এভাবেই কতো অজানা বিস্ময়কর কাহিনী লুকিয়ে আছে জিয়াউর রহমান কে নিয়ে.........
প্রেসিডেন্ট জিয়া উলশী-যদুনাথপুর প্রকল্পের অগ্রগতি স্বচক্ষে দেখতে যশোরে এসেছেন। প্রকল্প প্রদক্ষিণ শেষে পিআরও জানালেন যে প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ সম্পন্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি তখন একটি দৈনিকের বার্তা সম্পাদক।
সে'সুবাদে ঠাঁই হলো তাঁর কাছাকাছি চেয়ারে! টেবিলে হরেকরকম খাবার সাজানো ছিলো। আমরা খাবার টেবিলে বসার প্রায় সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁর আসন গ্রহণ করে আমাদের প্রত্যেককে 'বিসমিল্লাহ' করার আহ্বান জানালেন।
সাংবাদিকদের কেউকেউ নিজেরাই ভাত ও বেগুন ভাঁজা পাতে তুলে নিলেও প্রেসিডেন্টের প্লেট ছিলো তখনো ফাঁকা! আমরা সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছি দেখে প্রেসিডেন্ট স্মিত হেসে বললেন, আমারটা এক্ষুনি আসবে, আপনারা শুরু করুন। প্রেসিডেন্ট না খেলে আমরা খাই কী করে!
এমন সময় প্রেসিডেন্ট এক চামচ ভাত নিলেন। ছোট্ট একটি বাটিতে তাঁর জন্যে গুঁড়া মাছের চচ্চরি এলো। এলো পাতলা ডাল। প্রেসিডেন্ট তৃপ্তিভরে তাই খেলেন ও খাবার শেষে 'আলহামদুলিল্লাহ' স্বগতোক্তি করলেন। আমরা মাছ-মাংস দিয়ে উদরপূর্তি করলাম।
এক সপ্তাহ পর খুলনার তদানীন্তন ডিস্ট্রিক নাজির প্রেস ক্লাবে এসে কথা প্রসঙ্গে জানালেন যে প্রেসিডেন্টের অফিস সেদিন তাঁর খাবারের বিল কতো হয়েছিলো জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছে!
আমি ব্যক্তিগতভাবে এবিষয়ে কৌতুহলী হয়ে পরে জানতে পারি যে প্রেসিডেন্ট জিয়া ডিস্ট্রিক্ট নাজিরকে ৬.৭৫ (ছয় টাকা পঁচাত্তর পয়সার) একটি ব্যক্তিগত ব্যাংক চেক পাঠিয়েছেন!
এদিকে আমি আশির দশকে মার্কিন মুল্লুকে পাড়ি জমাই এবং নিউইয়র্ক থেকে খবর পাই যে নাতনিকে নিয়ে স্কুলের পথে রাস্তা পারাপারের সময় বাস চাপা পড়ে অবসরপ্রাপ্ত অশীতিপর সেই ডিস্ট্রিক নাজিরের মৃত্যু ঘটেছে!
এসময় তাঁর পাঞ্জাবীর ঘড়ি পকেটে পলিথিনে যত্নকরে মোড়া জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত সেই ঐতহাসিক চেকটি সংরক্ষিত ছিলো!
©যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক Taser Mahmud
প্রেসিডেন্ট জিয়া উলশী-যদুনাথপুর প্রকল্পের অগ্রগতি স্বচক্ষে দেখতে যশোরে এসেছেন। প্রকল্প প্রদক্ষিণ শেষে পিআরও জানালেন যে প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ সম্পন্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি তখন একটি দৈনিকের বার্তা সম্পাদক।
সে'সুবাদে ঠাঁই হলো তাঁর কাছাকাছি চেয়ারে! টেবিলে হরেকরকম খাবার সাজানো ছিলো। আমরা খাবার টেবিলে বসার প্রায় সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁর আসন গ্রহণ করে আমাদের প্রত্যেককে 'বিসমিল্লাহ' করার আহ্বান জানালেন।
সাংবাদিকদের কেউকেউ নিজেরাই ভাত ও বেগুন ভাঁজা পাতে তুলে নিলেও প্রেসিডেন্টের প্লেট ছিলো তখনো ফাঁকা! আমরা সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছি দেখে প্রেসিডেন্ট স্মিত হেসে বললেন, আমারটা এক্ষুনি আসবে, আপনারা শুরু করুন। প্রেসিডেন্ট না খেলে আমরা খাই কী করে!
এমন সময় প্রেসিডেন্ট এক চামচ ভাত নিলেন। ছোট্ট একটি বাটিতে তাঁর জন্যে গুঁড়া মাছের চচ্চরি এলো। এলো পাতলা ডাল। প্রেসিডেন্ট তৃপ্তিভরে তাই খেলেন ও খাবার শেষে 'আলহামদুলিল্লাহ' স্বগতোক্তি করলেন। আমরা মাছ-মাংস দিয়ে উদরপূর্তি করলাম।
এক সপ্তাহ পর খুলনার তদানীন্তন ডিস্ট্রিক নাজির প্রেস ক্লাবে এসে কথা প্রসঙ্গে জানালেন যে প্রেসিডেন্টের অফিস সেদিন তাঁর খাবারের বিল কতো হয়েছিলো জানতে চেয়ে চিঠি লিখেছে!
আমি ব্যক্তিগতভাবে এবিষয়ে কৌতুহলী হয়ে পরে জানতে পারি যে প্রেসিডেন্ট জিয়া ডিস্ট্রিক্ট নাজিরকে ৬.৭৫ (ছয় টাকা পঁচাত্তর পয়সার) একটি ব্যক্তিগত ব্যাংক চেক পাঠিয়েছেন!
এদিকে আমি আশির দশকে মার্কিন মুল্লুকে পাড়ি জমাই এবং নিউইয়র্ক থেকে খবর পাই যে নাতনিকে নিয়ে স্কুলের পথে রাস্তা পারাপারের সময় বাস চাপা পড়ে অবসরপ্রাপ্ত অশীতিপর সেই ডিস্ট্রিক নাজিরের মৃত্যু ঘটেছে!
এসময় তাঁর পাঞ্জাবীর ঘড়ি পকেটে পলিথিনে যত্নকরে মোড়া জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত সেই ঐতহাসিক চেকটি সংরক্ষিত ছিলো!
©যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক Taser Mahmud
Comments