Posts

অচিন গাঁয়ের - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  অচিন গাঁয়ের শিশির আহাম্মেদ খান হয়ত বা কোন অচিন গাঁয়ের অচিন পথের বাঁকে ফেলে আসা অতীত আমার হাত বারিয়ে ডাকে। আচল ভরা শিউলি নিয়ে লাজুক হাসি হাসে মিষ্টি মধুর সুভাষ ছড়ায় আমার চারি পাশে। অতীত নামের রূপালী ফ্রেইমে সোনালী কৈশোর বন্দি আজ, হাজারো স্মৃতির মেলায় যেন স্বপ্নের কারুকাজ। 

মায়ের মূল্য - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  মায়ের মূল্য মা বড় ধন রক্তের বাঁধন ধরণীর বুকে ; যতই  জঘন্য হও তুমি সকলের মাঝে , পুষ্পতুল্য পবিত্র তবু তুমি মায়ের কাছে। সন্তান যতই আগ্নেগিরি গড়োক মায়ের বুকে ! তবুও কেন সন্তানের মঙ্গল হোক এই কামনা জপে নিজ মনে । জানিনা সষ্টার এ কেমন খেলা মা যেন এক দয়ার সাগরে ভেসে চলা ভালবাসার ভেলা । যতই রচিত হোক না ভালবাসার স্মৃতি কথা তবু বলিব, বিধাতার পরে দুনিয়ার উপরে মায়ের ভালবাসার কাছে সব কিছুই বৃথা । দোলক বোলক আসমান বেদীয়া খোদার আরশে উঠেছে ছেদীয়া, তবু সন্তানের প্রতি ভালবাসা হয় নাক ম্লান। তার পদতলে নারী জাতির সম্মান ! এত আমার কথা নয়, বলেছেন আল্লাহ মহান। যতই আসুক বাধা বিজয়ের পথে মায়ের প্রার্থনা আছে তোমার সাথে , মার মতন এত আপন জন নেই আর এ দুনিয়াতে । ২৬\৩\২০১১

झंडा - शिशिर अहमद खान

Image
  झंडा शिशिर अहमद खान एक ध्वज? कई सवालों के जवाब देते हैं। , अनेक आशाओं का ज्वाला द्वीप हमें हाथ मिलाते हैं। एक पहचान उसे घेर लेती है इसकी जमीन पर एक नक्शा, लक्ष्य मानव रक्त के धब्बे हैं उसकी जमीन पर टिके रहो! उसकी जमीन पर टिके रहो! उसकी जमीन पर डटे रहो! करोड़ों लोगों की पुकार जिनकी आंखें जिंदा हैं, अनगिनत लोगों ने आंसू बहाए किसका शोक! के अंत के बाद मोरा अपने सम्मान की रक्षा के लिए जागता है सारा जीवन। नीले आकाश में विस्मय में उड़ो सदाबहार सीने में लाल सूरज चमक रहा है। एक विरोध, एक सवाल पूरी दुनिया को मेरा झंडा, मेरा अधिकार इसे जमीन में मिला दिया जाता है।

পতাকা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  পতাকা  শিশির আহাম্মেদ খান একটি পতাকা ? অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়। , অনেক আশার দ্বিপ শিখা আমাদের হাতছানি দেয়। একটি পরিচয় তাঁকে গীড়ে একটা মানচিত্র তার জমিনে, লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের রক্তের দাগ লেগে আছে তার জমিনে ! কোটি কোটি মানুষের হাহাকার জীবন্ত হয়ে আছে যার চোখে, অগণীত মানুষের অশ্রু ঝরে যার শোকে ! যুগ-যুগান্তরে অন্তলোকের পরে তার সম্মান রক্ষায় জাগ্রত মোরা সারাটা জনম ধরে। বিষ্ময়ে নীল আকাশে উড়ে চিরকাল চির-সবুজের বুকে লাল সূর্য টা ঝলমল করে । এক প্রতিবাদ, এক জিজ্ঞাসা সারা দুনিয়ার কাছে আমার পতাকা, আমার অধিকার তার জমিনেই মিশে আছে ।

ভূমিকম্প মিথিলা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
              ভূমিকম্প মিথিলা মিথিলা খুব সু-শ্রী একটা মেয়ে । পুরো মহল্লাহর পোলাপানের ক্রাশ হলো মিথিলা।  সবাই শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে তার দিকে । অনেকের সাথে ই প্রেম হয়ে হয়ে ও কেন জানি আটকে যায়। নয়ন মিথিলাকে খুব পছন্দ করে । তাই সুযোগ বুঝে প্রস্তাব দিয়ে দিল । নয়ন :- মিথিলা , এই মিথিলা  .... মিথিলা :-  কিছু বলবেন   ? নয়ন  :- কেমন আছ  ? মিথিলা :- ভালো আছি, আপনি ভালো আছেন  ? নয়ন  :- জি আমি ভালো , তোমাকে একটা কথা বলার ছিল  .... মিথিলা  :- জি বলেন ! নয়ন  :- I LOVE YOU মিথিলা  :-  OK,  কিন্ত কাউকে কি এক দেখাতেই ভালবাসা যায়  ? নয়ন :- কেন ভালোবাসা যাবে না  ? মিথিলা :- তাও ঠিক বলেছেন,  চলেন সামনের ঐ টং দোকানে বসে চা খেতে খেতে কথা বলি । নয়ন  :- চল ....              টং দোকানে বসে চা আর টোষ্ট খাচ্ছে মিথিলা আর নয়ন। নয়ন  :- দুই কাপ চা দেন তো মিথিলা  :- মামা আমাকে একটা টো...

রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা (3)- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  জুয়েল :- ভাই কি হল, ঘুমিয়ে গেলেন নাকি  ? রাতুল :- কে কে  ? অহ তুমি  ! জুয়েল  :- ভাই চলেন কিছু খেয়ে নেই । রাতুল :- খাব কোথায়  ? কোন হোটেল খোলা নেই,  একটা চায়ের টং দোকান ও খোলা নেই। জুয়েল  :- সে সব চিন্তা করতে হবে না । সব ম্যানেজ হয়ে যাবে । ওয়েড করেন। একটা গলি পথে গাড়ি ঢুকিয়ে ১০ তলা একটা বাড়ির গেটের সামনে গাড়ি থামল আর অমনি আলীবাবার চল্লিশ চোরের গল্পের মতন পাহাড়ের চিচিং ফাঁক এর মতন গেইট খুলে গেল। পার্কিং এ গাড়ি রেখে লিফট এ উঠল জুয়েল পিছন পিছন আমিও উঠে পড়লাম। লিফটে  উঠলে আমার ভূমিকম্পের কথা মনে পড়ে যায় । তবে এই সব নিয়ে চিন্তা করার এখন সময় নাই। কারণ এখন মাথার মধ্যে এই হোটেলে খাওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্ন গোড়পাক খাচ্ছে। জুয়েল ভিতরে ঢুকে গেল ,তার পিছন পিছন আমিও ঢুকে পড়লাম। একি ! এই মহামারী করোনার মধ্যে ,তার উপর  লকডাউন  এত এত মানুষ বাসা রেখে রেস্টুরেন্ট এ কেন খেতে আসে  ? নিজের মনে নিজেকে প্রশ্ন করছি  ! কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না । তবে খেতে খেতে বুঝতে পারলাম বেশিরভাগ পরিবারে লকডাউন চলছে। তাই রান্...

এই দেশ আমার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  এই দেশ আমার  শিশির আহাম্মেদ খান এই দেশ আমার তাই আমার অধিকার তাদের হাজার অন্যায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। আমার সেই সততা কে ওরা ভয় পায়, তাই ওরা আমাকে থামিয়ে দিতে চায় খুন, ঘুম, হামলা - মামলার জুঁ জুঁ দেখিয়ে মুক্তিকামী জনতাকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। ওরা মিথ্যুক, প্রতারক ,ওরাই জুলুম বাজ অসহায় জাতির মানবাধিকার হরণ করে তোলে চেতনার মিথ্যে আওয়াজ। তবুও আমি প্রতিবাদী হব করুক যত গুম খুন , হাজার মুক্তিকামী তরুণের আত্মদানে ধ্বংস হবে ফ্যাসিবাদের ক্ষমতার নগ্ন প্রাসাদ মুছে যাবে গ্লাণী, আবা ফিরে পাব মানবতা শান্তির কাননে ফুটবে কুসুম, হাসবে অসহায় জাতি লোভী কাপুরুষ, স্বার্থপর গুলো ধিক্কৃত হবে ইতিহাসে আস্থাখুড়ে বিলীন ওরা হবেই হবে ।

কালবৈশাখী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
কালবৈশাখী ঝড়ের তোরে বৃষ্টি এলো ঐ, খাল - বিলে জল ভরিল ডাঙ্গায় উঠল কৈ । কঁচি আমের ডাল ভাঙ্গিল  দস্যি ছেলের হৈ চৈ, ধান ডুবিল বানের জলে কেমনে ঘরে রই ! হাবু - বাবু , করিম-রহিম  কইরে তোরা কই ? ডুব স্যাতারে ধান কাটিব  আমি মিয়া দমের বেটা নই।  ভেজা ধানের গ্যাড়া দেখে কেমনে কথা কই ? কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিয়ে ঝোলায় ভরি খৈ ।

মিথ্যে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মিথ্যে শিশির আহাম্মেদ খান বিকেলের সূর্যটা আজ কেন এত লাল হল? আকাশের নীল বল কোথায় হারাল ; জানিনা কিসের আশায় সন্ধ্যাটা নেমে এল! কি ভুল ছিল বল, মন কেন এত দুঃখ্য পেল ? কিসের আশায় বল সে ভুল করে চলে গেল । রাতের আকাশে চাঁদের হাসি, কেন বল কালো মেঘে ডেকে গেল? কেন বল রাতের আকাশ হাজার তারার দ্বিপ নাহী জ্বালাল। সকলেইত সূখের গড়ে ঘুমিয়ে গেল আমার চোখের ঘুম বল কে কেড়ে নিল? জীবনের যত গল্প কবিতা, আজ সবই মিথ্যে হল ! আমার কাছে দিয়ে ছিলে যত প্রতিশ্রুতি,  আজ তা ভেঙে গেল । যন্ত্রণার আগুনে মন পুড়ে ছাই হল যা কিছু ছিল সবই তো সে নিল ! দেবার বেলায় সে শুধু দুঃখ্য দিয়ে গেল , তাই আজ জীবন হল এলোমেলো । ##লেখার সময় 08-04-2008

সোনার শৈশব -শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 সোনার শৈশব   শিশির আহাম্মেদ খান  হায় সোনার শৈশব  বন্দি এখন রূপোলি খাঁচায়  এদিক সেদিক গুড়ে -ফিরে মন সেদিন দিনটারে খুঁজে বেড়ায় । কত সাধের খেলনা পাতি কাদা মাটির  ঘর, পুতুল খেলার ছলে নব বধূ  হত সে  আমি হতাম বর। কত দিনের লুকোচুরি কত ঘরের কোণে, কত পাখির বাসা ভেঙে  উল্লাস করেছিলাম মোরা দুই জনে। এত বছর পরেও এসব স্মৃতি  বুকের মাঝে ঢেউ খেলে যায় , কোন সে গোপন প্রেমের টানে ছোট্ট বেলার বন্ধু তুকে খুঁজি আনমনে ।

অসমাপ্ত কিছু -শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 অসমাপ্ত কিছু শিশির আহাম্মেদ খান  অসমাপ্ত কিছু স্বপ্নের আনাগোনা  প্রতি দিন কেন এত পিড়াদেয় ? না পাওয়ার নীল সে বেদনায়  প্রতি রাতে দু চোখের ঘুম কেড়ে নেয় ! সাদা-কালো সব দুঃখ্য গুলো চুপি চুপি পরে থাকে মনের আঙ্গিনায়  ! কে কার খবর নেয় ,বল কার সুখের  তীর্থ ছেড়ে উল্টো রথে বল কে যায় ? 

কোথায় হারিয়ে গেছে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 কোথায় হারিয়ে গেছে শিশির আহাম্মেদ খান কোথায় হারিয়ে গেছে আদুরে সেই শৈশবের দিন গুলো, নিয়মের জানালা দিয়ে কোন সে পথে পালিয়ে গেল। পাড়ার সব দস্যি ছেলের দল সারাদিন কতশত দুষ্টুমি তে মাতিয়ে রাখতাম সব, চিরচেনা সে সময় ছিল জীবনের উৎসব। আজ আর নেই সে দিন মোবাইল ফোনে তা বন্দি, গেইম, ফ্রেইম আরো কত কি তে করেছে তাদের সাথে সন্ধি। আম আর বড়ই গাছের ডালে ছিল ডিল ছুঁড়ার প্রতিযোগিতা, বনে বনে সারাদিন গুড়ে ফিরে রোজ পাখির বাসার করিতাম খোঁজ। সকালের সে মক্তবে শিখতাম কত দোয়া আজ কাল সব কেমনে গেছে খোয়া ? শুক্কুর বারে আযান হলেই সবাই মোরা যাইতাম কলাপাতায় খির দিত , মজা করে খাইতাম।

বাংলা ভাষার ইতি কথা

Image
 বাংলা ভাষার ইতি কথা হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিলো দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা ফতওয়া জারি করেছিলো, “যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা ‘রৌরব’ নামক নরকে যাবে।” ঐ সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী নির্যাতিত বাঙালীদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ সালে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারী নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলাজীর বাংলা বিজয়ের মাধ্যম দিয়ে সেইদিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সাথে মুক্ত হয়েছিলো বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’। ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, “মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।” অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।” মধ্যযুগে মুসলিম...

প্রস্থান- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  প্রস্থান আহা আজি সন্ধ্যা নামার পরে ফিরব যখন আপন ঘরে আপনা হতেই তোমার কথা জাগবে জাগবে আমার মনে। জোনাক পোকার ঘুম ভাঙ্গিয়ে রাখব আমার সাথে , যখন আকাশ ভেঙ্গে জ্যোন্সারা সব আসবে ধরায় নেমে । তখন আমি তোমার কথা বলব তাদের সাথে, দক্ষিণ হাওয়ায় আসবে যখন হাসনা হেনার সুভাষ ভেসে। নিরব মনের ভাষা আমি বুঝব যখন রাত্রি তখন শেষে, কাঁদবে সবাই, ভিজবে নয় নিথর হয়ে থাকব তখন তাদের পাশে ।

ইশারায় প্রেম- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ইশারায় প্রেম  শিশির আহাম্মেদ খান চলনা একটু ভিজি শ্রাবণের কোন ঝুম বৃষ্টিতে, চলনা ছুটে বেড়াই মেঠু পথে প্রান্তরে । তোমার দু হাত ধরে নতুনের আহ্বানে নতুন করে তুলব সুর পুরনো কোন গানে। আবার হাসব আমরা প্রাণ খুলে আপন মনে, আবার লিখব কবিতা ডাইরীর পাতায়, তোমার নামে । আবার গাঁথব মালা কুঁড়িয়ে শিউলী, কৃষ্ণকথা ডাকবে আবার হাসবে সোনার গোধূলি।

ঝন্টু(2) - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
#ঝন্টু গল্পের  - (পর্ব-2)  দুই ভাই ছানা দুই টা এনে পিঞ্জরের ভিতরে রেখে দিল । মন্টু খুব খুঁশি ছানা দুই টা পেয়ে ।ছানা গুলোকে চালের খুদ ভিজিয়ে খাইয়ে দিল ঝন্টু নিজ হাতে । মন্টু তা দেখল , কি করে খাইয়ে দিতে হয় । তাদের এখন খুব ব্যস্ততা । নাওয়া - খাওয়া ভুলে শুধু ছানা দুইটার সেবা-যত্ন করতে থাকল । একদিন গেল, দুই দিন গেল , ছানা গুলো বড় হতে লাগল। ও মা কি সুন্দর পালক গজাচ্ছে ছানা গুলোর গায়ে । এখন ঝন্টু আর মন্টুর অনেক ভক্ত হয়ে গেছে ছানা গুলো । ঝন্টুর মা ও মাঝে মধ্যে ছানা গুলোকে খাবার দেয় । এখন পালক গুলো অনেকটা ওঠে পড়েছে । একটু আধটু ডাক দেয় । এই ডাক শুনে ঝন্টু আর মন্টু মহা খুঁশি । তারপর একদিন দুপুরে আকাশ কালো করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হল । সারা বিকেল ঝড় বৃষ্টির পরে ও রাত অব্দি চলল । ঝন্টু - মন্টু ঘরের মধ্যে থাকল , আর ভের হল না । খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ল ওরা ঝন্টু ঘুম থেকে ওঠে বাড়ির সামনের জমিতে জমে থাকা পানিতে ব্যাঙ ডাকছে শুনে দৌড়ে গেল। ঝন্টু ত অবাক , এত বড় বড় গোলা ব্যাঙ ! দেখতে হলুদ আর সাদা আর যখন ডাকে কেমন যেন লাগে । এসব দেখে মাথার মধ্যে একটা দুষ্টুমি খেলে গেল ...

যে দিকে তাকাই - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 যে দিকে তাকাই  শিশির আহাম্মেদ খান  যে দিক পানে তাকাই  বিপদের গন্ধ শুধু পাই ! যে দিকেই যাই অন্যায় আর অবিচার খুঁজে পাই।  মানুষে মানুষে মারামারি কাটাকাটি হিংসা বিদ্বেষ চরম আকারে দেখা যায় , যে কথাই আসে ভাবনায় ভাষা শহীদদের কথা মনে পড়ে যায় । যায় সেই ৭১ এর স্বাধীনতার কথা , বাঙালির রক্তে রাঙ্গিয়ে সবুজ দুর্বা ঘাস হারিয়ে ছিল সজীবতা । তবে আজও কেন চলছে এই রক্ত পাত ? রক্ত বন্যায় ভিজে এই মাটি মিটে নাই রক্তের স্বাদ ! আজও কেন হাজারো রফিক, বরকত , রক্ত দিয়ে যায় ; আমাদের এই স্বাধীন বাংলায়  ? কেন আজও শত মায়ের বুক খালি হয়ে যায়  ? ছেলের শোকে মা শুধু অশ্রু ঝড়ায় , নিষ্ঠুর এই এই বাংলায় ! তারিখ:১৫\০১\২০০৭

পত্রমিতা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 পত্রমিতা দেখ  চারিদিকে কত কোলাহল কত প্রেম ভালবাসার উল্লাস  সূখের আনাগোনা,  শুধু শূন্যতা পরে আছে আমার এই  । পত্রমিতা আজ তোমার ঘরে কত হাজার স্বপ্নের চলাচল , শত মঙ্গল প্রদীপ তোমার ঘরে আশার আলো জ্বেলে করে ঝলমল । অন্ধকারের চোরাবালিতে হাতরে বেড়াই কে রাখে আমার খবর। তোমার আকাশের মেঘ গুলি যে সাতটি রংঙ্গে সাজে আমার আকাশ আঁধার কালো গর্জে ওঠে মেঘে। তোমার বাগানের ফুলগুলি যে ছড়ায় সৌরভী ঘ্রাণ , আমার বাগানের গাছ গুলি যে শুকিয়ে  গেল প্রাণ।

ভুল স্বপ্ন- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ভুল স্বপ্ন  কবি শিশির আহাম্মেদ খান  বিছানার এপাশ ওপাশ করে আমি স্বপ্নে বিভোর,  কিছু প্রত্যাশার মায়া জালে আমি খুঁজি হারানো ভোর। তোর হাতের আলতো স্পর্শে ব্যাকুল আমার মন, কুয়াশার আড়াল হতে উঁকি দেয়া রোদ ডেকে আনে মিষ্টি দুপুর।  ঝনঝনিয়ে কাচের চুঁড়ি বাজছে পায়ের নূপুর,  কত প্রেম, কত ভালবাসা, ধ্বনিত সে সূর, লাগে সুমধুর।  শ্যাম কিশোরীর লাজুক ঠোঁটে  মিষ্টি হাসির রং ছড়িয়ে দুই গালে খেলে যায় টুল, স্বপ্ন সেটা ,তবু সত্য বলে করি আমি ভুল।

মেঘলা দিন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেঘলা দিন  শিশির আহাম্মেদ খান  মেঘলা দিনে বৃষ্টি ভেজা বিকেলে, বার বার তোর কথা পড়ছে মনে । হিমেল হাওয়ার পরশ ভুলায় তোর প্রেমের ঐ স্বপ্ন মায়ায়, তোর আকাশের ঐ সূখের আলোয় আমার পৃথিবী আজ আঁধার কালো। আমি আজ একলা মনে  তোর আশায় যাই দিন গুণে, তোর পৃথিবীর ফাগুন দিনে আমার দু' নয়ন ভাসে শাওন জলে। পুতুলের ঘড় যে গেল ভেসে  দেখে যা তুই,  এক বার এসে । তারিখ-10-08-2011

তোমার লাগি বলি -শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  তোমার কাছে শেখা বুলি আজ তোমার লাগি বলি কৃতী তোমার জগৎ জুড়ে  তবু তুমি গেলে জগৎ ছাড়ি....... হয়তো তুমি থাকবে বসে দূর আকাশের তারার বাড়ি আমরা না হয় সুদূর পানে থাকব চেয়ে  গাইব গান ,যা লিখা শুধু তোমারি ।

আমার শহর - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 আমার শহরে  আজ আমি অচেনা পাহাড় সম দুঃখ্য গুলো আজ ভালবাসার দামে কেনা। থমকে  যাওয়া পৃথিবী আমার  আজ সবই লাগে অচেনা, খুঁজে ফিরি সকাল সন্ধ্যা পাই না খুঁজে তার ঠিকানা ।

স্বপ্নের আনাগোনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  অসমাপ্ত কিছু স্বপ্নের আনাগোনা  প্রতি দিন কেন এত পিড়াদেয় ? না পাওয়ার নীল সে বেদনায়  প্রতি রাতে দু চোখের ঘুম কেড়ে নেয় ! সাদা-কালো সব দুঃখ্য গুলো চুপি চুপি পরে থাকে মনের আঙ্গিনায়  ! কে কার খবর নেয় ,বল কার সুখের  তীর্থ ছেড়ে উল্টো রথে বল কে যায় ? 

অভ্র -শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 লাজুক ঠোঁটের মিষ্টি হাসি বেজায় ভালবাসি, তার মায়া মায়া চোখের তারায়  স্বপ্ন রাশি রাশি । এই গায়ের ই  দস্যি ছেলে অভ্র  নামে ডাকি, সকল সূখের আবির মেখে শুভ্র মেঘে ঢাকি। 

আল জাজিরার খবর- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
আল জাজিরার খবর  শিশির আহাম্মেদ খান খবর এল আল জাজিরায় বাংলাদেশের ঘটনা, শাসক মশাই এলান দিল এসব কিছু মিথ্যাচারের রটনা । চায়ের কাপে উড়ছে ধুয়া চলছে কত আলোচনা, সবার মুখে প্রশ্ন শুধুই কি বলল আল জাজিরা? মান মেরেছে মান মেরেছে বলছে বাংলা মিডিয়া, এই বুঝি সব নাক কাটাগেল কাঁদছে শুধুই নৌকার মাঝিরা। নেড়া মাথায় হুল ফুটাল ঐ জাজিরার পাজিরা, জাতিসংঘে বিচার দিবে বাংলাদেশের কাজীরা। জাতিসংঘে বিচার গেলে মিলবে ধাঁধাঁর কিনারা, মাফিয়া বাদ বিবাদে রায় পাবেন তিনারা। 

মাতাল জাতি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মাতাল জাতি  শিশির আহাম্মেদ খান  আজব দেশের  মাতাল জাতি করবে কি আর  ! হরেক রকমের পাগল মিলে আজগুবি সব কারবার।  নতুন বছর করতে বরণ করল কি সব কান্ড,  নিজের সূখ কিনতে গিয়ে জনতার শান্তি করে দিল পন্ড।  ফরেন বোতল মদের নেশায় ডিজে গানের নৃত্য,  মঙ্গল ফানুস উড়িয়ে কেহ পুরায় কারো চিত্ত।

হৃদয়ের মোহনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হৃদয়ের মোহনা  শিশির আহাম্মেদ খান  তুমি আমার হৃদয়ের মোহনায় ভালবাসার শেষ ঠিকানা, তুমি অপরূপ, তোমার নেই কোন তুলনা, তুমি আমার অনন্যা । আমি ভালবাসি তোমায় তুমি কি তা বুঝনা । সকালের নরম রোদ হয়ে চুমু দিয়ে যাব তোমার নরম গালে, তুমি কখনও থেকনা আনমনা তুমি আমার অনন্যা। ওগো প্রিয়সী তামান্না তুমি আমার প্রথম প্রেমের সীমানা ।

সুখের অসুখ - সংগ্রীহিত

Image
 সুখের অসুখ  হাসপাতালে ২জন রোগী পাশাপাশি বিছানায় থাকেন। ২জনেই মৃত্যু শয্যায়। একজন রোগী থাকতো জানালার কাছে।বিছানা থেকে উঠে বসার মতো শক্তি ছিল না কারোরই। তবুও জানালার কাছে থাকা রোগীটি নার্স কে ডেকে প্রতিদিন বিকেলে এক ঘণ্টার জন্য জানালার পাশে উঠে বসতেন। অপলক চেয়ে থাকেন তিনি বাইরের দিকে... ১ ঘণ্টা পরে পাশের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীর কাছে বাইরে কি কি দেখল তাঁর বর্ণনা করতেন। তিনি প্রতিদিন বলতেন--"বাইরে অনেক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। ছোট ছোট শিশুরা মাঠে খেলা করছে। বাচ্চারা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে পানিতে..." পাশের বিছানায় শুয়ে শুয়ে রোগীটি এইসব কল্পনা করতো। আর মনের আকাশে উড়ে বেড়াতো মেঘেদের সাথে। অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করতো এসব বর্ণনা শুনে।হঠাৎ একদিন জানালার পাশে থাকা রোগীটি মারা গেলেন। পাশের বিছানার রোগীটি তখন নার্স কে অনুরোধ করলো তাকে যেন জানালার পাশের বেড এ থাকতে দেওয়া হয়।বিকেল হলো। সে আজ প্রকৃতি নিজ চোখে দেখবে। অনেক আশা নিয়ে কনুই এ ভর করে চোখ রাখলেন জানালায়... কিন্তু হায়!! সেখানে তো সাদা দেয়াল ছাড়া আর কিছুই নেই!!!! নার্স কে ডাকলেন,জিজ্ঞেস করলেন--"এখানে তো দেয়াল ছাড়া ...

অতীত কথন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 অতীত কথন কবি শিশির আহাম্মেদ খান  কেমন আছো ? কে ? কে  ? কে ? আমি বলছি ,আমি ; আমি টা আবার কে ? আমি তোমার ইতি,  আমায় তুমি সহসা ভুলে গেলে ? ও , মনে রাখার কি আছে, তা কি মনে করে  উল্টো পথে উকি দিলে ? আমার উপর রেগে আছো বুঝি ? সে অধিকার তুমি দাওনি ? শুধু শুধু ছলনার মায়া জালে বন্দি করে এ হৃদয় রক্তাক্ত করেছিলে । আজও তুমি আমার উপর  অভিমান করে আছো , তুমি কি কখনও আমাকে  বুঝতে চেয়েছ , নিজ থেকে ? আজও তুমি সেই আগের মতনই  রয়ে গেছো  ! কথাটা ভুল বলনি,  তোমাকে অন্ধের মতন বিশ্বাস করতাম বলে তোমার ছলনা বুঝার চেষ্টা করিনি, আমার হাত ধরে যে কথা দিয়েছিলে সে কথা তুমি রাখনি  । অসীম সুখের বাগান পেয়ে আমার তৃণসম হৃদয় জমিনে  তাই তুমি থাকনি । আমার অগোছালো জীবনটাকে তুমি আরো অগোছালো করে দিতে একটুও তোমার মনে বাঁধেনি ! ঠিক ই বলেছ,  আমি আসলেই স্বার্থপর  ; তাই মরিচিকার সুখ পেতে ভালবাসার দিয়েছি কবর , আজ তাই নিশ্ব আমি ভেঙ্গেছে সেই ঘর ! সবই আমার কপালের লিখন,  এখন বল ,তুমি কেমন আছো  ? তুমি বিয়ে করেছো নিশ্চয়ই,  তোমার বউ দেখতে আমার থেকেও স...

স্বপ্নচারী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  স্বপ্ন  শিশির আহাম্মেদ খান। স্বপ্ন গুলো তোলা থাক মনেরী দেয়ালে  ভালবাসা থমকে যাক তুর মনের খাম খ্যায়ালে ! আদরে আদরে আমি হারাব প্রতি ক্ষণে তোর রূপের মায়া তে !  তুর ঐ চোখের সাগরে  মাতব হায় ডুব সাঁতারে  বল না কি প্রেম লুকানো  তুর ঠোঁটের মুচকি হাসিতে। তুর প্রেমে পড়ি হ্যায়  সকাল কি সন্ধ্যা- রাত্রিরে , বল না তুই কি আমায় ভালোবাসিস এক জীবনে ?

হারাম খোর জাতি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হারাম খোর জাতি  শিশির আহাম্মেদ খান গরিব কাঁদে রোদ ,বৃষ্টি, শীতে  নেয় না কেহ খোঁজ  ! কষ্ট শুধু উপর তলায় নরম বিছানার খাটে  উঁকি দিয়ে যায় রোজ রোজ  ! হারাম টাকার মহল গড়ে উদর পুরে হারাম খাবার খাচ্ছ , ওরে ফুটপাতে ঐ পড়ে থাকা  অনাহারি মানুষ গুলি কেমন আছে তার খবর কি নিচ্ছ ? পৌষের শীতে কাঁপছে ওরা গরম কাপড় চাই রে পেটের ক্ষুধা মেটে না যাদের , কোথাও একটু মাথা গোঁজা ঠাই পায়রে । কে নেবে ওদের খোঁজ  কে দিবে গরম কাপড় ! দেবার মতন কেউ নাই রে। বক্তিতায় কত কথা ,টিভি টক শোতে মরে মরুক গরিব সবে হাজার টাকার মে কাপ কিনব ঘোষ চাই ,নইলে বউ রাগ করে বাপের বাড়ি যাবে ওরে ! ছেলে মেয়ের শীতের জামা কিনতে হবে লাখ টাকা চাই রে  ! দশ বারো সেট শীতের জামা  তবু নতুন জামা চাই রে  ! উপড় তলার মানুষ গুলো কেমন যেন ভাই অনাহারির খাবার কেড়ে নিয়ে  ক্যাসিনোতে উড়ায়  !

একশত বছর পরে -শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ক্যালেন্ডারের পাতায় ২১২১ সাল। আজ থেকে ১০০ বছর পর। লেখাটি যারা পড়ছেন, আমাদের প্রত্যেকের দেহ তখন মাটির নিচে। অস্তিত্ব তখন রূহের জগতে। দেখছি আমাদের তাকদীর, আমি জান্নাতি না জাহান্নামি। ইতিমধ্যে ফেলে যাওয়া আমাদের সুন্দর বাড়িটা হয়ত অন্যদের দখলে চলে গেছে,নেক্সট প্রজন্ম ভোগ করছে, পছন্দের কাপড়গুলো ব্যকডেটেড হয়েগেছে, শখের গাড়িটি হয়ত অন্য কেউ চালাচ্ছে। আর আমাদেরকে? খুব কম জনই স্মরণে রেখেছে। কেউবা ভাবেও না। হাতে সময় নেই!যাদের জন্য সব করতে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলাম! আচ্ছা, ব্যস্ততার এই জীবনে ..  আপনার দাদার কথা কত বার আপনি স্মরণ করেন? আপনার দাদীর চেহারা কি আপনার মনে পড়ে? পৃথিবীর বুকে আজকের এই বেঁচে থাকা, যার জন্য এতো হইচই, এতো মায়া কান্না— গত হওয়া অসংখ্য প্রজন্মকে টপকে আমরা এই জীবন লাভ করেছি। তেমনিভাবে আগামীতে অসংখ্য প্রজন্মের ভিড়ে হারিয়ে যাবে এই জীবন। যত প্রজন্ম আসছে আর যাচ্ছে, দুনিয়াকে বিদায় জানাবার, দায়িত্ব-ক্ষমতা অন্যের হাতে অর্পণ করবার, কিংবা কারো ইচ্ছা অপূর্ণ রেখে যাবার পূর্বে— খুব কম জনই সময় পায় ফেলে যাওয়া জীবনটা একটু ফিরে দেখবার। বাস্তবতা হচ্ছে, এই জীবনটা আমাদের কল্পনার চেয়েও ...

কমান্ডার জিয়া - শমসের মবিন চৌধুরী

Image
 মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমান্ডার জিয়া: খুব সম্ভবত দিনটি ছিল ৭ ই এপ্রিল, কালুরঘাট ব্রীজের পাশে আমরা অবস্থান নেই। পাক আর্মি খবর পেয়ে যায় মেজর জিয়া তার বাহিনীর সাথে আছেন। যুদ্ধ কালীন পুরা সময় টি পাক আর্মির কাছে এক নাম্বার টার্গেট ছিল মেজর জিয়াউর রহমান। পারলে আটক করা অথবা হত্যা করা। তারা ভুলেনি কে রেডিওতে পুরা পাক বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। পাক আর্মি তার সমস্ত শক্তি এক করে কালুরঘাট ব্রীজ এলাকায় শেল বর্ষন শুরু করে, সাথে গুলি তো আছেই, সেদিন ওই এলাকায় আকাশের বৃষ্টির ফোটার মত পাকিস্তানী শেল বর্ষিত হচ্ছিল। সামনে, পেছনে, ডানে, বায়ে সব দিকে গুলি। আমি জিয়াউর রহমানকে বললাম, “স্যার আপনি কোন বাংকারে চলে যান।” তখন তিনি আমার দিকে ফিরে বললেন, “ If a bullet has my name written on it, it will find me whenever. I will not to inside any Bunker. That will discourage my troops, we must led by example, not Just by command” যদি একটি বুলেটের উপরে আমার নাম লেখা থাকে, তবে এটি আমাকে খুঁজে পাবে যেখানেই থাকি।আমি কোনও বাংকারের ভিতরে যাবোনা। এটা আমার সৈন্যদের নিরুৎসাহিত করবে, আমরা উদাহরণ দ্বারা পরিচালিত...

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক (বীর প্রতীক)

Image
  কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক  (বীর প্রতীক) । রাইফেল হাতে এই কিশোর মুক্তিযুদ্ধার ছবিটা কত জায়গায় কতবার যে দেখেছি তার কোনো ইয়ত্তা নেই। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে, পোস্টারে, পেস্টুনে কিংবা ক্যালেন্ডারে। যতবারই দেখেছি ততবারই মনে মনে খুব জানতে ইচ্ছে করতো তিনি কি বেঁচে আছেন? নাকি শহীদ হয়েছেন? তবে ফেসবুকের কল্যাণে জানলাম তিনি বেঁচে আছেন। তিনি হলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক(বীর প্রতীক)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উচ্চ বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল আবু সালেক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে বই খাতা পেলে সীমানা পেরিয়ে কিশোরটি চলে গেল ভারতের আগরতলায়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে লোক বাছাই চলছিল। কিন্তু আবু সালেক বয়সে ছোট হওয়াতে ওকে কেউ-ই যুদ্ধে নিতে চাইল না। বাছাইয়ে না টিকে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি। ওর কান্না দেখে বাধ্য হয়ে ওকে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিত হল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের। আগরতলা থেকে আবু সালেক নিয়ে যাওয়া হলো মেলাগড় ক্যাম্পে। তারপর বড় যোদ্ধাদের সঙ্গে কিশোর আবু সালেক শুরু করল দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ।  এমনি একদিন ওরা ভীষণ যুদ্ধ করছিল চন্দ্রপুর গ্রামে। আবু সালেক সেই যুদ্ধে ছিল বাংক...

কৈশোর-শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কৈশোর   শিশির আহাম্মেদ খান  কৈশোর পেরিয়েছি সেই কবে তবু আবার সেই দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে  করে ! মন বলে হয়ে যাই আবার দস্যি ছেলে,  প্রিয় মাঠে আবার মেতে উঠি সব বন্ধু রা মিলে । ডাংগুলি আর কানামাছি খেলার ছলে ছুটে বেড়াই সব ভুলে । ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ,ভরা পূর্ণিমার রাতে  উঠানে বসে দিদির কণ্ঠে গান শুনে হারিয়ে যেতাম ঘুম পাড়ানির দেশে। সকাল হলে বাবার ডাকে ঘুম ভাংক্ত মক্তবে যেতাম, কালেমা শিখতাম পরাণ ভরে।

ভাসানী এক বিস্ময় !

Image
  ভাসানী এক বিস্ময়  ! পরবর্তী জেনারেশন কি চিনবে! এই মহান মানুষটা কে? চীন থেকে ফিরতি পথে পাকিস্তানে নেমেছিলেন মাওলানা ভাসানী। তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন তারা। মাওলানা ভাসানীর মাথায় তালের টুপী আর পরনে ছিলো লুঙ্গি; স্টেজে উঠেছেন ভাষণ দিতে.... ভাসানীর বেশ ভূষা দেখে দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে গুনগুন মন্তব্য "ইয়ে তো মিসকিন হ্যায়"! কোরান তেলাওয়াত দিয়ে ভাসানীর বক্তব্য শুরু হতেই শ্রোতাদের কণ্ঠে আরেকটি মন্তব্য ভেসে এলো "ইয়ে তো মওলানা হ্যায়"! ভাসানীর রাজনৈতিক বক্তব্য শুরু হতেই ঐ একই দর্শক শ্রোতারা বলে উঠলেন, "আরি বাহ্ ইয়ে তো পলিটিশিয়ান হ্যায়"! ভাসানী যখন বিশ্ব পরিস্থিতি ও বিশ্ব মোড়লদের শোষণ পীড়ন নিপীড়নের কথা বলতে শুরু করলেন তখন ঐ একই দর্শক শ্রোতারাই বলে উঠলেন "হায় আল্লাহ ইয়ে তো এস্টেট ম্যান হ্যায়"! মজলুম জননেতা, উপমহাদেশের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ইতিহাসের মহানায়ক মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

মিটফোর্ড হাসপাতাল ও শায়েস্তা খান

Image
 মিটফোর্ড হাসপাতাল ও কিছু স্মৃতি শায়েস্তা খান অসম্ভব দক্ষ একজন শাসক।  তিনি যথেষ্ট যোগ্যতার সাথে রাজকার্য করে মর্যাদার সাথে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি মোঘল সম্রাট শাহজাহানের শ্যালক ও আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন। অত্যন্ত উঁচু বংশের সন্তান বলে দিল্লীর দরবারে তার ছিল অপ্রতিহত প্রভাব। ১৬৬৩ সালে তিনি সুবাহ বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন। দাক্ষিণাত্যে থাকার সময় শিবাজির পাঠানো গুপ্তচরের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে বাংলায় তিনি একবছর পরে আসেন ও সুবাহদারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আজ যেখানে মিটফোর্ড/সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, সেই এলাকায় কাটরা পাকুড়তলী নামে একটি প্রাসাদে শায়েস্তা খাঁন বসবাস করতেন। তাঁর সময় ১৬৬৬ সালে জ্যাঁ ব্যাপ্টিস্ট টেভারনিয়ার নামে একজন পর্যটক ঢাকায় আসেন। তার লেখা ডায়েরি থেকে জানা যায় যে, তিনি শায়েস্তা খাঁনের সাথে ঐ প্রাসাদেই সাক্ষাত করেন। বর্তমানে প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার কোন চিহ্ন নেই। কিন্তু ঐ সময়ের বাবুবাজার ঘাটটি আজও বর্তমান রয়েছে কালের সাক্ষী হিসেবে। শায়েস্তা খাঁন তার সুবাদারির প্রথম দিকে এখানে একটি মনোরম ছোট প্রাসাদ, নহবতখানা ইত্যাদি তৈরী করে বসবাস শুরু করেন। পরে...

কাপাসিয়ার শহীদ দৌলত হোসেন খান বীর বিক্রম

Image
  কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান শহীদ দৌলত হোসেন মোল্লা বীর বিক্রম। শহীদ মো. দৌলত হোসেন মোল্লা, বীর বিক্রম নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তাঁকে। ভারতের হলদিয়া নৌবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করল মুক্তিবাহিনীর দুটি জাহাজ ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’। পলাশ জাহাজে আছেন মো. দৌলত হোসেন মোল্লা। তিনি জাহাজের ক্রুম্যান। তাঁদের লক্ষ্য, খুলনায় পাকিস্তানি নৌঘাঁটি দখল করা। মুক্তিবাহিনীর দুটি জাহাজের সঙ্গে আছে মিত্রবাহিনীরও একটি জাহাজ। খুলনার রূপসা নদীতে শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি আসামাত্র ঘটল এক আকস্মিক বিপর্যয়। এ সময় আকাশে দেখা গেল তিনটি জঙ্গি বিমান। সেগুলো জাহাজের ওপর চক্কর দিয়ে চলে গেল সাগরের দিকে। তারপর আবার এগিয়ে এল জাহাজগুলো লক্ষ্য করে। বোমা বর্ষণ করল। প্রথম ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হলো পদ্মা। পলাশের ইঞ্জিনরুমে জ্বলছে দাউ দাউ আগুন। একটু পর পলাশও ডুবতে থাকল। ডেকে শহীদ নৌমুক্তিযোদ্ধাদের লাশ পড়ে আছে। আহত যোদ্ধারা কাতরাচ্ছেন মৃত্যুযন্ত্রণায়। গুরুতর আহত মো. দৌলত হোসেন মোল্লা অনেক কষ্টে পানিতে ঝাঁপ দিলেন। এ ঘটনা ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের। জাহাজ দুটি ভারত থেকে রওনা হয় ৭ ডিসেম্বর। সেদিন দুপুরে পৌঁছে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে। মিত্রবাহিনীর বিমা...

মরিচিকার ভাবনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  মরিচিকা ভাবনা   শিশির আহাম্মেদ খান কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ  বেদনা করে ফিসফাস  নিরঘুম রাত কাটে অবাচিন দীর্ঘ শ্বাস । মিথ্যে প্রেমের আনাগোনা  দুঃখ্য তার ঠিকানা ! তুমি টা তুমি ছিলে  না আমার কল্পনা ?

ফকির মজনু শাহ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ফকির মজনু শাহ  ! শিশির আহাম্মেদ খান বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ফকির আন্দোলনের নেতা ফকির মজনু শাহ । মানুষটা ছিলেন ফকির, কিন্তু কারো কাছ থেকে কিছু নেয়া মানুষটার স্বভাবে ছিল না। হাদীসে নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন, ওপরের হাত নিচের হাতের চাইতে উত্তম। তাই তিনি কারো কাছে কিছু চাইতেন না, কঠিন পরিশ্রম করে নিজের রুযি রোজগার করতেন, বাকি সময় কাটাতেন আল্লাহর ইবাদতে। কেউ তার কাছে কিছু চাইলে ফিরিয়ে দিতেন না, কাছে যা থাকতো দিয়ে দিতেন। তার আসল নাম ছিল মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তালিব। জন্ম মেওয়াটে, সেখান থেকে মাদারিয়া তরিকায় বাইয়াত নিয়ে চলে এলেন কানপুরে। তিনি নিজের মুরশিদ ই আলা হিসেবে মানতেন ইমাম যাইনুল আবেদীন ইবন হুসাইন ইবন আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে। তাই সদকা দেয়া ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ এবং সদকা নেয়া ছিল অপ্রিয় কাজ। সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ ছিল তার সমস্ত কাজের মূলনীতি। আর এই করতে করতেই তিনি শেষমেশ লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেন ব্রিটিশ রাজের সাথে। এভাবেই, মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তালিব হয়ে গেলেন ইমামে মালাং ফকির মজনু শাহ বুরহানা। মধ্য ভারত থেকে পূর্বে বাঙ্গ, আর দ...

মুসলিম মনীষী - সাহাদত হোসেন খান

Image
  পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম পরিবর্তনের ঘৃণ্য চক্রান্ত- স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের সবগুলাে বই ল্যাটিনসহ অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়। তবে অনূদিত গ্রন্থগুলােতে পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নামও ল্যাটিনে অনুবাদ করা হয়। অন্য যে কোনাে ভাষায় কোনাে লেখকের বই অনুবাদ করার সময় কেবলমাত্র বইয়ের বিষয়বস্তু অনুবাদ করা হয়। কখনাে লেখকের নাম অনুবাদ করা হয় না। লেখকের নাম অনুবাদ করার এমন অদ্ভুত উদাহরণ ইতিহাসে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব দেশের কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের নাম অক্ষত রেখে অনুবাদ কর্ম সম্পাদন করা হলেও স্বর্ণযুগের মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের নাম অক্ষত রাখা হয়নি। ল্যাটিন ভাষায় মুসলিম পণ্ডিত ও বিজ্ঞানীদের নাম বিকৃত করার এই হীন প্রচেষ্টা অধ্যাপক সারটনের উক্তিকে সত্য বলে প্রমাণ করছে। আরবী গ্রন্থগুলাে ইউরােপীয় ভাষায় অনুবাদ করা হলেও গ্রন্থকারের ল্যাটিন নাম দেখে বুঝার উপায় নেই যে, তারা মুসলমান। প্রত্যেক মুসলমান গ্রন্থকারের নাম আরবীতে লম্বাচুরা হলেও ল্যাটিন ভাষায় তাদের নাম দেয়া হয়েছে, একটি মাত্র শব্দে। ইবনে সিনার পুরাে নাম আবু আলী আল-হুস...

আগমনী - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আগমনী শিশির আহাম্মেদ খান  সকালের রোদ এসে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় দোয়েল শিষ দিয়ে আগমনী দিন গুণে যায়, কুয়াশা মারিয়ে মুকুল ধরেছে আমের ডালায়  শাল-সেগুনের বনে সব পাতা ঝড়ে যায় । এত আর কিছুই নয় ,বসন্তের আগমনী হচ্ছে তাই ! দুর্বা ঘাসে শিশির কনা হাতছানি দিয়ে বলছে তাই, শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে  আগামীর বসন্ত কে স্বাগত জানাই।  প্রজাপতি উড়ে আসে রঙিন ডানায়, মাতাল হাওয়া এসে মন জুড়িয়ে যায় ! খেজুর রসে ভরে হারি , গাছি নিয়ে যায় বাড়ি, কত অমৃত সেই রস , চুমুকেই তৃপ্তির ঢেকুর ছড়ায়। অতিথি পাখি গুলি রোজ সকালে গান গেয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে যায় , সারা পৃথিবী গুড়ে আমি পাইনি হায় ! যে রুপ পেয়েছি এই বাংলায় ।

কল্পনার রং তুলি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কল্পনার রং তুলি শিশির আহাম্মেদ খান  কল্পনায়  অনেক কিছু বাস্তবে তা মিথ্যা, কল্পনায় যা ঘটে বাস্তবে তা কিতসা।  বাস্তব অনেক কঠিন  বুঝা বড় দ্বায়,  কল্পনা শুধু কল্পনায়  বাস্তবতা আর নয় । কল্পনার কলম খানি একটু না বাকাঁ! কল্পনার রং তুলি  অচিন পুরের ছবি আঁকা। কল্পনা ফুরিয়ে গেলে  বাস্তব যায় দেখা । ২৫\০৯\২০০৫ সালে লিখা

খলিফা উমর (রা) এর ঈদের শপিং

Image
   খলিফা উমর (রা) মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর ঈদ শপিং! ঈদের আগের দিন খলিফা উমরের (রা) স্ত্রী নিজ স্বামীকে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’। আরব জাহানের শাসক খলিফা উমর (রা) বললেন, ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’। পরে খলিফা উমর (রা) তার অর্থমন্ত্রী আবু উবাইদা (রা) কে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন। সমগ্র মুসলিম জাহানের খলিফা যিনি, যিনি সেই সময় প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পেয়ে আবু উবাইদার (রা) চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন আবু উবাইদা (রা) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। ১। আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না? ২।বেঁচে থাকলেও দেশের জনসাধারণ আপনাকে সেই মেয়াদ পর্যন্ত খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’ চিঠি পাঠ করে খলিফা উমর (রা) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে আবু উবাইদার (রা) জন্য দোয়া করলেন...

করোনার মিছিল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 করোনার মিছিল  শিশির আহাম্মেদ খান  মরব যখন একলা কেন  মরব সবাই মিলে ! করোনাভাইরাস বয়ে নিব ঈদের ছুটি পেলে । যানবাহন নাই থাকুক  যাব পায়ে হেটে, কার আগে কে যাবে  কাধে কাধে মিলে ! আহাম্মক এক মাতাল জাতি করোনার কি দুশ ? শহরের রোগ গ্রামের পথে চলছে ছুটে রোজ । করোনার ছোঁয়ায় লাশের মিছিল  বাড়ছে রোজ রোজ, তবু মোদের করোনার লাগি ডাকছি মিছিল, করছি করোনার ভোজ।