রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা- শিশির আহাম্মেদ খান


ফুটপাতে রাতুল হাটছে , শ্রাবণের আকাশে রোদে- মেঘের খেলা । রাস্তায় তেমন কোন গাড়ি নেই ,দুই একটি অটোরিক্সার ছাড়া । এই অটোরিক্সায় চড়লে ভাড়া গুনতে হয় তিন গুণ। রাতুলের পকেট ফাঁকা, প্যান্টের পকেট ঝেড়ে পাঁচ টাকার একটা কয়েন পেল । হাঁটছে একা একা , অন্য সময়ে ঝানজটের কারনে ফুটপাটের উপরে হুন্ডা উঠে যেত । কিন্তু আজ রাতুল একা একা হাটছে, কাঠ ফাটা গরমে জীবন অতিষ্ঠ মনে হচ্ছে । উদ্দেশ্য বিহীন পথ ,অকস্মাৎ কালো রং এর বি এম ডব্লিউ গাড়ি এসে থামল। কালো গ্লাস নামিয়ে ডাকলেন রাতুল বলে । আমি এ দিক ও দিক তাকালাম, না কোন মানুষ আশে পাশে নাই । আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে বলছেন ? এখানে অন্য কেউ আছে না কি ! না মানে এই শহরে এত বড়লোক আমার পরিচিত কেউ নেই । আর পনাকে ও ঠিক এই মুহুর্তে চিনতে পারছি না ....


আরে আগে গাড়িতে ওঠেন, পরিচয় বলছি ।
রাতুল :- এই বুঝি ফেসে গেলাম, শুনেছি এইরকম কালো গ্লাস লাগানো গাড়িতে করে মানুষ কে গুম করে । মনে হচ্ছে আরজাইল ফেরেশতা কাছা কাছি কোথাও আছে । কি করব বুঝতেছি না ,ইচ্ছে করছে প্রাণ পণ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই । কিন্তু এতে কোন লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না । তার চেয়ে নিরাপদে গাড়িতে ওঠে বসে যাই। গাড়িতে ওঠে বসতেই লোকটা হেসে বলল , ভাই কিছু একটা চিন্তা করছেন মনে হয় ?
রাতুল :- চিন্তা করছি মানে , আচ্ছা বলুন ত আমি কে ?
লোকটা একটু বিব্রত হয়ে বলল , আপনি রাতুল ভাই !
রাতুল :- ও হ্যাঁ আমি রাতুল, তাহলে আপনি কে ?
আরে ভাই আমি জুয়েল, এখনও চিন্তে পারছেন না ?
রাতুল :- আসলে আমার মেমোরি শট ,তাই কোন কিছু মনের মধ্যে বেশি ক্ষণ রেকর্ড থাকে না ।

জুয়েল :- আরে ভাই আমি আপনার ছোট ভাই জুয়েল, এখনও চিন্তে পারেন নাই। ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্টের.....
রাতুল :- ও হ্যাঁ জুয়েল, তাই বল তুই এত দামি গাড়ি কোত্থেকে পেলি ?


Comments

Popular posts from this blog

অজেয় তারুণ্য / শিশির আহাম্মেদ খান

রক্ত গঙ্গা / শিশির আহাম্মেদ খান

White - Shishir Ahmed Khan