Posts

শীতের আগমনে শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ঘাসের ডগায় ঐ কে সে ডাকল এসে শীর শীরিয়ে ... কোন সে গাঁয়ের ও পাশ থেকে আনল ডেকে কুয়াশাকে । শিউলি ফুলের শুভাস নিয়ে মিষ্টি রোদের পরশ মেখে, আনল ডেকে হিমেল বাতাস  জামরি বিলের ও পাড় থেকে। খেজুঁর রসের মিষ্টি স্বাদে  প্রাণ জুড়িয়ে সব হাসে, নানা জাতের পিঠে খেতে যায় ছুটে সব মামার দেশে।  শিশির ভেজা সবুজ মাঠে সাঁজল আজি এমনি করে, নতুন ধানের হাতছানি তে কৃষাণ হাসে প্রাণ খুলে। তাল গাছের ঐ পাতার ফাঁকে  বাবুই পাখি বাসায় বসে, গায় সে গান নানান রসে  কাশঁ বনে শালিক হাসে। রাত বিরাতে ঝোঁপের ঝাঁড়ে শিয়াল ডাকে গলা ফাঁটিয়ে কোন  সে গাঁয়ের মেঠু পথে  গান গেয়ে যায় অচিন রাখালে।

বন্ধুত্বের ডাক

Image
বন্ধুত্বের ডাক  !   শিশির আহাম্মেদ খান। বন্ধু কেমন আছিস বল কি খবর , দেখাত হয়না কতদিন হল কথা হয় না বেশ কয়েক বছর। আগের মোবাইল ফোনে নাম্বার ছিল, সে ফোন চুরি হয়ে গেছে তার সাথে নাম্বার গুলো গেল হারিয়ে... মাঝে মাঝে ফেইসবুক এ উকি ঝুঁকি দিয়ে কথা হত কমেন্ট এ... মেসেঞ্জারে টুকটাক কথোপকথন সে ও ত খানিক বছর আগে। কৈশোরের বন্ধুরা সব ব্যস্ত এখন সময় হয় কোথায় , কখন বলবে কথা সুযোগ একটু থাকা লাগে.... ক্ষণিকের পৃথিবীতে এদিক ওদিক পড়ে আছি আমরা নিয়মের বেড়া জালে.... তোরা ছিলি,  তোরাই থাকবি এই হৃদয়ের গহীনে...।

জীবন নদীর বায়

Image
  জীবন নদীর বায় ! শিশির আহাম্মেদ খান।  আমি মেঘ হব শরৎতের নীলছে আকাশে বৃষ্টি হয়ে ঝরব তোমার আঙ্গি নায়। শিউলি ফুলের ঘ্রাণ হব স্নিগ্ধ সকাল সাঝেঁ, কত স্মৃতির মালা হব তোমার আমার অসমাপ্ত গল্পে । হলদে রংঙ্গে পাখি হব অলস দুপুর বেলা , জালি লাউয়ের পাতার ফাঁকে করব নানান খেলা। পুকুর ঘাটের শেওলা হব তোমার নগ্ন পা ছুঁতে, মধ্য দুপুর নূপুর বাঁজিয়ে আসবে যখন নাহাতে। গায়ের বাঁকে মেঠু পথের ধুলো হব মাখব তোমার পায়, তোমার শরীরের ঘ্রাণ শুকবো জীবন নদীর বায়।

ফিলিস্তিনের শিশু - শিশির আহাম্মেদ খান

  ফিলিস্তিনের শিশু!   শিশির আহাম্মেদ খান। ফিলিস্তিনের শিশুরা সব ঘুমিয়ে গেছে কয় না কথা কেহ ! লক্ষ্য বুমার আঘাত পেয়ে ছিন্ন ভিন্ন ওদের দেহ ! কাঁদছে আকাশ, কাঁপছে জমিন বিশ্ব সভা চুপ ! মানবতার গল্প গুজব বই পুস্তকে বদ্ধ এখন নাই তার কোন বাস্তব রূপ  ! বিশ্ব মোড়ল ধিক তোমাদের ধিক্কার মুসলিম নামী নেতা তুদের দাঁত , নখ হীন সিংহ! ফুর্তি করে কাটছে তুদের ফিলিস্তিনের খবর রাখিস না তোরা কেহ।

রক্ত গঙ্গা / শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 রক্ত গঙ্গা শিশির আহাম্মেদ খান। জুলাই মাসের ১৬ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত হাজার গুলি ছুড়ল পুলিশ! ঝড়ল কত রক্ত! সেই গুলিতে প্রাণ দিল যে আবু সাঈদ তার নাম যে, তার শোকে মিছিল হল , প্রাণ খোলা এক দম যে! প্রতিবাদ ছাত্র জনতার স্লোগান দিল আমার ভাই মরল কেন ? খুনি তুই জবাব দে ? সেই মিছিলে ও গুলি হল শহীদ কত শত যে! যায় নি জানা সেই শহীদদের হিসেব খানি গুম করেছে লাশ গুলি সে ! আকাশ বাতাস প্রকম্প্রিত লাখ গুলির শব্দে এমন হায়েনা দেখেনি জাতি বাংলাদেশের অব্দে ! কত মায়ের বুক খালি আজ, ক্ষমতায় থাকার দম্ভে মানুষ রুপি পিচাশ ওরা ,খামছে ধরেছে শহীদ মিনারের স্তম্ভে। শহীদ হল সোনার মানিক, কাঁদল তাহার মা ! আঁচল তাহার রক্তে ভেজা, চোখ দুটো অশ্রু ঝরার ঝর্ণা ! সেই শহীদে শামিল হল কত মায়ের কন্যা। সত্য আলো উদয়ের ক্ষণে বইছে দেখ কত রক্ত গঙ্গা ! তার স্রোতে ভেসে যাবে হাজার রকম অন্যায় ! সেই  ক্ষোভে পুরল শহর, জ্বলছে কত অগ্নি মশাল হাতে মিছিল ধরল ! মুগ্ধ, শাকিলের ভগ্নি। 

অজেয় তারুণ্য / শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  অজেয় তারুণ্য ! শিশির আহাম্মেদ খান। আজ রক্তাক্ত রাজ পথ আজ রক্তাক্ত ক্যাম্পাস আজ রক্তাক্ত জনপদ আজ রক্তাক্ত ক্যানভাস। আজ রক্ত জবার রং ছড়াল অধিকার আদায়ের মিছিলে, নতুন কুঁড়ির বুক ঝাঁঝরা হল স্বদেশী হায়েনার গুলিতে। নিজ দেশে পরাধীন যে জাতি গালি খায় রাজাকারের নাতি, শাসক, স্থাবক এক হয়েছে ধ্বংস করতে জাতি। হাজার জওয়ান অকাতরে দিয়ে গেল প্রাণ মুক্তির সোপান গড়তে, কামানের সম্মুখ এ, বুক পেতে দেয় যে তারুণ্য, তারা কি কভু পারে হারতে । লক্ষ্য বুলেট ছুড়তে পারে মারতে পারে লাখ, রক্ত ধুয়ে আসবে আলো আঁচল পেতে রেখ। ভয় কি মা কাঁদছ কেন  যত্ন করে আরেক টি বার, খোকা বলে ডাক! তোমার ছেলে আসবে ফিরে মা গো দুয়ার খুলে রেখ।

উপমা /শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  উপমা ! শিশির আহাম্মেদ খান। আমি তোমাকে নিয়ে আর লিখতে চাই না কোন কবিতা , কি গানের কথা, তুমিই হারিয়ে গেছ এ কথা আমি বিশ্বাস করি কি করে আমার অস্তিত্বে আছ মিশে পুরোটা জুড়ে..। পুরোনো স্মৃতি গুলো যেন নতুন লাগে বয়ে চলা স্রোত ধারারির মতন... যে ভালবাসা হারিয়ে গেছে আজও তা রেখেছি পুষে, করেছি তাকেই যতন। সময়ের কাছে হার মেনে ছিলাম সে দিন তোমাকে হারিয়েছি যখন, আজ এখানে থমকে দাঁড়াই তোমার জন্য বুকের বা পাশে তুমি আছ আগেরী মতন। দু চোখের লোনা জল শুকিয়ে গেছে হয় নাই নদী পদ্মা , মেঘনা , যমুনা.. তোমার আমার ভালবাসা গল্প,  কবিতার মাঝে বেঁচে থাক জম্ম জরমান্তরের হোক উপমা। 2/7/2024

স্মৃতির আর্তনাদ / শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 স্মৃতির আর্তনাদ।  শিশির আহাম্মেদ খান । স্মৃতির চাদর জড়িয়ে তুমি হাস অনাবিল সুখে, যন্ত্রণার কালো মেঘে ঢেকে আছে জীবন নিয়মের কোন সে অসুখে । ভাললাগা সেই বিকেলে উড়ে বেড়ানো দাউস ঘুড়ি নেই আর নীল আকাশে  চরকা কাটা চাঁদের বুড়ি। কই গেলি সব খেলার সাথী কইরে তোরা কই  ? কতদিনের লুকোচুরি, গোল্লা খেলার ক্ষণ  তোদের কথা ভেবে ভেবে কাঁদে আমার মন।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কথা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ধীরেন্দ্রনাথ দত্তর কথা কারো মনে আছে  ?  ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে আমরা ভুলে গেছি, মনে রাখিনি। ইতিহাস মুছে ফেলে বর্তমান নিয়ে মশগুল আমরা অতীত ভুলে যাচ্ছি। একদিন ইতিহাস মুখ ফিরিয়ে নেবে। সেদিন নিকট-কাছে... '' তাঁর মৃ'ত্যুর পর গায়ে থুতু দেয়ার জন্য তাঁর ম'রদেহ বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বলছি কিংবদন্তি  ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কথা যদি জিজ্ঞেস করি কে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব রাখেন? সেই ইতিহাস আমরা অনেকেই মনে রাখি নি। ইতিহাসে যিনি আড়ালেই থেকে গেলেন।  পাকিস্তান স্বাধীন হয় ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ই আগস্ট। মাত্র ছয় মাসের মাথায় করাচিতে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ খ্রীষ্টাব্দে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে যিনি স্পষ্ট ভাষায় দাবি তুলেন - “বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা হোক”, সেই মানুষটির নাম ‘ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’।  ধীরেন্দ্রনাথ দত্তই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলে ছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সেই দাবি পাকিস্তান পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়। তারপরই ভাষা আন্দোলনের সূচনা ঘটে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘পূর্ব পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লাখ মা...

২১ তাই কথা বলে- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ২১ তাই কথা বলে। শিশির আহাম্মেদ খান । সালাম হে বীর শহীদ ভালবাসা অবিরাম তোমাদের প্রতি তোমাদের কাছে আমরা চির ঋণি  কোন কিছুর বিনিময়ে এ ঋণ শুধ হবে না জানি। কোটি কোটি বাঙ্গালীর মনের আ’কুতি  বাংলায় বলব কথা,এ ছিল প্রাণের মিনতি। ৫২ ছিল জাগ্রত, ফেব্রুয়ারির ২১ তাই কথা বলে রফিক, বরকত, জব্বার,  শফিউল দের রক্ত স্রোতে অবাক বিস্মিত আজ বিশ্ব লোকালয়ে । মাতৃভাষা বাংলা চাই ! বাংলা চাই ! মাতৃভাষা বাংলা চাই ! আজও কানে বাজে সে স্লোগান,  নতুন দিনের প্রেরণায় প্রাণে তোলে শিহরণ  মায়ের ভাষার জন্যে ওরা দিয়ে গেল জীবন।  মাতৃভূমি, মা জননী আর মাতৃভাষার সম্মান  শত বুলেট বুকে পেতে নিতে পারে জাতি ৮ ই ফাল্গুন এই কথাই বলে, শিমুল পলাশের বনে রক্ত জবার রং  রাজপথ রঙিন হয়েছিল আমার ভাইয়ের খুনে। কোকিল, শালিক,  বউকথাকও যে ভাষায় কথা বলে যে ভাষায় রবীন্দ্রনাথ,  নজরুল,জীবন আনন্দ, আল-মাহমুদ , কবিতা লিখে! যে ভাষায় মা ডাকে খোকন সোনা বলে। সেই ত আমার মায়ের ভাষা , আমি চিনেছি তারে হাজার বছর ধরে।

হয়ত বা একদিন- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  হয়ত বা এক দিন !  শিশির আহাম্মেদ খান। হয়ত বা কোন একদিন পথ ভুলে তুমি আবার সেই পথে হাঁটবে, নতুন কিছুর আলড়নে নতুন করে মাতবে। হয়ত বা সেই দিন বুনো ফুল ফুঁটবে আবার শিমুল পলাশের বনে হারানো দিনের ভালবাসা সেদিন তুমি ভুলে হাটাহাটি করবে তুমি এলো চুলে। জোড়া শালিকের দল হাঁটবে আপন মনে। কতদিনের কত স্মৃতি এই পথেই না ছিল, আজ কে কেন এমনি করে সব কিছুই অতীত হয়ে গেল! বাঁশ বাগানের পাতার ফাঁকে ইষ্টিকুটুম মিষ্টি করে ডেকে, জানিয়ে দিবে মোড়ে কত কাছে ছিল তুমি আজ কে কত দুরে।

তোদের ঘিরে আবার ফিরে - রুহুল আমিন শেখ

Image
 তোদের ঘিরে আবার ফিরে। রুহুল আমিন শেখ।  ১৯-০১-২০২৪ তোদের ঘিরে আবার ফিরে পাচ্ছি যেন নতুন করে, সেই পুরনো দিনগুলো সব যেসব গিয়েছিলো ঝরে। প্রাণ খুলে খুব হাসতে পারি বলতে পারি মনের কথা, ভুলে যাবার রসদ জুগায় পুষে রাখা দুঃখ ব্যথা। খুব ভরসা রাখতে পারি সবাই আছিস আমার সাথে, সুখে দুখে পাশাপাশি সাহস দিয়ে দিনে রাতে। এখন আমি ভাবনা বিহীন যেথায় সেথায় ছুটতে পারি, তোরার সাথে আছি বলেই শূন্যে বাঁধি আশার বাড়ি। এখন আমি নির্ভাবনায় ধরতে পারি মৃত্যু বাজি, সঙ্গে আছিস বলে তোরা লাগামছাড়া দুষ্টু পাজি। এখন আমি ইচ্ছে মতো যখন তখন সবার সাথে, গল্প কথার কল্প লোকে হৃদয় ভাসাই রম্য খাতে।

আসে যদি - রুহুল আমিন শেখ

Image
  কষ্টের পাঁচিল টপকে সুখ আসে যদি পথ ভুলে, আমিও তারে করব গ্রহণ অতি আগ্রহে প্রাণ খুলে। বাঁধা দেবো না ফুলের ঘ্রাণ নাকে যদি সুবাস ছড়ায়, খুশি মনে কেউ যদি এই হৃদয়ের হৃদয় জড়ায়। কেউ যদি পাশে দাঁড়ায় এক জীবনের আপন হয়ে, দুঃখ কষ্ট যাই আসুক আপন হয়েই যাবে রয়ে। আমি যখন নীল বেদনার গভীর থেকে গভীর তলে, একটু একটু যাচ্ছি ডুবে মৃত্যুপুরীর গহীন জলে। ঠিক তখনই হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে নেবে বুকের কাছে, নতুন করে বেঁচে থাকার সুযোগ পেলে কেনা বাঁচে?

মনে পড়ে তোমাকে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
       মনে পরে তোমার কে !                 শিশির আহাম্মেদ খান।              তুষার  স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে  আকাশ পানে চেয়ে কি যেন ভাবছে আর বির বির করছে। তুষার  :- তুমিই আমাকে ভুলে গেছ, দুঃখ্য নেই।  সুখে থাক সারাটা জীবন  শুধু এই চাওয়া টা আমার প্রতিদিন। ঐ দূরের নীল আকাশ যেমন খুব কাছের মনে হয় , তেমনি তুমি যত দূরে থাক না কেন বুকের বাম পাশে খুব যত্নে আছ । আজও সেই আগের মতোই তোমাকে ভালোবাসি,  আজও তোমার প্রিয় ফুলের ঘ্রাণ আমি নিশ্বাস নেই।  আজও আমার মুহুর্ত গুলো তোমায় নিয়ে  চিন্তায় মগ্ন থাকে নিরবে । এই বুঝি ভালবাসা , তোমার কথা ভেবে চোখের কোন জল ছল ছল করে তবুও কাঁদতে পারি না । কাউ কে বলতে পারি না তোমাকে ছাড়া আমার পৃথিবী কতটা শূন্য ! 

আলোর আহ্বান- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আলোর আহ্বান ! শিশির আহাম্মেদ খান। আলো আসুক নতুন ভোরে ভালো থাকুক সবাই, অতীত দিনের কষ্ট যত মুঁছে যাক প্রত্যাশা তাই। রুক্ষ জমিন ভরে যাক সবুজে মাঠ গুলো থাক হলদে ফুলে রাঙা ! যুঁথী বনে ফুল ফুঁটেছে শুভ্র সতেজ প্রজাতির আনাগোনা । ষোড়শী কিশোরীর রাঙা ঠোঁটের হাসির মতন ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ুক ধরার বুকে, দুঃখ্য গুলো সব বিদায় হোক শান্তি নামুক  ধরায়  । ছচ্ছ জলে ঢেউ খেলে যাক শান্ত নদীর বাকে, মানুষ গুলো সব মানুষ হয়ে এই পৃথিবীতে যেন থাকে। শিশিরের জলে স্নান করে শুদ্ধ হোক সবে, মিথ্যা গুলো সব হারিয়ে যাবে সত্য আসবে যবে। 1/1/2024

স্মৃতির আর্তনাদ- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
স্মৃতির আর্তনাদ  ! শিশির আহাম্মেদ খান। বন্ধু কোথায় আছিস,  কেমন  আছিস ? ঠিকানা টা কি বল ? আবার মিলব দু' জনে জমিয়ে আড্ডা দিব চল । চোখে চোখ রেখে বলব কথা হারাতে দিব না কখনও, আবার নতুন করে রাঙাব জীবন ছিল যত ভালবাসা পোরনো। আবার পরবে ঘন্টা ইসকুলের ক্লাসে টিফিনের সময়ে কোন কারণ ছাড়াই শুধু  গুড়  গুড় করব তোর আশেপাশে চোখে চোখে হাতছানি , কথা হবে নিঃশ্বাসে। বন্ধু মনে আছে কি সেই সব দিনের কথা কত শত স্মৃতির কোলাহল! ভাবনার মিনারে আজও  তুলে রেখেছি তোর আমার হারানো কৈশোর। জীবনের অনেকটা পথ পারি দিয়ে আজ সেই সব দিন গুলোতে ফিরে যেতে মন টানে, তোর আমার মধুমাখা খুনসুটি,  ভাললাগার ক্ষণ স্মৃতির চাদরে আগলে রেখেছি হৃদয়ের মাঝে। কতদিনের কত কথা আজও কানে বাজে তুই ছাড়া এই পৃথিবী লাগছে বিষণ বাজে। কেমন করে হারায় গেলি , পাই না আমি খুঁজে, দুঃখ্য সব আমায় দিলে , সুখ টা  রাখলিরে তুই নিজে!

জীবনের মূল্যায়ন- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 জীবনের মূল্যায়ন  !           শিশির আহাম্মেদ খান। জীবন থেকে আরো একটি বছরের বিদায় হয়ে গেল আজ। কত দ্রুত সময় চলে যায় ! একদিন এমনি করে মৃত্যু এসে হাজির হবে। মানুষ হয়ত কিছু দিন মনে রাখবে । তার পর সময়ের পরিক্রমায় নতুন প্রজন্মের উত্থান হবে। যারা জানতে পারবে না এ পৃথিবীর বুকে ওদের আগে কারা ছিল।  ওরা হয়ত আমাদের থেকেও বেশি ব্যাস্ত হয়ে পড়বে পৃথিবীর মায়ায় ! এক টি বারের জন্য কি মানুষ চিন্তা করে না ,মানুষ হয়ে মানুষের উপর এত জুলুম কেন করছে  ? 60/70 বছর  জীবনের কত চাহিদা কত ব্যাপক। হাজার কোটি টাকার মালিক হতে হবে । ছেলে মেয়েদের বিশ্বের উন্নত দেশে স্যাটেল করতে হবে। শেষ জীবনে ইউরোপ আমেরিকায় শান্তিতে পার করে দিবেন  ! এই ভেবে চুরি চামারি করতে দ্বিধা করছেন না।  স্ত্রী সন্তানদের সূখের কথা চিন্তা করে দিন শেষে নিজেকে ঘুষখোর , প্রতারক চোর , স্বার্থপর হয়ে পরছেন  ? আপনার পাপের ভাগ স্ত্রী- সন্তান নিবে ত ? এক দিন পরীক্ষা দেখেন না। তাই যদি হত , তবে বৃদ্ধাশ্রম নামের কোন প্রতিষ্ঠান থাকতো ? কার জন্য করছেন এই সব,  যখন নিজের শরীর থেকে আম...

আমার শুরু চলা - রুহুল আমিন শেখ

Image
 আমার শুরু চলা। রুহুল আমিন শেখ।  বিন্দু বিন্দু জলে সিন্ধু ছোট্ট বালু কণায় বালির চর, সুখ-দুঃখ মিলিয়ে জীবন স্বামী স্ত্রী মিলে সুখের ঘর। সফল হতে ধৈর্য লাগে অলস দেখে সফলতায় ভয়, পরিশ্রমী শ্রম বিকিয়ে সফলভাবে সকল করে জয়। ছোট্ট শিশু ব্যর্থ হয়েও নিজ পায়ে দাঁড়ায় অবশেষে, দাঁড়িয়ে যেতে সফল হলে আছাড় খেয়েও কষ্টে উঠে হেসে। শুরু থেকেই শুরু করে পৌঁছাতে হয় সফল প্রতিধাপ, ব্যতিক্রমে জীবন হবে আগাগোড়া ষোল আনাই পাপ। ঊর্ধ্বমুখী বাষ্পীভূত  নয়তো জল নিচ দিকেই গড়ায়, ঋণ বাড়ে চক্রাকারে আগুন যেমন চতুর্দিকে ছড়ায়। ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলতে শেখা প্রথম দিনেই যায়নি কথা বলা, পূর্বগামী শেখায় বলেই ভাষার পথে আমার শুরু চলা।

প্রাণটাই চলে যাবে ফাও ফাও - রুহুল আমিন শেখ

Image
 প্রাণটাই চলে যাবে ফাও ফাও ________//______//__________ রুহুল আমিন শেখ । ২৭-১২-২০২৩ বুক ভরা ভালবাসা হয়ে গেছে পানসে, দুধ কলা রেখে তাই পান বিড়ি খান সে। প্রতিবেশী দেখলেও পায় না সে লজ্জা, উরাধুরা চলাফেরা নাই ঘুম সজ্জা। রাত জাগা চোখে যেন অপলক দৃষ্টি পাগলাটে চলাফেরা কি যে অনাসৃষ্টি। দেখে শুনে মনে হয় মানুষ তো নয় সে, পেটে দানাপানি নেই নেই ফুটো পয়সে। ডান বাম অবিরাম যেথা সেথা ঘুরছে, ভালোবাসা হারা মন তলে তলে পুড়ছে। কি যে করি দূর ছাই এই বুঝি ভাবনা, কেউ কেউ বলে তারে দিয়ে দাও পাবনা। আমি বলি প্রতারণা করে দিছে পাগলা, রাগ গোসা অভিমানে জীবনটা আগলা। কারো দয়া হয় যদি ভালোবাসা প্রেম দাও, তা না হলে প্রানটাই চলে যাবে ফাও ফাও!

শেষ বিদায় - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 শেষ বিদায়!  শিশির আহাম্মেদ খান।  জীবন খেয়ার এই পরন্তু বেলায়  মরণ যেন ধেয়ে আসে ধূসর ছায়ায়,  হিম শিতল দমকা হাওয়ায়  ! কত প্রিয় মুখ আজ মনে পড়ে যায়  হ্যাঁয় মরণ যে গ্রাস করছে আমায় ! রক্ত মাংসের শরীর আজ তল্পীত। সাগর জল পান করলেও আজ মিটবেনা পরাণের জমা তৃষ্ণা যত। দেহ তরী আজ বড়-ই ক্লান্ত  এমন এ প্রাণ শুধু আজ অব শান্ত , রঙিন পৃথিবী আজ ধূসর মরুপ্রান্তর। আপন সব কিছু হয়ে গেল পর  দুই টুকরো তুলা দিল নাকের ভিতর বড়ই পাতার গরম জলে করাইল গোসল ! সারা অঙ্গে মাখিল আতর  সাদা কাফন পড়াইয়া,  শুয়াইল খাটিয়ার উপর ! জানাযা পড়াইয়া, সবাই মিলে দিল কবর।