ধর্ম ও বিজ্ঞান- শিশির আহাম্মেদ খান

 ধর্ম ও বিজ্ঞান 

শিশির আহাম্মেদ খান 

আজ পৃথিবীতে বিজ্ঞানের জয় জয়কার।  মানুষ চাঁদে যাচ্ছে । বিভিন্ন গ্রহের খোঁজ পাচ্ছে প্রতিদিন। নতুন নতুন বিস্ময়কর তথ্য দেখে চোখ কপালে । মানুষ হাবল ,জেমস ওয়েভের মতন অত্যাধুনিক দুর্ভিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দূরদূরান্তের অবস্থিত ছায়া পথ এর সন্ধান পাচ্ছে। ছায়াপথের ছবি নক্ষত্রের ছবি , ব্লাক হোল এর আবিষ্কার করেছে মাত্র।  এতেই হইচই ফেলে দিয়েছে একদল মানুষ।  যারা বিজ্ঞান কেই সকল কিছুর মান দন্ড ভাবে।


এই ধরণের মানুষ দের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,  কিছু লোক আছে সংশয় বাদী, যারা সৃষ্টি কর্তার অবস্থান বা অস্তিত্ব অস্বীকার করে । অথচ তারা বিজ্ঞানের সাফল্য কে বিশাল অর্জন মনে করে । কিন্তু ওরা কোরআন পর্যন্ত পৌঁছাতে এখনও পাড়ে নাই। এরা মহাবিশ্বের অণু পরিমাণ ও আবিষ্কার করতে পারে নাই।  এমন কি আকাশ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারে নাই।  তার পরেও আল্লাহ সম্পর্কে কত কথা বলে ফেলে অজ্ঞতার বসে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরা মূলক এ ৩,৪,৫,৬ আয়াতে সাত আকাশ এর কথা বলেছেন।

আকাশ আবিষ্কার করেছেন স্তরে স্তরে। বিজ্ঞান ওখানে ব্যর্থ।  বিজ্ঞান কখনও প্রথম আকাশ এর রহস্য ভেদ করে বাকি আকাশের অবস্থান আবিষ্কার করতে পারবে না। এইটা বাস্তবতা, তবে আল্লাহর চাহে ত , এই দুরস্বাদ্ধ কে জয় করা সম্ভব।  কারণ আল্লাহ আদম/ এডাম (আ)কে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে প্রাণের করেছেন।  শীর্ষ (আ)নবীকে জান্নাত এ উঠিয়ে নিয়েছেন,  কি বা ঈসা/ যিশুর (আ) কে চতুর্থ আকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন।
বিশ্ব নবী মুহাম্মদ  ( সঃ) কে আল্লাহ সাত আকাশ ভেদ করে আল্লাহ এর আরশে কুরসী পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। সুতরাং মানুষ আকাশ ভেদ করতে পারবে ।

এই সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সুরা" মূলক "এ বলেন ,

[3] الَّذى خَلَقَ سَبعَ سَمٰوٰتٍ طِباقًا ۖ ما تَرىٰ فى خَلقِ الرَّحمٰنِ مِن تَفٰوُتٍ ۖ فَارجِعِ البَصَرَ هَل تَرىٰ مِن فُطورٍ

[3] তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?
[3] Who has created the seven heavens one above another, you can see no fault in the creation of the Most Gracious. Then look again: "Can you see any rifts?"


[4] ثُمَّ ارجِعِ البَصَرَ كَرَّتَينِ يَنقَلِب إِلَيكَ البَصَرُ خاسِئًا وَهُوَ حَسيرٌ

[4] অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।

[4] Then look again and yet again, your sight will return to you in a state of humiliation and worn out

[5] وَلَقَد زَيَّنَّا السَّماءَ الدُّنيا بِمَصٰبيحَ وَجَعَلنٰها رُجومًا لِلشَّيٰطينِ ۖ وَأَعتَدنا لَهُم عَذابَ السَّعيرِ

[5] আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি।
[5] And indeed We have adorned the nearest heaven with lamps, and We have made such lamps (as) missiles to drive away the Shayâtin (devils), and have prepared for them the torment of the blazing Fire

[6] وَلِلَّذينَ كَفَروا بِرَبِّهِم عَذابُ جَهَنَّمَ ۖ وَبِئسَ المَصيرُ

[6] যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।

[6] And for those who disbelieve in their Lord (Allâh) is the torment of Hell, and worst indeed is that destination

এখন নাসার বিজ্ঞানীদের কিছু গ্রহ নক্ষত্রের আবিষ্কার কে , কত কি মনে করছে । কিন্ত আকাশের হিসেব করলে এই আবিষ্কারের কি বা মূল্য। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সাত আকাশের পাশাপাশি সাত(7) জমিনের/ পৃথিবীর কথা বলেছেন । সেই সব পৃথিবীর মধ্যে আবার প্রাণের অস্তিত্বের কথা বলেছেন।  আমরা একটা পৃথিবীতে আছি আর বাকি (6 ) ছয় টা পৃথিবী পর্যন্ত এখনও বিজ্ঞান পৌঁছাতে পারেনি!সুতরাং বিজ্ঞান কখনও ধর্ম কে বাদ দিয়ে এগোতে পারবে না । কারণ একটাই মহাকাশ ভ্রমণের সূত্র ধর্ম গুলোতে রয়েছে খুব নিপুণ ভাবে ।

Comments

Popular posts from this blog

অজেয় তারুণ্য / শিশির আহাম্মেদ খান

রক্ত গঙ্গা / শিশির আহাম্মেদ খান

White - Shishir Ahmed Khan