই এত রাতেও কেউ জেগে আছে মনের সীমানায় । তার দু চোখের তারায় স্বপ্ন গুলো হাতছানি দিয়ে যায় আপন করে পাবার অভিপ্রায় জ্যোস্না ঝড়া পূর্ণিমায় ।

অপেক্ষা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
কোনও এক চৌত্রের দুপুরে কাঠফাটা রোদে তপ্ত মেঠুপথ ধরে হাঁটছি একা আমি! উদ্দেশ্য হীন কোন খানে। মনের গহীনে একটাই প্রশ্ন তোমাকে ফিরে পাব কি জীবনে? আবার চলবে কি হাত রেখে আমার হাতে? হৃদয় জমিনে বিষণ খড়ায় তপ্ত মরুর বালুকা বেলা মরিচিকা হয়ে জ্বলে , তুমিই আসলে ভালবাসারবৃষ্টি ঝরবে মনের প্রান্তর জুড়ে । তুমি আসিলেই নতুন করে জম্ম নিবে চিরহরিৎ বন-মাঠ শত সহস্রী প্রাণ হৃদয় গহীনে বাজবে বাঁশি আপনারে ভূলে গাইব সখা তোমার গাওয়া গান। তোমার লাগি শূন্য হৃদয় তুমি এলে পূর্ণ হবে সব খান।

দিলাম সবী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  নন্দিত ললিতা কুসুম কুমারী সঞ্চিত ভালবাসা দিলাম সবী, ঠোঁট রাঙানো তার অস্থ যামিনী কি মায়া হ্যায় তার চোখের চাহনি। অভান্তর কিছু চাওয়া পাওয়ার মাঝে তার অস্তিত্ব চাই এই  জীবনে, তার চুম্বন আমার ঠোঁটে ! ভালবাসা একে দেয় হৃদয়ের পটে। কি আশার দুয়ার খুলে তার চলনে ! আজি ভালবাসা পড়ে রয় শুধু বিশ্বাসে। আশার অদৃপ্ত ক্ষণে, তার কথা আরও বেশি পড়ে যায় মনে।

খোকার বরশি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আটিম বাটিম টিপ টিপ খোকার হাতে বাঁশের ছিপ, বরশি  গেল কই  ? তা তা থৈ ! তা তা থৈ  ! রুই গিল্ল,  ভূই গিল্ল , লাফ দিল কৈ ! কাকড়াঁ মশাই যেন কসাই! কাটল খোকার বরশি তাইত খোকা কাঁদছে একা ডাকছে দেখ , জলদি এসো পিষি।

জনি লিভার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
                      জনি লিভার !                          একদিন ক্লাস সেভেন এ পড়া অবস্থায় লেখা পড়ার ইতি টানতে হল  কিশোর ছেলেটির। শুরু করল ফুটপাতে কলম বিক্রির কাজ । উদ্দেশ্য তার বাবা কে সাহায্য করা ।কালো বেটে চেহারার ছেলেটার জম্ম ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এ । বাবা মায়ের সাথে বোম্বাইয়ের ধারাবি বস্তিতে বাস করে । সেই ছেলেটি একদিন হয়ে উঠল ভারতবর্ষের জনপ্রিয় অভিনেতা।  ধারাবি বস্তি থেকে বলিউডের সুপারস্টার হওয়া এতটা সহজ ছিল না । বাবা ছিলেন সামান্য বেতনের মটর অপারেটর। তিনি যা বেতন পেতেন , তা দিয়ে পরিবারের ব্যয় মেটানো কঠিন ছিল। জনি ভাই-বোনদের মধ্যে বড় হওয়ায় দ্বায়ীত্ব গাড়ে এসে পড়ল। সে মাত্র 13 বছর বয়সে ফুটপাতে কলম বিক্রি করত সমবয়সী ছেলেদের সাথে। তখন ছেলেটা বলিউডের অভিনেতাদের অভিনয় নকল করে মানুষ জড়ো করে কলম বিক্রি করত। কিছুটা বড় হয়ে বাবার সাথে মোটর  অপারেটর এর কাজ করার সময় ধীরে ধীরে তার প্রতিভা প্রকাশ হতে লাগল। একদ...

তিতলি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
               তিতলি ! হামিদ সাহেব সহজ সরল একজ মানুষ ।অফিস থেকে ফিরে  এসে একটু চিন্তিত হয়ে বউ কে বলল ওগো শুনছো #কাল তিতলি আসছে । এই কথা শুনে হামিদ সাহেবের বউ রেগে মেঘে কাপড় চোপর ব্যাগে ভরে কাঁদতে কাঁদতে সোজা বাপের বাড়িতে রওনা দিল। হামিদ সাহেব শুধু হত ভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল ! রাতে হামিদ সাহেব না খেয়েই ঘুমিয়ে পরল।পরদিন সকালে কলিংবেল এর আওয়াজ এ ঘুম ভাঙ্গল ।দরজা খুলতে চোখ কপালে একি বউ দেখি হাজির । হাসতে হাসতে বউ ঘরে ঢুকে বলল তুমি খুলে বলবা না  ঘুরনিঝর এর নাম তিতলি ।আমি তো ভাবছিলাম কোন মেয়ে কে আবার .... এই কথা শুনে হামিদ সাহেব বেহুঁশ! 2018/10/10

হান্নান শাহ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হান্নান শাহ! শিশির আহাম্মেদ খান।  কত স্মৃতি, কত ভালবাসার ইতি কথা। এক সকালে ছুটলাম মহাখালী ডিওএইচ এর বাসায় ।উদ্দেশ্য নেতার সাথে দেখা করব।অনেক দিন কোন কথা হয়নি।সকাল 8:38 মিনিটে বাসার ড্রয়িংরুমে বসে আছি,আরো অনেক নেতা বসে আছে।তিনি দোতলা থেকে নিচে নেমে বললেন এদের চা দাও আমি আসতেছি ।একজন এসে চা দিয়ে গেল , বসে বসে পান করছি আর গল্প করছি অন্যদের।পনের মিনিট পর নিচে এসে সবার সাথে সংক্ষেপে কথা শেষ  করলেন ।আমি আর এক জন ছাত্র নেতা বসে আছি।উনি ইশারায় বললেন গাড়িতে উঠে বসতে। #গাড়িতে বসে আছি একটু ভয় কাজ করছে।তিনি বিরক্ত হলেন কি না ! তিনি ড্রাইভার এর পাশে বসে আছেন ।গাড় গুড়িয়ে বললেন বাবা সকালের নাস্তা করেছ। উত্তরে বললাম জি স্যার । তিনি বললেন আসলে প্রেসক্লাবে একটা প্রোগ্রাম আছে ,তাই সময় দিতে পারলাম না।সাথে থাক ভালো লাগবে ।গাড়ি জাহাঙ্গির গেট দিয়ে গাড়ি ফার্মগেট মোড়ে ।রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা চলছে ।হঠাৎ একটা ছয় তলা বাড়ি দেখিয়ে বললেন ,এই বাড়ি আমার ছিল আজ রাজনীতি করে বিক্রি করলাম ।জীবন অনেক কে দেখেছি জিরো থেকে হিরো হতে ।আর আমি হিরো থেকে নিঃস্ব হয়েছি। কথায় কথায় বললেন আজ আমার ...

মেজাজ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেজাজ! শিশির আহাম্মেদ খান। মেজাজ বুঝি হচ্ছে  গরম ঘামছে কপাল বেশ সব কিছুতেই লংকা ঢেলে খুঁজছো কেন সন্দেশ  ? সত্য কথা গোপন করে মিথ্যে কেন বলছে দেশের মায়া কবর দিয়ে  লুটপাটের দোকান ওরা খুলছে। দুর্নীতি আর স্বজন প্রিতিতে  দেশটা এখন শেষ আমজনতা অনাহারের দিনাতিপাতে, গুণ ছে ওরা ক্যাস ।

লোভ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
                            লোভ !                      (দস্যি ছেলে বই থেকে)                        শিশির আহাম্মেদ খান। দিদির কাছে শুনা। বহু বছর আগের কথা। মিশর দেশের বেদুইনদের কথা । সেই যুগে ব্যবসা বাণিজ্য ছিল প্রধান পেশা। তারা উটের উপর চড়ে এ শহর থেকে ঐ শহরে সওদা করে বেড়াত।তাদের মাঝে তিন ব্যাক্তি ছিল , একজন লোভী, একজন মিথ্যুক  ও আরেক জন ছিল প্রতারক। তারা সব সময় মানুষ কে ঠকাতে চাইত এবং কোন না কোন লোক তাদের কাছে প্রতারিত হত। সাধারণ মানুষ কে খুব সহজে বোকা বানাতে পারত। একবার গ্রামের লোকজন বিরক্ত হয়ে ওদের তিন জন কে গ্রাম ছাড়া করল। তারা গ্রাম ছেড়ে আসার সময় গ্রামবাসীদের বলে আসল আর কোন দিন তিন জন গ্রামে ফিরবে না।বিকেলের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে, তপ্ত  বালির উপর দিয়ে পূর্ব দিকে হাঁটতে লাগল। সাথে সামান্য কিছু খাদ্য ও পানি খাদ্য হিসেবে ছিল ।  কিন্তু কোন বাহন ছিল না পায়ে হেটে চলছে , কোন...