রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা (6)- শিশির আহাম্মেদ খান
রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা(6)
আমি একটু বিরক্ত হয়ে ছিলাম বটে , আমি কি কম বুঝি, সে কি বুঝাবে। কিন্ত সেই বেশি বুঝাই আমার কাল হল । আমি প্রেম এ পড়লাম সেই নাগিনীর যার দেওয়া বিষাক্ত ছোবলে আমি শেষ।
বন্যা নামের সেই মেয়েটি , যার স্মৃতি আমাকে আজও তাড়িয়ে বেড়ায় । ওয়াকশপ ক্লাস এ প্রথম পরিচয় , তারপর কত ভাললাগা ভালবাসার মুহুর্ত ছিল। আমার আরো দুই বন্ধু এই একই নামের মেয়ের সাথে প্রেম করত। তাই ফার্স্ট ইয়ার এ আমাদের কে এক সাথে বন্যা কিউভ বলে ডাক-তো । আহ এই নিয়ে কি দুষ্টুমি না করত বন্ধুরা ! আজ কেন জীবন টা কেমন যেন ছন্দ পতন হয়ে আছে । কখনও যদি রাতুল ভাই এর সাথে দেখা হয় পা ছুঁয়ে সালাম করে নিব । বলব গুড়ু ভুল করে ফেলেছি , আজ জীবন থেকে ছিটকে গিরি খাদে পড়ে আছি , এর থেকে উঠার পথ বলে দেন । এই বার আর ভুল করব না ! আমি ঠিক পথে চলব .... আমি ঠিক পথে চলব ।
রাতুল :- আমার আর বসে থাকলে হবে না । তবে ওর জন্য কিছুই করতে পারলাম না । এই কষ্ট আমাকে পিড়া দিবে বেশ কিছুদিন। একটা কাজ করি , একে ত ওকে একটু সাহায্য করি ।
পকেট মার :- ভাই চলে যাবেন? চলে যান, কেউ আমার কথা শুনেনা। কেউ আমার কষ্ট বুঝে না !
রাতুল :- আপনি কি জীবন কে থামিয়ে দেওয়া গিরি খাদ ডিঙ্গা তে চান ?
পকেট মার :- কি ভাবে ?
রাতুল :- সে টা বলছি , তার আছে সিদ্ধান্ত নেন চান কি না ?
পকেট মার :- কেন চাই ব না , অবশ্যই চাই । এক শ বার চাই, হাজার বার চাই।
রাতুল :- তা হলে দু টো কাজ করতে হবে ।
পকেট মার :- কি কাজ, আমি কি কাজ করতে পারব ?
রাতুল :- সেই টা দেখা যাবে , চেষ্টা করতে দুশের কিছু না।
পকেট মার :- জি ঠিক আছে ....
রাতুল :- তা হলে শোনেন , প্রথমে আপনি এখন একটা হাসপাতালের সামনে চলে যাবেন । সেখানে অসহায় মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে নিজের কথা চিন্তা করবেন আর তাদের সাথে নিজে কে মেলাবেন । তার পর সিদ্ধান্ত নিবেন কি করতে চান আপনি ।দেখবেন জীবনের রাস্তা আবার খুজে পাবেন।
পকেট মার :- সত্যিই পাব ?
রাতুল :- তাই ত হওয়ার কথা ।
পকেট মার :- কিন্তু আপনি ত বললেন না আপনি কে ?
রাতুল :- আমি কেউ না ......
Comments