আমার একটা সাথী ছিল- শিশির আহাম্মেদ খান
আমার একটা সাথী ছিল
শিশির আহাম্মেদ খান
[শুরুতে আঁধারে আবৃত্ত মঞ্চে আবছা আলোতে কিছু একটা চোখে পড়বে ]
একটা সুর ভেসে আসবে দূর থেকে ।সুরটার কথা গুলো হল ,আমার একটা সাথী ছিল ..... ।আস্তে আস্তে আলো জ্বলে উঠবে ।
কে ? কে ? কে ?
বলে চমকে উঠল বিছানায় কাঁথা মুড়ে শুয়ে থাকা কেউ এক জন !
তুরা : আমি নিলয় ভাই !
নিলয় : আমি কে ?
তুরা : আমি তুরা ।
নিলয় : ও তুরা ;কখন এলে ?
তুরা : এইত এলাম ।তুমি এই সন্ধ্যায় ঘরটা আঁধার করে শুয়ে আছ কেন ?
নিলয় : শরীর টা ভাল লাগছে না , কেমন যেন জ্বর জ্বর লাগছে ।
তুরা : ও মা শরীর দেখি জ্বরে পুরে যাচ্ছে ! দুপুরে পেটে কিছু পড়েছে ? না উপুষ হয়ে পড়ে আছ, ডাক্তার ডাকব ?
না আব্বুকে বলে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করব ?
নিলয় : কিচ্ছু করতে হবে না ,এমনি ঠিক হয়ে যাবে ।
তুরা : এ কি সব কিছু খালি পড়ে আছে ! তুমি কিছু খাওনি তা হলে ?
নিলয় : তুমি চুপ করে বসতো এখানে, আমার এখন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না ।
তুরা :তুমি চুপচাপ শুইয়ে থাক , আমি দশ মিনিটের মধ্যে রান্না করে আনছি।
[তুরা রান্না ঘরে চলে গেল, গুণ গুণ করে একটা গান গাইতে গাইতে চুলায় রান্না বসাইল ]
নিলয় চুপচাপ বিছানায় শুয়ে রইল ।মাঝে মাঝে শরীর টা কাঁপুনি দিয়ে উঠছে ।
তুরা আবার নিলয়ের বিছানার কাছে এসে দেখে জ্বরে কাঁপছে ।তুরা জল পট্টি করে নিলয়ের কপালে দিল।
কিছু ক্ষণ পর রান্না শেষ করে নিলয়ের বিছানার কাছে এসে দেখে নিলয় ঘুমিয়ে গেছে ।তুরা ডাকল নিলয় ভাই ! নিলয় ভাই ! ঘুমিয়ে পরছে ?
কোন সারা মিলল না ।তুরা একটা চকি টেনে নিয়ে নিলয়ের মাথার কাছে বসল।তুরা নিলয়ের চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে ভাবছে তাদের দুজনের বিয়ে হবে মহা ধুমধামে।বিদেশে হানিমুন করতে যাবে।নিলয় চাকরি ছেড়ে দিবে ।তুরার বাবার বিশাল ব্যবসার দায়িত্ব নিলয় নিজ কাঁধে তুলে নিবে ।তুরার কোল জুড়ে সন্তান আসবে ।সাজানো সংসারে ভরে থাকবে শুধু সূখ আর সূখ .......
##চলবে ...
Comments