Posts

রোদ্দুর - সাদিয়া আফরিন

Image
  সেই মেঘবালিকার গল্প হোক শহরজুড়ে বৃষ্টি হোক রোদ্দুর হোক আজ শুধুই তার ডাকনাম পাতাভরা শব্দ টুকরোরা কালবৈশাখীর মতো মুখচোরা সব ভিজে যাক, শুধু বেঁচে থাক অভিমান

ব্যস্ততার অজুহাত - রুহুল আমিন শেখ

Image
  ব্যস্ততার অজুহাতে ফেলে রেখেছি কাজ, জানি কি গো সব ব্যস্ততার ইতি হবে আজ? অলস বসেও ব্যস্ততা দেখাই জীবন ঘিরে কত, ব্যস্ততা মানেই আসল জীবন ক'জন অবগত? ব্যস্ততা ঘিরে সুস্থ জীবন আলস্য চরম ব্যাধি, সময়ের মূল্য দিয়ে চলো সব আলস্য রোধি। অজুহাত নয় সত্যিকারে সময় মেনে চলি, মানতে বাধ্য হতেই হবে যদি মুখে বলি।

কখনও যদি মনে কর ! - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কখনও যদি মনে কর !  শিশির আহাম্মেদ খান । একটা বাঁকা জাম গাছের নিচে দাড়িয়ে আছে শ্রাবণ । অনেক পুরোনো এই জামগাছ টা ! এখনও দিব্যি সেই আগের মতোই কোমর বাঁকা করে দাঁড়িয়ে আছে অবিচল। এই গাছের নিচে আজ থেকে 20 বছর পূর্বে বর্ষা হাত ধরে বলে ছিল জীবনের কত শত স্বপ্নের কথা ।যা কিনা আজ বিষাদ রাঙা এক  যন্ত্রণার ইতিকথা। আজ এত বছর পরেও সেই স্মৃতি বুকে আগলে বেঁচে আছে শ্রাবণ। এখনও সেই দিন গুলোর হাতছানি দিয়ে যায় প্রতি মুহুর্তে। কিন্ত কেন এমন হল  ? কি ভুল  ছিল শ্রাবণের ভালবাসায়,  যার জন্য 20 টি বছর কারো পথ চেয়ে কাটিয়ে দিতে হল । কি আপরাধ ছিল তার  ? কেন ই বা ভাঙ্গনের ঝড়ে সব হয়ে গেল এলোমেলো !

বন্ধু - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 বন্ধু  ! শিশির আহাম্মেদ খান। তোর চোখে স্বপ্ন মাখা ঠোঁটে কার্নিসে প্রেম রাঙা  ছুঁয়ে যাওয়া সূখ  চমকে আছে প্রাণে । তুই ছিলি অতীতে আমার বন্ধু  বর্তমানে তুই আছিস মনে ভবিষ্যতে থাকবি জেনে রাখিস  বন্ধু বলছি আমি তুকে । হাজার গানের সূর গুলো বাজুক  তোর কানে ! জনম ভরে ভাসব ভালো  খুব গোপনে ! ভাবনার মিনারে ফুল ছিটিয়ে শত প্রদীপ জ্বেলে,  করব স্বরণ তোর জন্মদিন এলে  আজও আমি দাঁড়িয়ে একা অতীত স্মৃতির ভীড়ে ।

একটু শান্তির আশা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 যখনই খুব মন খারাপ হয় , হতাশা এসে ভিড় জমায় জীবনের অ-বেলায় ...... তখনই খোলা মাঠে  খোলা আকাশের নীচে  ছুটে যাই ,একটু শান্তির আশায় !  সকল দুঃখ্য উড়িয়ে দিয়ে  ঐ দূরের আকাশ সীমায় আমার মাঝে আমি কে ,যে খুঁজে পায়  ।

কিলিয়ান এমবাপ্পে - রুহুল আমিন শেখ

Image
 কিলিয়ান এমবাপ্পে _"_"_"_"_"_"_"_"_"_ পরাজিত ওই ফরাসি দুর্গে অপরাজেয় ধামাল ছেলে, ভালোবাসার আবেশ মাখানো নৈপুর দিয়ে খেলে। বিশ্ব শ্রেষ্ঠ আর্জেন্টিনা  অনুস্বীকার্য হয়ে আছে, ফ্রান্স নয় এমবাপ্পে তুমি একাই রয়েছো কাছে। অতিমানবীয় হয়তো কিছু তোমার মাঝে লুকিয়ে, সিংহের মতো একাই লড়ে দিচ্ছিলে সব চুকিয়ে। ভাগ্য ছিল না সহায় তোমার তাই তিক্ত পরাজয়, তোমার জন্য আগামি থাকলেও হয়ে তুমি ময়।

অধিকার- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 অধিকার! শিশির আহাম্মেদ খান।  বিনম্র শ্রদ্ধা , ভালবাসা অবিরাম , তার অধিকার আদায়ে চলছে আজও আমাদের মুক্তির সংগ্রাম  ! রক্ত গঙ্গায় স্নান করেছে এ জাতি বহুবার জীবনের বিনিময়ে চেয়েছে ভোট ভাতের অধিকার !

মুক্তিযুদ্ধের গল্প

Image
 তখন ১৯৬৯ সাল। এই বাচ্চা ছেলেটার নাম আদৌ জানা যায়নি। ঢাকায় প্রতিটি রাজপথে মিছিল চলছে। হঠাৎ এই ছোট্ট নাবালক শিশু মিছিলের সামনে চলে আসে, ওকে সামনে রেখেই মিছিল আগাতেই থাকে। এক সাংবাদিক এই ছবিটা তোলার পর ২য় ছবি তোলার জন্য রিল টানতে গিয়ে হঠাৎ বিকট গু/লি/র শব্দ হয় তারপর তাকিয়ে দেখে ছেলেটার বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছে মিলিটারিরা। বাচ্চা ছেলেটার ২য় ছবি আর তোলা হয়নি। (সুত্রঃ রাশিদ তালুকদার, তৎকালীন ফটোসাংবাদিক) '৩০ লক্ষ' শহীদদের মধ্যে একটি মাত্র 'গল্প' এইটি। স্বাধীনতার ওজন বুঝতে হবে। শুধু নামমাত্র গদ্য রচনা করলেই হবেনা। আসুন এই বিজয়ের মাসে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এদেরকে স্বরন করি।

হৃদয়ের উঠোন - রুহুল আমিন শেখ

Image
  কুয়াশাচ্ছন্ন হৃদয়ে উঠোন হতাশা তাই ঝাপসা করে রাখে, কে বলবে এখানেই কোমল মায়ায় বড় একটা হৃদয় থাকে? মুখের হাসি উবে গেছে উদাস দৃষ্ট দূরের গগন পানে, নেই তো জানা কোন কারণে ওখানে দৃষ্টি হারায় কিসের টানে! একলা থাকলে বিষন্ন লাগে জনসমাগমে বিতৃষ্ণা লাগে আরো, জানিনা তো কেন এমন হয় বলো যদি বা কেউ বলতে পারো। নির্ঘুম চোখ কি যে খুঁজে কি যেনো খুঁজে তৃষ্ণায় ভরা মন, শুধু হতাশা বাড়তে থাকে দিনকে দিন জীবনে সারাক্ষণ।

শেষ থেকেই শুরু - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  শেষ থেকেই শুরু ! শিশির আহাম্মেদ খান। ভুলে গেছি বললেই কি ভুলে থাকা যায় , সব শেষ বললেই কি স্মৃতি মুছাঁ যায়  ? শত আঘাতে হৃদয় ভাঙ্গলে ও রয়ে যায় তার চিহ্ন, হাজার যন্ত্রণায় জ্বলে ও থাকে মন তার মায়ায় মগ্ন। শত কবির কাব্যে যার বিচরণ আমার দু' চোখে দেখি তার স্বপণ, কারণে অকারণে সেই ত আমার প্রিয়জন আমি ভালবাসি তাকে সারাটা জনম । সুখে আছি বললেই কি সুখী হওয়া যায় , প্রিয় কিছু মুহূর্ত হাতছানি দিয়ে ডাকে আমায় । জমা আছে যত অভিমান দু পায়ে দলে আগামীর পথে, মিলবো দু জন এক মোহনায় দুঃখ্য সুখের ভেলায়। 12/12/22

জীবনের দৈর্ঘ্য - রুহুল আমিন শেখ

Image
  জীবনের দৈর্ঘ্য খুবই ছোট ভোরের ফোটা ফুলের মতো, কিংবা ধরো ভোরের শিশির ঝরার পরেই শুকিয়ে মৃত। বাড়ে বয়স কমে আয়ু দৈর্ঘ্যে প্রস্থে সমান তালে, স্বপ্ন আশার জীবন তরী সুখের পানি পায়না হালে। নিত্যদিনের চিত্ত ভরা বিত্ত ধনের আহাজারি, বাঁচতে শেখায় কতরকম  আশায় জীবন স্বপ্নচারী।

কৈশোর - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 কৈশোর ! #কবি শিশির আহাম্মেদ খান । কৈশোর পেরিয়েছি সেই কবে তবু আবার সেই দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে  করে ! মন বলে হয়ে যাই আবার দস্যি ছেলে,  প্রিয় মাঠে আবার মেতে উঠি সব বন্ধু রা মিলে । ডাংগুলি আর কানামাছি খেলার ছলে ছুটে বেড়াই সব ভুলে । ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ,ভরা পূর্ণিমার রাতে  উঠানে বসে দিদির কণ্ঠে গান শুনে হারিয়ে যেতাম ঘুম পাড়ানির দেশে। সকাল হলে বাবার ডাকে ঘুম ভাংক্ত মক্তবে যেতাম, কালেমা শিখতাম পরাণ ভরে।

সাদা কালো - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 সাদা - কালো ! শিশির আহাম্মেদ খান।  আমার সাদা-কালো পৃথিবীতে  তোমার রঙ্গিন জীবনে স্পর্শ চাই - কোন এক পৌঁষের রাতে  কুয়াশার চাদর ভেদ করে তোমার বুকে মাথা রেখে  আবেগী উষ্ণ ছোঁয়ায় ঘুমোতে চাই- আমি রাগে, অনু-রাগে জীবনের কোলাহলে  তোমাকে সঙ্গী করতে চাই !

কাতার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কাতার শিশির আহাম্মেদ খান কাতার এখন কাতার ধরে খেলছে  সবাই ফুটবল, কেউ জিতে উল্লাস করে কাঁদে কেউ মাঠে হেরে । হার জিৎ খেলার মাঝে চলছে যখন হইচই, গ্যালারির দর্শক বলছে চেঁচিয়ে আমার কাপটা কই  ? বিশ্বকাপের আসর জুড়ে মাতল সারা বিশ্ব, কে জিতল কে জিতল জিতল ফুটবল,  জিতল কাতার, মাতল সারা বিশ্ব। 

এই তো সেদিন - রুহুল আমিন শেখ

Image
 ____এই তো সেদিন____ """"""""""""""//\\""""""""""""""         রুহুল আমিন শেখ এইতো সেদিন প্রথম যেদিন দেখা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে করেছ পণ, আমার জন্য মৃত্যুকেও তুচ্ছ জ্ঞানে হাসিমুখেই করতে পারো বরন। যেকোনো মূল্যে প্রতিদিন‌ই দেখা গল্পগুজব চোখে চোখ রাখা, গল্পে গল্পে বেখেয়ালে যেত সময় তবু স্থির পাশাপাশি বসে থাকা। আস্তে আস্তে সম্পর্ক পুরনো হলো দেখো সাক্ষাৎ আকাঙ্ক্ষা গেল কমে, ভালোবাসার ধূমায়িত  রসায়ন প্রস্তর কিংবা পাথর হলো জমে। জীবন দেয়া সে তো দূরের ব্যাপার সময় দিতেও তালবাহানা কত, গাঢ় সম্পর্কটা হলো ঢিলেঢালা দেখা সাক্ষাৎ হয় না আগের মতো। সময়ের সাথে বদলে যায় সব মানুষ মন সম্পর্ক যত আছে, সব হারিয়েও দিব্যি বাঁচে মানুষ মুখোশ খুলে পরিচয় ভাসে পাছে। এইতো সেদিন নিজেকে আড়াল করে পাশ কাটিয়ে নির্দ্বিধায় চলে গেলে, অবাক বিস্ময়ের চেয়ে ছিলাম তোমার দিকে অপলক আঁখি মেলে। হয়তো তখন আবেগে অন্ধ হয়ে সব প্রতীজ্ঞা নিজের অজান্তে করে, বাস্তবতায় যেই না ফিরে এলে পালিয়ে বাঁচ...

তবু তার অপেক্ষায় - রুহুল আমিন শেখ

Image
 তবু তার অপেক্ষায় ____//----রুহুল আমিন শেখ--- ০৯-১১-২০২২ চোখের জলে লিখে যাচ্ছি নীল বেদনার কাব্য, মরা গাঙ বর্ষা এলেই হয় যেমন নাব্য। মনের আশা ফিরে আসায় লটকে গেছে বুঝি, সঞ্চিত সুখ তোর ফেরাতে হয়ে উঠবে পুঁজি। চোখের জল ফুরায় যদি কাঁদবো কেমন করে, শুষ্ক চোখে কখনো কি নোনতা জল ঝরে। তোর কাছেই রেখেছিলাম সুখের চাবিকাঠি, তুই হারাতেই সুখ হারানো জীবন হলো মাটি। জাগিয়ে আশা সর্বনাশা ঢেলে দিলি বুকে, বারা ভাতে ছাই ছিটিয়ে ব্যথা ঢাললি সুখে। সাগর যেমন কান্না পেলে জাগিয়ে তুলে ঢেউ, তেমনি মন উথাল পাতাল দেখলো নাত কেউ। ফুলের কুঁড়ি দিয়ে গেলি যত্নে রাখি তারে, তোর হারানোর কারন তো সে খুঁজছে বারে বারে। তাকে রেখে পথটা বেঁকে গেলে ভিন্ন পথে, সামান্য সুখ কতটা শোক হানছে কষ্ট ক্ষতে। অবুঝ ছেলে তোকে পেলে কতই হতো সুখী, দুটি মনে ক্ষণে ক্ষণে জাগিস পোড়ামুখী। চোখের জলে কষ্ট দলে জমছে হাহাকার, ভালোই আসিস কারো বুকে কতই চমৎকার।

আবার দেখা হবে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আবার দেখা হবে এ দেখা শেষ দেখা নয়, আবার কথা হবে  এ কথা ই শেষ কথা নয় । বন্ধু অভিমান রাখ যত হৃদয়ে পুষে ভালবাসার রং দিয়ে সব দিব মুছে , ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন ছিল যত আবার  সাজাব  নতুন করে । প্রণয়ের সেই ক্ষণ আজ ভেসে ওঠে সোনা ঝরা সকালের রোদ হয়ে .....

জীবনের অবসান - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  জীবনের অবসান । শিশির আহাম্মেদ খান।  এই দূর দিগন্তের বেলায় আলো ছায়ার খেলায়, মন ছুটে চলে ! মন হারানোর মেলায় । কবিতার বই হাতে এলো চুলে কিশোরী, ছুটে চলে দিক দিগন্তে ! আলতা রাঙ্গা পায়ে । শিশিরের আলিঙ্গন ষোড়শীর নগ্ন পায়ে, উন্মুক্ত হিমেল আবেদন উত্তরী সমীরণে। চাওয়া পাওয়ার হিসেবে লাভ ক্ষতির খতিয়ান, সন্ধ্যার আধাঁর নামুক হোক জীবনের অবসান। 28- 10- 2022

কখনও যদি মনে কর- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কখনও যদি মনে কর ! শিশির আহাম্মেদ খান। জীবনের গল্প টা যদি লিখতে পারতাম,  তবে দশটা উপন্যাস হয়ে যেত।  মাঝ বয়সে এসে ও একাকীত্ব এর সাথে বসবাস করা কি যে যন্ত্রণার  তা বলে শেষ করা যাবে না। ছোট্ট বেলায় আমার দস্যি পণার জন্য পরিবারের সবাই বিরক্ত ছিল। মা ভাই বোন সবাই চিন্তা করত আমাকে নিয়ে । মা বলত দেখ শাওন এত দুষ্টুমি করলে জীবনে মানুষ হতে পারবি না। আজ তাই মনে হয় , মানুষ হলাম আর কই! জীবন্ত একটা লাশ হয়ে বেঁচে আছি । জীবনের সব থেকে প্রিয় সঙ্গী এখন আমার মোটরসাইকেল টি । যাকে নিয়ে সারাদিন গুড়ে বেড়াই এখান থেকে ও খানে ।ছোট্ট বেলায় যখন হাইস্কুলে পড়তাম,  তখন একটা বাইসাইকেল ছিল।  স্কুলে যাওয়ার জন্য ছোট আপু কিনে দিয়ে ছিল।  সেই সাইকেল নিয়ে সারাদিন ছোটাছুটি করতাম। কত আনন্দ লাগত, জীবনের কোন মানে জানা ছিল না। ছিল না কোন দুশ্চিন্তার ছাপ। ক্লাস এইটে পড়ি তখন, আমাদের স্কুলের গণিতের শিক্ষক সাহাবুদ্দিন স্যার এর কাছে প্রাইভেট পড়ি। স্যার অংকে এত ভালো ছিলেন যে আশেপাশের অন্য স্কুল গুলো থেকে ও প্রাইভেট পড়তে আসত। স্যার সকাল ছয়টা থেকে দশটা আর বিকাল চারটা থেকে রাত আটটা প...

যৌবন - বর্ষা মল্লিক

Image
 যৌবন !  বর্ষা মল্লিক ; হে শ্যাম সুন্দর পদ্ম মালঞ্চ মনোহর শ্যামঙ্গী মোহিনী সাঁজি অপরূপ দেহে আজি ঝঙ্কার অলংকার সৌরভ দেহে লটায় কলোরব সৌরভে ভরপুর রূপে ভৌমর খুঁজে মধুপে দুগ্ধ উদ্ভিদের রসে চলন -- বলন চাকচিক্য বয়সে সাঁজ সজ্জা লাজ ভূলি তুচ্ছ আজ উচ্ছলতা চঞ্চচলা মাঝে চির যৌবন অম্লতীত রাজে

সেই রমনী - বর্ষা মল্লিক

Image
  চোখ মেলে দেখি সেই রমনী  সচল হয়ে উঠলো শিরা ধমনি  স্বপ্ন বিভোর মোর পাশে  আলেয়ার আলো নিয়ে আসে  লজ্জা শরম মাথায় খেয়ে রাখি  কিছুই না দিয়ে রেখেছো সব বাকি।  ১২/৭/১৮

চৈত্রের দুপুর - বর্ষা মল্লিক

Image
চৈত্রের দুপুরের রূপ ফুঠে উঠেছে  ফাল্গুন চৈত্র বসন্ত এসেছে  চৈত্র বসন্ত বরষা শেষে  প্রকৃতি ভয়াবহ রূপ এসে  ফাল্গুনে নতুন পাতার সমারোহ  পুষ্প -- পুষ্পে মঞ্জরী বিকশিত  ভ্রমরে গুঞ্জন ফুলে উড়ে  উদ্দমতায় উচ্ছল তারা নড়ে প্রচন্ড রোদের দাবদাহে সূর্য্য সমস্ত উত্তাপ উগলে পড়ে রৌদ্র তাপে অগ্নিমূর্তি ছারখার  দাবদাহে দগ্ধ শরীর অস্হীর সমাহার।

একুশে ফেব্রুয়ারী - বর্ষা মল্লিক

Image
একুশ মানে, শহীদ দিবস একুশ মানে,রক্তিম পাতা একুশ মানে,গৌরবোজ্জল আত্নত্যাগ একুশ মানে, মুক্তির চেতনা একুশ মানে,মাতৃভাষার অক্ষুন্ন আত্নহুতি একুশ মানে,বেদনার রক্তে রঙিন স্মৃতি চারন একুশ মানে,রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই একুশ মানে,উজ্জল দীপ্ত প্রান একুশ মানে,বাঙালি জাতির বলিষ্ঠ সংগ্রাম একুশ মানে,মুক্তির উষালগ্নে একটি চারাগাছ একুশ মানে,আত্নত্যাগের সমুজ্জল একটি মহান দিন একুশ মানে,ইতিহাসের একটি অম্লান অধ্যায় একুশ মানে,হংক্কার এর ধ্ধনি দৃঢ় প্রত্যয়ে বাঙালি জাতি এই কথায় বলি।

অজ্ঞাত কবির লেখা

Image
  যারা প্রায়ই হাসতে জানে এবং ভালোবাসতে জানে, যারা জ্ঞানী লোকের কদর পায়, আর পায় বাচ্চাদের আদর। সমঝদার সমালোচকের প্রশংসা পায় আর যারা মিথ্যা বন্ধুত্বের বেইমানী, সহ্য করতে পারে ! যারা সৌন্দর্যের পূজারী, যারা মানুষের মধ্যে মহত্ত্ব খুঁজে বেড়ায়। যারা প্রতিদানের প্রত্যাশা না করে নিজেদের উজার করে দেয় ; যারা অনাবিল হাসিতে হয়ে উঠতে পারে উচ্ছ্বসিত, গান গেয়ে যারা আত্মহারা হয় যারা পৃথিবীতে জন্মেছে বলে, পৃথিবীর বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া সহজ হয়েছে। যদি জানে যে অন্তত একটি জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনেছে তারই চেষ্টায় , তাহলে তাই হবে জীবনের সার্থকতা, সাফল্য। 

ঘুম নিল ছুটি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ঘুম গুলি যে ছুটি নিল পরীর দেশে তাই এত রাতেও কেউ জেগে আছে মনের সীমানায় । তার দু চোখের তারায় স্বপ্ন গুলো হাতছানি দিয়ে যায় আপন করে পাবার অভিপ্রায় জ্যোস্না ঝড়া পূর্ণিমায় ।

অপেক্ষা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
কোনও এক চৌত্রের দুপুরে কাঠফাটা রোদে তপ্ত মেঠুপথ ধরে হাঁটছি একা আমি! উদ্দেশ্য হীন কোন খানে। মনের গহীনে একটাই প্রশ্ন তোমাকে ফিরে পাব কি জীবনে? আবার চলবে কি হাত রেখে আমার হাতে? হৃদয় জমিনে বিষণ খড়ায় তপ্ত মরুর বালুকা বেলা মরিচিকা হয়ে জ্বলে , তুমিই আসলে ভালবাসারবৃষ্টি ঝরবে মনের প্রান্তর জুড়ে । তুমি আসিলেই নতুন করে জম্ম নিবে চিরহরিৎ বন-মাঠ শত সহস্রী প্রাণ হৃদয় গহীনে বাজবে বাঁশি আপনারে ভূলে গাইব সখা তোমার গাওয়া গান। তোমার লাগি শূন্য হৃদয় তুমি এলে পূর্ণ হবে সব খান।

দিলাম সবী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  নন্দিত ললিতা কুসুম কুমারী সঞ্চিত ভালবাসা দিলাম সবী, ঠোঁট রাঙানো তার অস্থ যামিনী কি মায়া হ্যায় তার চোখের চাহনি। অভান্তর কিছু চাওয়া পাওয়ার মাঝে তার অস্তিত্ব চাই এই  জীবনে, তার চুম্বন আমার ঠোঁটে ! ভালবাসা একে দেয় হৃদয়ের পটে। কি আশার দুয়ার খুলে তার চলনে ! আজি ভালবাসা পড়ে রয় শুধু বিশ্বাসে। আশার অদৃপ্ত ক্ষণে, তার কথা আরও বেশি পড়ে যায় মনে।

খোকার বরশি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আটিম বাটিম টিপ টিপ খোকার হাতে বাঁশের ছিপ, বরশি  গেল কই  ? তা তা থৈ ! তা তা থৈ  ! রুই গিল্ল,  ভূই গিল্ল , লাফ দিল কৈ ! কাকড়াঁ মশাই যেন কসাই! কাটল খোকার বরশি তাইত খোকা কাঁদছে একা ডাকছে দেখ , জলদি এসো পিষি।

জনি লিভার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
                      জনি লিভার !                          একদিন ক্লাস সেভেন এ পড়া অবস্থায় লেখা পড়ার ইতি টানতে হল  কিশোর ছেলেটির। শুরু করল ফুটপাতে কলম বিক্রির কাজ । উদ্দেশ্য তার বাবা কে সাহায্য করা ।কালো বেটে চেহারার ছেলেটার জম্ম ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এ । বাবা মায়ের সাথে বোম্বাইয়ের ধারাবি বস্তিতে বাস করে । সেই ছেলেটি একদিন হয়ে উঠল ভারতবর্ষের জনপ্রিয় অভিনেতা।  ধারাবি বস্তি থেকে বলিউডের সুপারস্টার হওয়া এতটা সহজ ছিল না । বাবা ছিলেন সামান্য বেতনের মটর অপারেটর। তিনি যা বেতন পেতেন , তা দিয়ে পরিবারের ব্যয় মেটানো কঠিন ছিল। জনি ভাই-বোনদের মধ্যে বড় হওয়ায় দ্বায়ীত্ব গাড়ে এসে পড়ল। সে মাত্র 13 বছর বয়সে ফুটপাতে কলম বিক্রি করত সমবয়সী ছেলেদের সাথে। তখন ছেলেটা বলিউডের অভিনেতাদের অভিনয় নকল করে মানুষ জড়ো করে কলম বিক্রি করত। কিছুটা বড় হয়ে বাবার সাথে মোটর  অপারেটর এর কাজ করার সময় ধীরে ধীরে তার প্রতিভা প্রকাশ হতে লাগল। একদ...

তিতলি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
               তিতলি ! হামিদ সাহেব সহজ সরল একজ মানুষ ।অফিস থেকে ফিরে  এসে একটু চিন্তিত হয়ে বউ কে বলল ওগো শুনছো #কাল তিতলি আসছে । এই কথা শুনে হামিদ সাহেবের বউ রেগে মেঘে কাপড় চোপর ব্যাগে ভরে কাঁদতে কাঁদতে সোজা বাপের বাড়িতে রওনা দিল। হামিদ সাহেব শুধু হত ভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল ! রাতে হামিদ সাহেব না খেয়েই ঘুমিয়ে পরল।পরদিন সকালে কলিংবেল এর আওয়াজ এ ঘুম ভাঙ্গল ।দরজা খুলতে চোখ কপালে একি বউ দেখি হাজির । হাসতে হাসতে বউ ঘরে ঢুকে বলল তুমি খুলে বলবা না  ঘুরনিঝর এর নাম তিতলি ।আমি তো ভাবছিলাম কোন মেয়ে কে আবার .... এই কথা শুনে হামিদ সাহেব বেহুঁশ! 2018/10/10

হান্নান শাহ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হান্নান শাহ! শিশির আহাম্মেদ খান।  কত স্মৃতি, কত ভালবাসার ইতি কথা। এক সকালে ছুটলাম মহাখালী ডিওএইচ এর বাসায় ।উদ্দেশ্য নেতার সাথে দেখা করব।অনেক দিন কোন কথা হয়নি।সকাল 8:38 মিনিটে বাসার ড্রয়িংরুমে বসে আছি,আরো অনেক নেতা বসে আছে।তিনি দোতলা থেকে নিচে নেমে বললেন এদের চা দাও আমি আসতেছি ।একজন এসে চা দিয়ে গেল , বসে বসে পান করছি আর গল্প করছি অন্যদের।পনের মিনিট পর নিচে এসে সবার সাথে সংক্ষেপে কথা শেষ  করলেন ।আমি আর এক জন ছাত্র নেতা বসে আছি।উনি ইশারায় বললেন গাড়িতে উঠে বসতে। #গাড়িতে বসে আছি একটু ভয় কাজ করছে।তিনি বিরক্ত হলেন কি না ! তিনি ড্রাইভার এর পাশে বসে আছেন ।গাড় গুড়িয়ে বললেন বাবা সকালের নাস্তা করেছ। উত্তরে বললাম জি স্যার । তিনি বললেন আসলে প্রেসক্লাবে একটা প্রোগ্রাম আছে ,তাই সময় দিতে পারলাম না।সাথে থাক ভালো লাগবে ।গাড়ি জাহাঙ্গির গেট দিয়ে গাড়ি ফার্মগেট মোড়ে ।রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা চলছে ।হঠাৎ একটা ছয় তলা বাড়ি দেখিয়ে বললেন ,এই বাড়ি আমার ছিল আজ রাজনীতি করে বিক্রি করলাম ।জীবন অনেক কে দেখেছি জিরো থেকে হিরো হতে ।আর আমি হিরো থেকে নিঃস্ব হয়েছি। কথায় কথায় বললেন আজ আমার ...

মেজাজ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেজাজ! শিশির আহাম্মেদ খান। মেজাজ বুঝি হচ্ছে  গরম ঘামছে কপাল বেশ সব কিছুতেই লংকা ঢেলে খুঁজছো কেন সন্দেশ  ? সত্য কথা গোপন করে মিথ্যে কেন বলছে দেশের মায়া কবর দিয়ে  লুটপাটের দোকান ওরা খুলছে। দুর্নীতি আর স্বজন প্রিতিতে  দেশটা এখন শেষ আমজনতা অনাহারের দিনাতিপাতে, গুণ ছে ওরা ক্যাস ।

লোভ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
                            লোভ !                      (দস্যি ছেলে বই থেকে)                        শিশির আহাম্মেদ খান। দিদির কাছে শুনা। বহু বছর আগের কথা। মিশর দেশের বেদুইনদের কথা । সেই যুগে ব্যবসা বাণিজ্য ছিল প্রধান পেশা। তারা উটের উপর চড়ে এ শহর থেকে ঐ শহরে সওদা করে বেড়াত।তাদের মাঝে তিন ব্যাক্তি ছিল , একজন লোভী, একজন মিথ্যুক  ও আরেক জন ছিল প্রতারক। তারা সব সময় মানুষ কে ঠকাতে চাইত এবং কোন না কোন লোক তাদের কাছে প্রতারিত হত। সাধারণ মানুষ কে খুব সহজে বোকা বানাতে পারত। একবার গ্রামের লোকজন বিরক্ত হয়ে ওদের তিন জন কে গ্রাম ছাড়া করল। তারা গ্রাম ছেড়ে আসার সময় গ্রামবাসীদের বলে আসল আর কোন দিন তিন জন গ্রামে ফিরবে না।বিকেলের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে, তপ্ত  বালির উপর দিয়ে পূর্ব দিকে হাঁটতে লাগল। সাথে সামান্য কিছু খাদ্য ও পানি খাদ্য হিসেবে ছিল ।  কিন্তু কোন বাহন ছিল না পায়ে হেটে চলছে , কোন...

ঋতু চক্র - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
           ঋতু চক্র  !         শিশির আহাম্মেদ খান।         গ্রীষ্ম দিল আম-কাঠাল আর রসে ভরা ফল ,          বর্ষা দিল সব ভাসিয়ে ঝরিয়ে কত জল।  শরৎ দিল নীল আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা !            হেমন্ত যে নেমন্ত দেয় নরম রোদে শিশির শুকানোর খেলা।            শীত এল যে কন কনিয়ে  হিমেল হাওয়া নিয়ে ,            বসন্ত তাই নওসা হয়ে বাসর সাজায় কৃষ্ণচূড়া দিয়ে ।

তুমি কি ঈশ্বর

Image
                     তুমি কি ঈশ্বর  ? এক দল ব্যবসায়ী একটি মিটিং এ যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হল। যাওয়ার সময় বলে গেলেন যে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে রাতের খাবার খাবে। কিন্তু মিটিং এ আলোচনা এত দীর্ঘ হল, যে সময় মত মিটিং শেষ হল না। খুব দেরী হওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছে,  বিমানে উঠার জন্য দৌড়ে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে গেলেন। দৌড়ানোর সময় একজনের সঙ্গে একটি টেবিলের ধাক্কা লেগে টেবিলের ওপরে রাখা ফলের ঝুঁড়ি থেকে ফলগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল ও নষ্ট হল। লোকটা আঘাত পেল কিছুটা , কিন্তু দাঁড়ানোর সময় পেল না। শেষ পর্যন্ত বিমানে উঠে সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। একজন আরেক জনের সঙ্গে বলাবলি করতে লাগল এই বলে , আমরা সময় মত বাড়ি পৌঁছাতে পারব। তার মধ্যে একজন উঠে দাঁড়াল এবং সঙ্গীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে , বিমান থেকে বেরিয়ে গেলেন।  তিনি বিমান বন্দরের বাহিরে এসে, যে টেবিলের সাথে ধাক্কা খেয়েছিলেন তার কাছে আসলেন।  টেবিলটা উল্টে পড়ে গিয়েছিল। টেবিলের উপর ফল সাজিয়ে 10 বছর বয়সী এক...

কখনও কখনও - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
কখনও কখনও  ! শিশির আহাম্মেদ খান।    কখনও কখনও মন আমার ঐ দিগন্ত সীমায় হারিয়ে যায়, লোকালয় ছেড়ে , দুর বহু দুরে যাই ছুটে যাই , নিজেকে আপন করে পাওয়ার আশায়।

ইচ্ছে করে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ইচ্ছে করে ,  শিশির আহাম্মেদ খান। ইচ্ছে করে , সত্যিই খুব ইচ্ছে করে কোন এক অচেনা হাত ধরে বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে নিজেকে ভিজিয়ে, তার সাথে বৃষ্টিস্নান করতে. .!  ইচ্ছে করে তার দু'চোখের  নদীতে সারাটা দিন ডুব সাঁতার খেলতে, তার স্পর্শে মাতিয়ে প্রহর তার সাথে ইশারায় কথা বলতে। তার আঙ্গিনায় তুমি বলেছিলে এই বরর্ষা শুধু তোমার আমার, তুমি তবে কেনো অভিমান করেছ, চাওয়া পাওয়া গুলো কেনো এত ব্যাবধান। ইচ্ছে করে সারাদিন ধরে তার আঙ্গিনায় করতে বিচরণ, কোমল ভালবাসা পেতে , চাইছে আমার মন। ইচ্ছে করে কারো বুকে মাথা রেখে থাকতে সারাজীবন, ভালবাসি বলে আমি তারে করব আলিঙ্গন।

নিরাশাবাদী

Image
      নিরাশাবাদী। রবার্ট ফুলটন বাষ্পীয় পোত  আবিষ্কার করেছিলেন।  হাডসন নদীতে যখন তিনি তার পোত'টি প্রদর্শনের আয়োজন করলেন।  তখন কিছু নিরাশাবাদী ও সংশয়ী ব্যাক্তি'রা সেখানে বলাবলি করতে লাগল,  এই পোত কখনও পানিতে চলবে না। কিন্তু পোত'টা চলা শুরু করলে ওরা আবার বলতে লাগল,  এই পোত আর কখনোই বন্ধ হবে না । কিন্তু পোত' টা যখন নিরাপদে বন্ধ হল । তখন ওরা বলতেছিল,  এটা আর চালু হবে না। কিন্তু এইটা যখন আবার চালু হল , তখন ওরা হতাশার গলায় বলল এইটা বেশি দিন টিকবে না। পৃথিবীতে একটা শ্রেণী সবসময়ই থাকে । যারা বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারে না।

চলবে জীবন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
চলবে জীবন ! শিশির আহাম্মেদ খান।  কত খানি পথ দিতে হবে পারি নেইত আমার জানা ! সূখ ছিল যা ধার নিয়েছে, দুঃখ্য বেচা কেনা। চলবে জীবন কেমন করে তা তো জানি না ! #তারিখ :-8/9/2005

দেমাক - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
দেমাক  ! শিশির আহাম্মেদ খান । (ঐশি আর মফিজ এর মাঝে গভীর প্রেম চলছে ,ঐশি বসে আছে মফিজ এর সাথে কথা বলছে দু জন ।) ঐশি :-আচ্ছা তোমার কি কোন কাণ্ডজ্ঞান নাই ? মফিজ :- কেন আমি আবার কি করলাম ? ঐশি  :- সে দিন বাবা তোমার নাম জিজ্ঞাসা করতেই ,তুমি কি বললে । মফিজ :- আমি আমার নাম বললাম মোঃমফিজ ঐশি :- কেন তোমার আর কোন নাম ছিল না ? সব জায়গায় আমি তোমার জন্য অপমানিত হই । মফিজ  :- নাম বলাতে অপমানের কি হল ? ঐশি :- অত ফালতু প্যাচাল করতে পারব না ।আর তোমাকে বলে রাখছি আমার বন্ধুরা তোমাকে দেখতে চাচ্ছে ।তুমি আবার উল্টাপাল্টা কিছু কর না । মফিজ  :- দেখা করলে উল্টাপাল্টা করব কেন ? ঐশি :- ঠিক আছে ,ও হ্যাঁ ভালো জামাকাপড় পড়ে এসো কিন্তু । মফিজ  :- তা আর বলতে হয়  ! (ঐশি তার বন্ধুদের নিয়ে মফিজের জন্য অপেক্ষা করছে ) লিজা :- কিরে তুর লাভার আসবে কখন ? ঐশি  :- বলে ছিলাম ত 10 টার মধ্যে থাকতে ।এখন ও আসছে না যে ..... লিজা :-ঐ যে একটা ছেলে সাইকেলে করে আসছে । ঐশি :- হ্যাঁ, কিন্তু ও সাইকেলে করে আসছে ! আজ মোটরবাইক কোথায় ,ওর না কোন commensence নাই। (লং শট মফিজের দৃশ্য! ) ঐশি ...

পথে দেখে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 পথে দেখে , শিশির আহাম্মেদ খান।  পথে দেখে তোমায় হারালো মন এ ভালোবাসা জানাই প্রথম চির সাথী আমি যে তোমার শোন তুমি আমার জীবন 

খুুনসুুটি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 খুনসুটি ! শিশির আহাম্মেদ খান।  ছোট্ট ছোট্ট খুনসুটি  আরো কিছু পাগলামি  এ যে মায়ারি বাঁধন  তুই আমার বড় বোন..... হাজার সূখের সূর্য তুই যে রোদ হয়ে মাখিস সারা গায়

মেজাজ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেজাজ ! শিশির আহাম্মেদ খান। মেজাজ বুঝি হচ্ছে  গরম ঘামছে কপাল বেশ সব কিছুতেই লংকা ঢেলে খুঁজছো কেন সন্দেশ  ? সত্য কথা গোপন করে মিথ্যে কেন বলছে দেশের মায়া কবর দিয়ে  লুটপাটের দোকান ওরা খুলছে। দুর্নীতি আর স্বজন প্রিতিতে  দেশটা এখন শেষ আমজনতা অনাহারের দিনাতিপাতে গুণ ছে ওরা ক্যাস ।

সময় - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 সময়  ! শিশির আহাম্মেদ খান। সময় ছিল গল্প বলার সময় ছিল সঙ্গে চলার সময় ছিল অনেক ! সময় এখন একলা পথিক  পায় না খুঁজে আবেগ ! সময় বুঝি অ-সময়ে থাকল বেজায় রেগে , সময়ের লাগি বসে থেকে কাটল সময় রেগে। শূন্য হতে সময় গুণে শূন্যে হল শেষ। সময় নামের পাগলা ঘোড়া ছুটছে দারুণ বেশ ।

শরৎ বর্ষণ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 শরৎ বর্ষণ ! শিশির  আহাম্মেদ খান। শরৎ এর দিনে, মুখর বর্ষণে                                              জল থৈ থৈ করে চারিধারে  ধূসর বলাকার পাখায় যায় উড়ে  দূরের কোন সে দিঘি পাড়ে । হিমেল হাওয়া যায় ছুঁয়ে  আমন ,আউশ এর ক্ষেতে, শাপলা ফুটে জামরি বিলে লাল সাদা আর নীল আবীর মেখে । ঘোলাটে মেঘের আড়াল থেকে  উঁকি দেয় রোদ এক ফালি হাসির ছলে  মুহূর্তে যেন আলো ছড়িয়ে পড়ে ঝলমল ধরণীর বুকে ।

আমি তারে ভালবাসি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আমি তারে ভালবাসি ! শিশির আহাম্মেদ খান।  নির্জনতার ও ভাষা আছে  কিন্তু আমি সে ভাষা বুঝি না, তোমার কপালে কালো টিপ খুঁজি না  !  ঠোঁটের কার্নিসের মিষ্টি হাসি খুঁজি না। শুধু জানি , তোমাকে খুব বেশি ভালবাসি ভালবাসি আর ভালবাসি  ! শরৎ দিনে মেঘের ফাঁকে  হলদে রংঙ্গের রোদের হাসি সবুজ পাতার আদর নিয়ে ফুটায় কলি স্বপ্ন মেখে  সুখ যে রাশি রাশি । আমি তারে ভালবাসি , ভালবাসি , ভালবাসি !

কলম সৈনিক - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কলম সৈনিক!     শিশির আহম্মেদ খান। আমি লিখছি ,আমি আরও লিখব, সত্য সদা উদ্ভাসিত এক মহাপ্রলয়। আসুক যত বাঁধা -বিপদ থাকুক যত ভয়, আমি সত্যের সৈনিক, নিশ্চিত হবে আমার জয়। জানি আমার খুন ,গুমের আছে ভয়! জেল জরিমানা,জুলুম অত্যাচার হতে পারে, তাতে কি আমি থেমে যাব ? সব খেলা হবে সাঙ্গ;  আমি জনতার লোক, এ মাটির সন্তান , এমাটি মানুষের জন্য,  দিতে পারি সাত জনম কুরবান । আমি ফেলানীর ভাই,বিশ্বজিৎ এর বন্ধু,  আমি সাগর -রুনির আত্মীয়  আমি অধিকার বঞ্চিত কোটি জনতার  প্রতিবাদের ভাষা। আমি ধর্ষিতা বোনের দু'ফোটা অশ্রুর জিজ্ঞাসা!  আমি উত্তাল সাগরের মতো প্রতিবাদী স্লোগান। আমি কোনও দলের নই  নই কোনও চেতনার । আমি এই বাংলার ছেলে আমি অধিকার বঞ্চিত জনতার ।

পিঁপড়ার জ্ঞান - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
পিঁপড়ার জ্ঞান! শিশির আহাম্মেদ খান।    পিঁপড়া খুবই ক্ষুদ্র একটা প্রাণী। এই প্রাণী গুলো সাধারণত গরমের সময়ে খাবার জমা করে রাখে । আর সে খাদ্য শীতের বৈরী সময়ে তারা খেয়ে বেঁচে থাকে। বিজ্ঞানীরা এক গবেষণার মাধ্যমে এ তথ্য আবিষ্কার করেছেন যে, পিঁপড়া খাওয়ার প্রয়োজনে মাটির নীচে যে শস্যদানা জমা করে সেগুলোকে জমা করার পর দু টুকরো করে ফেলে, যাতে দানাগুলো থেকে চারা উদ্গত না হয়ে যায়। কিন্তু ধনিয়ার দানাকে পিঁপড়া অভ্যাসের বিপরীত দুটুকরোর পরিবর্তে চার টুকুরো করে। এর করণ খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীগণ জানতে পারলেন, ধনিয়ার দানা দুটুকরো করে ফেললেও তা থেকে চারা উদ্গত হয়। চার টুকরো করলে আর উদ্গত হতে পারে না। তাই পিঁপড়া তাকে চার টুকরো করে। কে পিঁপড়াকে এই তথ্য দিলো? কে পিঁপড়ার মাথায় এই বুদ্ধি দিলো? পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন- [18] حَتّىٰ إِذا أَتَوا عَلىٰ وادِ النَّملِ قالَت نَملَةٌ يٰأَيُّهَا النَّملُ ادخُلوا مَسٰكِنَكُم لا يَحطِمَنَّكُم سُلَيمٰنُ وَجُنودُهُ وَهُم لا يَشعُرونَ [18] যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় স...

মহীয়সী নারী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মহীয়সী নারী,  শিশির আহাম্মেদ খান । কোন ইতর বদমায়েশের কথায়  তেমন কি আসে যায়, যখন কোটি কোটি মানুষ লিখেছে নাম হৃদয়ের মনিকোঠায়।  মহীয়সী নারী তিনি খালেদা জিয়া সম্মান , মর্যাদার মূর্ত প্রতিক, স্বাধীনতার সংগ্রামে যিনি  অকোতভয় বীর সৈনিক।  কোথাকার কোন লম্পটের কথায় তেমন কি আসে যায়, খালেদার সম্মান সেত  কোটি মানুষের মনিকোঠায় ।

স্মৃতির মিছিল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 স্মৃতির মিছিল ! শিশির আহাম্মেদ খান । হয়ত 'বা আজ তোমার বসবাস  হাজার জনতার ভিড়ে,  তবু ও তুমি একাকী  শূন্যতা রেখেছে তোমায় গীড়ে। হয়ত 'বা লক্ষ্য-কোটি কথার মধু  লাগছে তোমার তিতে,  বারে বারে হাতরে বেড়াও স্মৃতি  ফিরে যেতে চাও পুরোনো অতীতে। হয়ত 'বা দুঃখ্যরা সব ভিড় করেছে তোমার সূখের নীড়ে,  সূখ গুলো যে হারিয়ে গেছে হারানো দিনের সাথে।  তোমার প্রাসাদ এখন বন্দিশালার মতন চাপা আর্তনাদ রয়েছে মিশে,  ফেলে আশা গাছ তলার প্রেম অন্তহীন মুক্তির দিশার বেশে। হয়ত 'বা আজ শরৎ এর জ্যোৎন্সা  হয় না দেখা রাত জেগে , যান্ত্রিক কোলাহল কেড়ে নিয়েছে সব মনটা যে মরে গেছে ,নেই সে পাঁজরে ! হয়ত 'বা এখন আর শিউলি তলে আসনা  তুমি ফুল কুড়াঁনোর ছলে ! বাচ্চাদের স্কুলে ছুটেছ তুমি  অতীত স্বপ্ন গুলো পেছনে ফেলে। হয়ত 'বা কাজল কালো চোখ জোড়ায়  নেই, সে দিনের মতন ভালবাসা !  আপন নীড় ফেলে এখন  পথে পথে খুঁজে ফির ভাল বাসা । হয়ত 'বা সে দিনের সেই নির্জন পথে হাট না আর নগ্ন পায় , দামি গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে চলো তোমার কাক্ষী 'ত' ঠিকানায় । হয়ত 'বা তোমার হলদে পা...