Posts

বিশ্বের দামি কফি

Image
 বিশ্বের  দামি কফি । বিশ্বের সবথেকে দামি কফি তৈরি হয় কীভাবে জানেন ?(All About Kopi Luwak – The Most Expensive Coffee In The World!) ...............................................................................  পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সেরা সব কফির স্বাদ চেখে দেখা কার না মন চায়। তার মধ্যে চেখে দেখা যেতে পারে " সিভেট" কফি। সিভেট জাতীয় বিড়ালের মল থেকে তৈরি হয় এই কফি। ইস‌! পড়েই নাক সিঁটকোচ্ছেন? তা হলে এটাও জানিয়ে রাখি, এটাই হল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্মূল্য কফি। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে চাষ হওয়া এই কফি এ পৃথিবীর নামি দামী কফি স্বপে খুবই উচ্চ মূল্যে কিনতে হয়। এশিয়ান পাম সিভেট প্রজাতির প্রাণীর মল থেকেই তৈরি হয় কোপি লুয়াক নামের এই কফি বিনস। বন্য বিড়াল গোত্রীয় এই প্রাণী নিয়মিত কফি খেয়ে থাকে। এদের মল সংগ্রহ করে তা প্রসেস করেই তৈরি করা হয়ে থাকে কোপি লুয়াক। সিভেটের শরীরের উত্‌সেচকই নাকি এই কফি বিনসের স্বাদ ও গন্ধের প্রধান কারণ। ভারতে প্রতি কিলোগ্রাম ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে এই কফি। আরব সাগরীয় ও ইউরোপের দেশগুলোয় এই কফির দাম প্রতি কেজি ২০-২৫ হাজার টাকা।

লূত জাতির ধ্বংস

Image
  নবী লূত  (আঃ) জাতির ধ্বংস।  আজ থেকে ৩১০০ বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতেই ছিল সাদূম গোত্রের আবাসস্থল “সদম ও গোমরা” নগর। এই নগরের অধিবাসীরা ব্যাপক সমকামীতায় জড়িয়ে পড়লে মহান আল্লাহ তাদের সংশোধনের জন্য লুত (আঃ) কে নবী হিসেবে পাঠান। কিন্তু ঐ জাতি লুত (আঃ) এর আহবানে সাড়া না দিয়ে নিকৃষ্ট কু-কর্ম (সমকামিতা) চালিয়ে যায়। মহান আল্লাহ তাদের উপড় আসমান থেকে অগ্নী কুন্ড নিক্ষেপ করেন এবং তাদের নগরকে উল্টিয়ে ধ্বংস করে দেন। এ সাগরে আজো পর্যন্ত কোন মাছ বা জলজ প্রাণী বাঁচতে পারেনা। কেবল কিছু ব্যক্টরিয়া ও ছত্রাক জাতীয় অনুজীব পাওয়া যায় ঐ সাগরে। এ জন্যই একে মৃত সাগর বলে। পৃথিবীর সকল খাল, বিল, পুকুর, নদী, সাগরের পানিতে মানুষ সহজে ডুবে গেলেও ডেড সির পানিতে কোন মানুষ চাইলেও ডুবতে পারেনা। পৃথিবীর মানুষের জন্য নিদর্শন হিসেবে আল্লাহ তায়ালা আজও রেখে দিয়েছেন এই ডেড সী বা মৃত সাগর। সুরা আরাফের ৮০, ৮১ ও ৮২ নং আয়াতে বলা হয়েছে: “এবং আমি লুতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা কি এমন কোন অশ্লীল কাজ করছ,যা তোমাদে...

পার্থক্য

Image
 দুটো ছবির মধ্যে প্রায় ১২০০ বৎসরের পার্থক্য। প্রথমটি হচ্ছে  ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলের আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আল জাহিযের লিখিত (৭৭৬-৮৬৮/৮৬৯) কিতাব আল হায়াওয়ান ( The book of Animals ) থেকে সংগৃহীত করা হয়েছে যাহাতে উনি এমন এক পাখির কথা উল্লেখ করেছেন যাহা কুমিরের দাঁতের মধ্যে কুঁটে কুঁটে নিজের রিজিক ( খাবার)  হাসিল করে থাকে আর কুমিরেরও ইহাতে প্রশান্তি লাভ হয়।  আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর উপর ক্ষমতা রাখেন । প্রায় বারোশো বছর আগেও  জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে ছিলেন মুসলিমরা।

ইশারায় আবেদন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ইশারায় আবেদন ! শিশির আহাম্মেদ খান । তুমি কি আমার কবিতা হবে ? ভালোবাসার কিছু ছন্দমালা ! আবেগ রাঙা কোন ভোর হবে কোন এক শরৎ দিনের শিউলি তলা।  স্বপ্ন পরী:না গো না আমি শুধু আমার আমি ! তুমি কি আমার তুমি হবে ? কল্পলোকের স্বপ্ন দেখা ! তুমি কি আমার আকাশে ভাসবে, হয়ে শুভ্র মেঘের ভেলা ? না থাকব বসে তোমায় ছাড়া,  আমি একা একা ! স্বপ্ন পরী:না গো না আমি শুধু আমার আমি ! তুমি কি রৌদ হবে হলদে রংঙ্গের দুপুর , রিনিকি ঝিনিকি শব্দে বাঝুক তোমার পায়ের নুপুর । বাজুক বাঁশি কদম তলে ,মন হারানোর সূর  তুমি আমি মিলব দুজন ,আনব ডেকে ভালবাসার রৌদ্দুর । স্বপ্ন পরী :না গো না আমি শুধু আমার আমি ! তুমি কি আমার বিকেল হবে মেঘলা দিনের  বারান্দায় হাঁটাহাটি করে কাটাব সময়  চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে , কত ইচ্ছের হাতছানি সেথায়  থাকবে দু জনার সমুখে । স্বপ্ন পরী :না গো না আমি শুধু আমার আমি ! তুমি কি আমার পৌষের রাতে উষ্ণ কাঁথা হবে ?  হাজারো ভালবাসার মিষ্টি আলিঙ্গন , তোমার উচ্ছাসে সাজাব আমার এই ভুবন! তুমি আমি ,আমি তুমি মিলে মিশে  হয়ে ঝাব আপন জন। স্বপ্ন পরী :না গো না আমি শুধু আমার আমি ! তা...

তোর কথা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোর কথা , শিশির আহাম্মেদ খান।  বেলকোনিতে বসে ভাবছি তোর কথা তোর শরীরের গন্ধ ভেবে ভুল করেছি হাসনাহেনার শুভাসে । হিমেল হাওয়া কন কনিয়ে বলছে কানে কানে , ভালোবাসার শিউলি ফুটেছে তোর মনের গহীন কোনে ।

ছায়া মূর্তি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ছায়া মূর্তি  ! ২০০৩  ক্লাস নাইনের ছাত্র আমি ।তখন খুব সাহসী আর ডান পিঠে সভাবের ছিলাম।  রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাত ১০ টার দিকে বাড়ি আসতাম। ঈদের সময় স্কুল বন্ধ আপু ঢাকার থেকে বাড়িতে ।ছোট ভাই অভি আমি বড় আপু, ছোট আপু সবাই বাড়িতে।কোরবানীর ঈদের এক দিন পরে রাত ১১ টার সময়ে বাড়ির পাশে জামে মসজিদের টিউবলে হাত পা ধুওয়ার জন্য গেলাম। তখন গাজীপুরের অনেক জায়গাতেই বিদুৎ ছিলনা ।তাই চাপ কলই পানির ভরসা। আমি যখন কলের মধ্যে হাত মুখ ধুচ্ছিলাম তখন কেমন যেমন শরিরের পশম কাটা দিয়ে উঠল ।পিছন ফিরে তাকাতেই চমকে যাই । খোলা মাঠের মধ্যে কালো একটা ছায়া মূর্তি । চুল গুলো মনে হচ্ছিল মাটিতে ঠেকে আছে । আমি জিজ্ঞেস করলাম,  কে ? কে আপনি ? কোন উত্তর দিল না । ঐ ছায়া মূর্তি টা আমার দিকে আসতে লাগল ।আমি বাড়ির দিকে হাটা ধরলাম। আবার পিছন ফিরে তাকাচ্ছিলাম । মসজিদের সামনে একটা বড় আম গাছ  , ছায়া মূর্তি টা সেই আম গাছ পর্যন্ত আসতে দেখেছি। কিন্তু কোথায় যেন  মিলিয়ে গেল ।কিছুই  নাই, মনে সন্দেহ হল আসলে কি জিনিস টা ।তাই আবার  পিছনে আসলাম,  খুজলাম ।কিন্ত কিছুই পেলাম না ।সেই ...

ডেভিড ও গোলিয়ার্থ - পুরান কাহিনী

Image
ডেভিড ও গোলিয়ার্থ পুরান কাহিনী। একটা পাহাড়ের ঢাল ধরে একটা গ্রাম গড়ে উঠেছে । সে খানের সব লোকজন খুব ভিতু আর আসহায় ছিল। কারণ ঐ পাহাড়ের অপর পাশে গোহায় একটা দৈত্য বাস করত । তার নাম ছিল গোলিয়ার্থ । সে গ্রামে এসে প্রায় সময়ই হানাদিত। একদিন,  ডেভিড নামে এক ১৭ বছর বয়সী রাখাল ছেলে ঐ গ্রামে তার ভাইদের কাছে বেড়াতে এসে দেখে দৈত্য টা গ্রামে হামলা করেছে আর সবাই প্রাণ ভয়ে পালাচ্ছে। ডেভিড বলল তোমরা ভয়ে পালাচ্ছ কেন  ? তোমরা লড়াই করছো না কেন  ? গ্রামের লোকেরা বলল, দেখছ  না কি বিশাল চেহারার দৈত্য।  ওকে আঘাত করা মুশকিল। ডেভিড বলল , তা হবে কেন  ? বিরাট চেহারা বলেই আঘাত করা সহজ , কোন ও নিশানা  ভুল হবে না ।সবাই ভয়ে জবুথবু  হয়ে বলল, এ কাজ  আমরা পারব না । তখন ডেভিড একটা গুলতি বানিয়ে কয়ে’ক টুকরা পাথর নিয়ে দৈত্য টির মাথায় , কপালে আঘাত করল । দৈত্য টি আহত হয়ে মাটি তে লুটিয়ে পড়ল এবং মারা গেল। সারা গ্রামে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল । সবাই সমস্বরে বলে উঠল ডেভিড  পেরেছে , ডেভিড পেরেছে।

শীতলক্ষ্যা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  শীতলক্ষ্যা  । শিশির আহাম্মেদ খান।  শীতলক্ষ্যা আমার শৈশবের -কৈশোরের নদী তার নীল জলে স্বপ্ন দেখি আমি নিরবধি । এ আমার ভাল লাগার উচ্ছাস, বেঁচে থাকার প্রেরণা ! শিকড় সন্ধানে আমি আজ ফিরে পাই আপন ঠিকানা । তার সচ্ছ জলে নেমেছি কতবার বরশি হাতে মাছ ধরেছি আমি বারংবার । তার তীরে বসে কত কথা ভেবেছি আমি আনমনে কোন এক ষোড়শী কিশোরীর কথা উঁকি দিয়ে গেছে নিজের অজান্তে,, নৌকায় করে হয়েছি কত পাড়া-পাড় হাজার ক্লান্তি ধুইয়ে মুছে যায়  শীতল জলে তার। এঁকে বেঁকে বহমান সে  পূর্ণিমার চাঁদ খান তার বুকে উঠে রোজ হেসে । #শিশির আহাম্মেদ খান   .....

কুঁচ

Image
               কুঁচ   "কুঁচ " প্রায় বিলুপ্ত এক দৃষ্টিনন্দন প্রজাতি! লতায় জড়ানো তেঁতুল সাদৃশ্য গাছের ফল যা দানাকৃতি নয়নাভিরাম অতিশক্ত। এর ব্যবহার ছিল গলার মালায় আর সোনার দোকানের বাটখারা হিসেবে। প্রতিটি দানা সমান আকৃতি এবং সমান ওজন হওয়ায় সাকরারা ( স্বর্ণকারেরা) মূল্যবান সোনা মাপার কাজে কুঁচ ব্যবহার করতো। কুঁচের গড়ন সৌন্দর্য নয়নাভিরাম হলেও এর দানার ভিতর এক বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা মৃত্যুর কারণ ঘটায়। তবে দানা এত শক্ত যে গোটা পেটে গেলেও হজম হয় না। এর অপরূপ সৌন্দর্যের তুলনা দিতে আগেকার দিনে সুন্দরীদের সৌন্দর্যের উপমা দিতে গিয়ে বলা হতো   " কুঁচ বরন কণ্যা " ।

মেঘ বালিকা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেঘ বালিকা   শিশির আহাম্মেদ খান।  শুনো বালিকা তোমার পায়ে নুপুর দিব  যেন টুপুর টুপুর বৃষ্টি ফোঁটায় টিনের চালে বাজিয়ে উঠে সকাল দুপুর। বর্ষা দিনে ভাবনা দিয়ে  মেঘ গুলি যে আনবো কিনে। কলমি লতার ফুলের মতন স্বপ্ন গুলি দিব তোমায় সাজিয়ে  নীল আকাশে রংধনুতে সূখ গুলো যে যাও রাঙ্গিয়ে। আবেগ মাখা চিঠি নিয়ে প্রজাপতি যায় ঘুম ভাঙ্গিয়ে ।

মামলা বাজ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মামলা বাজ, শিশির আহাম্মেদ খান । গুণোপোকায় খাওয়া রাজনীতি আজ এমন ভয়ংকর  শুধু ক্ষমতা আর ক্ষমতা  যে ক্ষমতাতে সবকিছু হয়। ক্ষমতায় থেকে মিথ্যা বললে  হয় যে অমিয় বাণী , ক্ষমতায় থাকলে পরে মুখ্যরা সব হয় জ্ঞানী । যে পথে নীতি নাই,আদর্শ নাই তাই বলে রাজনীতি , লুটেপুটে খাচ্ছে সবাই  জনমনে আছে শুধু ভয়ভীতি । এমন দেশে আছি আমরা যে দেশ মামলাতে করেছে বিশ্ব জয় তাই তো আমার কাশি দিতেও লাগে ভয় যদি আবার কাশির লাগি আরেকটি মামলা খেতে হয় !

আর কত - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আর কত ! শিশির আহাম্মেদ খান। আর কত অবুঝ সন্তান এতিম হলে পরে থামবে এই কসাই রথ ? আর কত তাজাপ্রাণের বিনীময়ে এ জাতি ফিরে পাবে মুক্তির পথ ! আর কত নিরপরাধ মানুষ খুন করে বন্ধ হবে ফ্যাসিবাদীর হলি ? আর কত মিথ্যা বললে পরে  বন্ধ হবে চেতনার বুলি ! আর কত লাশ দিলে পরে বন্ধ হবে জালিম পুলিশের গুলি?

স্বাধীনতার খুঁজে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 স্বাধীনতার খুঁজে , শিশির আহাম্মেদ খান । স্বাধীনতা খুঁজছে সবাই সংসদে আর আদালতে  স্বাধীনতা বন্দি দেখ বাকশালী কারাগারে  গণতন্ত্র খুঁজছে সবাই সংবিধানের পাতা ধরে সংবিধানটা তৈরি হল গণতন্ত্র খুন করে। বলছি আমি শুনছো সবাই, হচ্ছে কি আর লাভ ? ভোটাধিকার চাইতে গেলে শুনতে হবে ভুতুড়ে সব প্রলাপ । স্বাধীন তুমি বলছে দেখো ,হাতে পরা শিকল সত্য কথা বলতে গেলে দিবে গালি ,বলবে রাজাকারের দল । যতই তুমি বলছো কথা সভা সেমিনারে  চোখ মেলে দেখ রক্তচোষা শকুন, বসে তোমার গাড়ে । যতই তুমি প্রতিবাদী হও ,দেখছে না চেয়ে কেউ , অর্থ লোভী কুকুর ওরা, উল্টো ধরে ফেউ ।

তোমাকে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোমাকে  শিশির আহাম্মেদ খান। তোমাকে নিয়ে আমি স্বপ্নে বিভোর, সাজানো বাসর আজ শুধু তোমাকে গিড়ে তোমাকে গিড়ে রাঙ্গানো ভোর ঝরা শিউলি, শিশিরে করে মাখামাখি। তোমাকে ছুঁয়ে যায় সকালের মিষ্টি নরম রোদ জ্যোৎন্সা মাখা চাঁদ দেয় হাসি তোমাকে দেখে, তোমাকে দেখে রাতের আকাশে আজ তারার মেলা; তোমাকে নিয়ে রাত জেগে থেকে হয় ভালবাসার গল্প বলা। তোমাকে ভেবে আজ আমি পাগল পাড়া কিছুতেইবাঁচতে পারব না আমি তোমাকে ছাড়া!  তোমাকে ছাড়া ভালবাসা বিষাদ সিন্ধু  আকাশটাও নীল ছে রংঙ্গের ছায়া।

ভালবাসা চাই - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ভালবাসা চাই,  শিশির আহাম্মেদ খান।  হা হা কার মনে কোন সুখ নাই ব্যস্ত চারিদিক আমি আছি পড়ে একাই একটা ভালবাসা চাই ! সবুজ জমিনে শিশির স্নাত স্পর্শ চাই। মাঝ রাতের আকাশে  আদখানা চাঁদ দেখতে চাই, আমি বিরহী পথিক,  কোলাহল খুঁজিয়া বেড়াই! একখান ভালবাসা চাই।

বন্দী - চার্লস ডিকেন্স

Image
                      বন্দী,                    চার্লস ডিকেন্স। একবার এক অপরাধীকে বিশ বছর জেল দিল আদালত।  এই দীর্ঘ সময় তাকে মাটির নীচে অন্ধকার কূপের মধ্যে কাটাতে হল । যখন তার সাঁজা শেষ হল , তখন তাকে পৃথিবীর আলোতে ফিরে যেতে মুক্তি দিল। কিন্তু অবাক করা কান্ড ঘটল। কয়েদী কয়েক মুহূর্ত আলোতে তাকিয়ে পুনরায় সে অন্ধকার কূপে ফিরে গেল। সে আলোর উনের্ষ কে সহ্য করতে পারল না।

সুলতান মুরাদ ও প্রজা

Image
  সুলতান মুরাদ ও প্রজা অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান মুরাদ প্রায়শয়ই ছদ্মবেশে তার রাজ্যের লোকেদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বের হতেন। এক সন্ধ্যায় তিনি নিজে বিশেষ ভালো বোধ করছিলেন না বিধায় নিরাপত্তাবাহিনীর প্রধানকে তলব করলেন তার সঙ্গী হতে। ঘুরতে ঘুরতে তারা এক জনবহুল জায়গায় এসে দেখলেন, এক লোক রাস্তায় পড়ে আছে। সুলতান লাঠি দিয়ে খোঁচা মেরে বুঝতে পারলেন লোকটি মৃত, অথচ চারপাশে মানুষে গিজগিজ করলেও কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না বিষয়টি নিয়ে। সুলতান আশেপাশের লোকজনদের ডাকলেন। তারা এগিয়ে এলো। কিন্তু ছদ্মবেশে থাকায় কেউই চিনতে পারল না নিজেদের শাসককে। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘লোকটা মরে পড়ে আছে, তবুও কেউ এগিয়ে আসছে না কেন? লোকটির পরিবারের কেউ নেই?’ 'আরে এ তো একজন ব্যাভিচারী, মদ্যপ কুলাঙ্গার!’ লোকগুলো বলে উঠল। ‘যাই হোক, সে তো আমাদের নবি (সাঃ)-এর উম্মাতেরই একজন, নাকি? এখন আমাকে তার বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করুন’- সুলতান বললেন। লোকেরা সুলতানের সাথে মৃত লোকটিকে তার বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসল, এরপর চলে গেল। সুলতান আর তার সহযোগী সেই প্রধান থেকে গেলেন। লোকটির স্ত্রী মৃতদেহকে দেখা মাত্র কান্নায় ভেঙে পড়লেন।...

ভাবছে মন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ভাবছে মন, শিশির আহাম্মেদ খান।  একটা মানুষ সারা বেলা আমার মনে লুকোচুরি খেলে, যায় না দেখা তারে হৃদয়ে তার ছবি ভাসে। কয়না কথা কোন কিছু ইশারায় বসে শুধু ডাকে, ভাবছে এ মন ভালোবাসি আমি শুধু তাকে ।

তুমি এ চোখের আলো - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তুমি এ চোখের আলো শিশির আহাম্মেদ খান । তুমি এ চোখের আলো  তোমায় দেখি আমি, চোখে চোখে তোমায় দেখি আমি প্রতি ক্ষণে ! কেন বুঝনা সেই চোখের ভাষা ! কেন বুঝ না ভালবাসি তোমায় আমি। স্বপ্ন ছিল যত তোমায় গিড়ে  ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সুখের নীড়ে, তোমায় ছাড়া কিছুই লাগে না ভালো জ্বলে না এখন আর সুখের আলো। কেন জানি না , কেন জানি না ! তুমি এই চোখের আলো  তোমায় দেখি আমি চোখে চোখে তোমায় দেখি আমি প্রতি ক্ষণে । পাহাড় সমান প্রেম নিয়ে তোমার প্রাণে আছি চেয়ে তোমায় পেলে স্বর্গ পাব  পূর্ণ হবে সকল সুখে । তুমি এই চোখের আলো  তোমায় দেখি আমি চোখে চোখে তোমায় দেখি আমি প্রতি ক্ষণে । জীবন প্রদীপ যায় আঁধারে ঢেকে তুমি হীনা আমার এই শূন্য মনে, তোমায় ছাড়া একলা জীবন ধূ ধূ মরুভূমি লাগে তখন । কেন জানি না , কেন জানি না ! তুমি এই চোখের আলো  তোমায় দেখি আমি চোখে চোখে তোমায় দেখি আমি প্রতি ক্ষণে ।

আলো আসবেই - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 আলো আসবেই  শিশির আহাম্মেদ খান।  আলো আসবেই বন্ধু   একদিন আলো আসবে , সকল অন্ধকার দুর করে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দিতে । লাখ মায়ের দু, চোখের জল  মুছে দিয়ে , মিষ্টি হাসির ঝিলিক দেখাতে সকল হিংসার আগুন দু পায়ে দলে সে মিছিল যাবে ছড়িয়ে । থাকবে না খুনো-খুনি  কি বা রক্তের হলি খেলা, জেল জুলুম নির্যাতনের মেলা সব গ্লানি পিছনে ফেলে উঠবে নতুন বেলা । সত্যের আলিঙ্গনে মিথ্যার পলায়নে আলো আসবে কোন এক নতুন ভোরে , মিষ্টি বালক মশাল হাতে ছুটবে তখন  রাজপথে মুক্তির স্লোগান তুলে।

খালেদা জিয়া - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 খালেদা জিয়া শিশির আহাম্মেদ খান।  খালেদা জিয়া তুমি গনতন্ত্রের মা  তুমি আপোষহীন  সত্যের ঠিকানা .... তুমি বাংলাদেশী  জাতীয়তাবাদের নেত্রী কোটি বাংলাদেশীর  হৃদয়ের স্পন্দন। 

হা হা কার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 হা হা কার শিশির আহাম্মেদ খান।  আজ-ই মানুষের হা হা কারে  ওদের কি আসে যায়, ওরা ত মানুষের ভোটে নয় জুড় করে আছে এতদিন ক্ষমতায়! ওরাও নিজেকে মানুষ ভাবে সংসার ওদের ও আছে, আছে গাড়ি বাড়ি পরিবার কোটি টাকার গড়িছে পাহাড় । মানুষের কষ্ট দুর্দশা নিয়ে  ওরাও রাজনীতি করে, নেই কোন বিবেক ? অসহায় জাতি আজ  ক্ষু’ধা’র্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়  এতে তাদের কি আসে যায় ? চেতনা ফেরি করে  তারা এখন হয়ে গেছে কসাই । তাইত আমি ক্ষুব্ধ হয়ে লিখে যাই  জিনিস পত্রের দাম কমিয়ে দে হারাম খোর , নইলে পদ্মা সেতু চিবিয়ে খাব !

তোমাকে নিয়ে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  তো মাকে নিয়ে শিশির আহাম্মেদ খান । হারানো অতীত শুধু তোমাকে নিয়ে ছিলে কত মায়ায় জরিয়ে আজও তুমি আছ মন গহীনে দু' হাত বাড়িয়ে। আগামীর পানে চেয়ে দেখি সেখানেও তুমি আছ দাঁড়িয়ে, আমার ভাললাগা সব তোমাকে নিয়ে আমার ভালোবাসা সব তোমায় নিয়ে। সুখ গুলো সব শরৎ  এর সাদা মেঘে উড়ে চলে ভালবাসার আবেগে, দুঃখ্য গুলো আসে ছুটে তুমি পাশে না থাকলে । আজও আমার সব স্বপ্ন তোমাকে গিড়ে আমার সব চাওয়া পাওয়া তোমায় নিয়ে ।

হীরের সন্ধানে

Image
             হীরের সন্ধানে অনেক দিন আগের কথা । আফ্রিকার এক কৃষক ছিল,  নাম ছিল হাফিজ আলী । যার খর স্রোতা নদীর তীরে বিশাল খামার বাড়ি ছিল।  ফসল ফল-ফলাদি কোন কিছুর অভাব ছিল না। সুখে শান্তিতে দিন কাঁটছিল তার।  এক দিন এক জহুরি, তার কাছে ছাগলের দুধ কিনতে এসে গল্পের ফাঁকে হীরের মহিমার কথা বললেন। হীরা যে কত দামি জিনিস তা বলতে গিয়ে জহরি  বলল, যদি তোমার কাছে বুড়ো আঙুলের মতন এক খন্ড হীরা থাকে । তবে তুমি একটা শহরের মালিক হতে পারবে । যদি তোমার হাতের মুঠির আকারে এক খন্ড হীরা থাকে । তবে তুমি একটা দেশের মালিক হতে পারবে । জহরি চলে যাওয়ার পরে কৃষক হাফিজ আলী চিন্তায় পড়ে গেল । সে কি করে হীরের মালিক হবে । এই চিন্তায় সে রাত্রে ঘুমাতে পারল না। তার মনে কোন শান্তি নেই,  খাওয়া, বিশ্রাম  সব পালিয়ে গেল হাফিজ আলীর জীবনে । শুধু তার একটা স্বপ্ন,  সে কি করে হীরের মালিক হবে। এই হীরের আশায় তার সব সুখ আজ মাটি। সে ঠিক করল তার খামার,  বাড়ি সব বিক্রি করে  , হীরের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়বে।তার বউ তাকে এই মিথ্যে মরিচিকার পিছনে ছুটতে ...

আত্ম জিজ্ঞাসা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
আত্ম   জিজ্ঞাসা , শিশির আহাম্মেদ খান।    সে দিন তুই বলে ছিলি, তোমাকে আমি ভালোবাসি হ্যাঁ তোমাকে আমি ভালবাসি ! ধুর ছাই স্বপ্ন দেখছি নাত আমি এ আবার কেমন করে হয় ? ভালবাসা কি এতে সহজে হয় । তুমি সে দিন এক গাল হেসে বলে দিলে ,হে গো হে , ভালবাসা এমনিই, আমি হকচকিয়ে উঠি এপাশ ওপাশ করি নির্ঘুম কামনার চোখে চেয়ে দেখি ! এ সবই স্বপ্ন কল্পনার রং ছবি।

তুমি ভেবেছ কি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তুমি ভেবেছ কি  ? শিশির আহাম্মেদ খান। তুমি ভেবেছ কি ? আমার ভালোবাসা মূল্যহীন তোমাকে পাবার আশায় ছুটব আমি প্রতিদিন। তুমি ভেবেছ কি  ? আমি তোমার পথ চেয়ে বসে থাকব চিরদিন ! আমি কি পাগল  ? তোমাকে না পেয়ে নিজের জীবন করব বিলিন। তুমি ভেবেছ কি  ? তোমার ছলনায় পুড়ে হব ছাই, আমি বলি ভুল করেছ ! তুমি বুঝনি আমার ভালোবাসা টাই। তুমি ভেবেছ কি  ? নিজের যৌবন পথে পথে ফেরি করে , তাই আজ তোমার নাম মুখে নিতে লোকেরা লজ্জা করে। তুমি ভেবেছ কি ? তোমার রূপ যৌবন চিরদিন রবে ! এক দিন সব ফুরাবে, শুধু নষ্ট স্মৃতি গুলির কথা মনে করে , কাঁদবে তুমি অঝর নয়নে , সেই দিন শুধুই আমায় পড়বে তোমার মনে।

তুমি আমার - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
    তুমি আমার, তুমি আমার স্বপ্ন দুঃখ্য নামের নদী, সারা জনম  কাঁদব ভুলে যাও যদি। ঘুম ভাঙ্গা সকাল তুমি কুয়াশায় ঢাকা মাঠ, মনটা আজ মরে গিয়ে চুলায় জ্বলায় কাঠ।

বট গাছের ভুত - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
বট গাছের ভুত  শিশির আহাম্মেদ খান । একশ বছর আগের এক বিশাল বট গাছ বড় রাস্তার থেকে একটু দূরে । জায়গাটা দিনের বেলাতেই কেমন যেন সুনসান গা ছমছম নিরবতা । রাত হলেই জায়গাটা হয়ে ওঠে ভয়ংকর রকম অসাভাবিক  । স্থানীয়দের  মাঝে এই বট গাছনিয়ে ভয়ংকর সব গল্পের ডাল পালা । আবির, আকাশ, অর্ক আর নায়না পথ হারিয়ে অচেনা একটা গায়ে চলে যায়। আবির :- এই পথেই গিয়েছিলাম মনে হয় । অর্ক  :-  কিন্তু আমার কাছে অপরিচিত লাগছে পথ             টা ..... নায়না  :- সন্ধ্যা হয়ে এল , তাড়াতাড়ি চল  আমার                খুব ভয় লাগছে। আকাশ  :- আরে দুর আমরা আছি না , শুধু শুধু                      ভয় পেলে হবে । অর্ক      :- আমার ও ভয় ভয় লাগছে , দাদুর কাছে শুনছিলাম এই রকম নির্জন পথের ধারে বড় বড় গাছ গুলোতে নাকি অতৃপ্ত আত্মার...

আশা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 আশা শিশির আহাম্মেদ খান যাছনে তোরা ঘরের বাহিরে যাছনে তোরা দু,পা ফেলে!  গগণ পানে মেঘ করিছে ধমকা হাওয়া দখিণা পবনে। হইহুল্ললে ভুবন মেতেছে  কি জানি কি অসুখ এসেছে,  সকল সুখের রথ থেমেছে  চোখের জলে বিরান সকল খানে। জীবন বড় কঠিন এখন মরণ খুবি কাছে,  বাঁচতে চাহিয়া ও হয় না বাঁচা জীবন আজি পরাজিত মরণের কাছে। তাই বলে কি ভয় পেলি তোরা থাকিস সবে আনমনে ?  খোদার কাছে বলিছ কথা বলিছ খুব গোপনে। দেখবি সবি, দূর করে দিবে ঘোড় কেটে আসবে রবি নিরব ভেঙ্গে ডাকবে পাখি নতুন সকাল হলে। মিনার হতে আযান হবে ফুটবে কলি সুভাষ দিবে ভরে ভোর-বিহানে, কোরআন পড়বে সবাই নরম সূরের তালে।

কল্পনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  কল্পনা শিশির আহাম্মেদ খান তল্পীত আছে দেহ  , বিনিন্দ্র রজনী কল্পীত লাগে এই আচানক পৃথিবী ! অযাচিত ভাবনা কড়া নাড়ে এ যেন কার প্রতিচ্ছবি। আশ্রিত চায় কি সে ? অকল্মষ পরিপাটি, নিশিত নগ্ন আধারী চাঁদ ঘুমাল, ঘুমাল জোনাকী। বুনো শিয়ালের হাঁক হারাল দুরে গায়ের কুকুর তাই ঘুমাল, তারার মেলা মেঘে দিল ঢাকী অভিপ্লুত ইচ্ছে গুলো পরে রইল বাকী।

রাঙ্গা মেঘের বিয়ে - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  রাঙ্গা মেঘের বিয়ে শিশির আহাম্মেদ খান চাঁদ ডুবিল, রাত ফুরিল রাঙ্গা মেঘের বিয়ে, তাই ত এমন ঠোঁট রাঙ্গাল সবুজ রংঙ্গের টিয়ে। রোদ উঠিল, ফুল ফুটিল দুষ্ট হাওয়া সুর তুলিল আকাশ সাজিল নীলে আজ রাঙ্গা মেঘের বিয়ে।

দ্বিপ্র সোনা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  দ্বিপ্র সোনা শিশির আহাম্মেদ খান দ্বিপ্র সোনা , চাঁদের কণা কে বলেছে হাসতে মানা গোমরা মুখে আর থেক না, চোখ ফুলিয়ে আর থেক না। নিও না যে আঁড়ি নিমন্ত্রণ দিলাম তোমায় আইস মামা বাড়ি।

নারী উলঙ্গ চলতে চায় কেন ?

Image
 নারী উলঙ্গ চলতে চায় কেন? আজ থেকে প্রায় ২১৫ বছর আগে ভারতের কেরালায় স্তনকর নামক একটি প্রথা চালু ছিলো। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হতো ‘মূলাক্করম’। তখন নিয়ম ছিল ব্রাহ্মণ ব্যতীত অন্য কোনো হিন্দু নারী তার স্তন ঢেকে রাখতে পারবে না। শুধু ব্রাহ্মণ শ্রেণীর হিন্দু নারীরা তাদের স্তন এক টুকরো সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারতো, বাকি হিন্দু শ্রেণীর নারীদের প্রকাশ্যে স্তন উন্মুক্ত করে রাখতে হতো। স্তনের আকারের উপর ভিত্তি করে এই কর ধার্য করা হতো। যেমন-যেসব নিম্নবর্ণের হিন্দু মহিলার স্তন ছোট ছিল, তাদের অল্প কর বা অল্প ট্যাক্স প্রদান করতে হতো। কিন্তু সমস্যা ছিল ঐ সমস্ত মহিলাদের, যাদের স্তনের আকার ছিল বড়। তাদের বড় আকারের স্তনের জন্য বেশি পরিমাণ কর বা ট্যাক্স প্রদান করতে বাধ্য করা হতো। এক কথায় ছোট স্তনে ছোট কর বড় স্তনে বড় কর। কে সেই মহিলা, যে প্রথম প্রতিবাদ করেছিল? সর্বপ্রথম যে মহিলা এর প্রতিবাদ করেছিল, তাঁর নাম ছিল নাঙ্গেলি। কী ঘটেছিল সেদিন? স্তনকর সংগ্রাহকেরা তার বাড়িতে কর সংগ্রহ করতে এলে তিনি তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর নাঙ্গেলি ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ধা'রালো অ‌‌-স্ত্র দিয়ে তার স্তন দুটি কেটে ফেলেন...

প্রিয় ফুল- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  প্রিয় ফুল আর প্রিয় পাখি অবিচল বয়ে চলা স্রোতসীনী, ছুটে চলা কোন ষোড়শী নারী চোখ মেলে আমি তারেই দেখি । প্রিয় গ্রাম আর প্রিয় খেলার মাঠ প্রিয় কিছু মানুষ আর প্রিয় পথ-ঘাট সৌনালী ধানের ক্ষেত যেন নকশিঁ কাথার মাঠ জীবনের তীর্থ রাঙ্গা স্বপ্ন ময় হাট।

অতীত কথন - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  অতীত কথন শিশির আহাম্মেদ খান কেমন আছো ? কে ? কে  ? কে ? আমি বলছি ,আমি ; আমি টা আবার কে ? আমি তোমার ইতি, আমায় তুমি সহসা ভুলে গেলে ? ও , মনে রাখার কি আছে, তা কি মনে করে উল্টো পথে উকি দিলে ? আমার উপর রেগে আছো বুঝি ? সে অধিকার তুমি দাওনি ? শুধু শুধু ছলনার মায়া জালে বন্দি করে এ হৃদয় রক্তাক্ত করেছিলে । আজও তুমি আমার উপর অভিমান করে আছো , তুমি কি কখনও আমাকে বুঝতে চেয়েছ , নিজ থেকে ? আজও তুমি সেই আগের মতনই রয়ে গেছো  ! কথাটা ভুল বলনি, তোমাকে অন্ধের মতন বিশ্বাস করতাম বলে তোমার ছলনা বুঝার চেষ্টা করিনি, আমার হাত ধরে যে কথা দিয়েছিলে সে কথা তুমি রাখনি  । অসীম সুখের বাগান পেয়ে আমার তৃণসম হৃদয় জমিনে তাই তুমি থাকনি । আমার অগোছালো জীবনটাকে তুমি আরো অগোছালো করে দিতে একটুও তোমার মনে বাঁধেনি ! ঠিক ই বলেছ, আমি আসলেই স্বার্থপর  ; তাই মরিচিকার সুখ পেতে ভালবাসার দিয়েছি কবর , আজ তাই নিস্ব আমি ভেঙ্গেছে সেই ঘর ! সবই আমার কপালের লিখন, এখন বল ,তুমি কেমন আছো  ? তুমি বিয়ে করেছো নিশ্চয়ই, তোমার বউ দেখতে আমার থেকেও সুন্দর বুঝি ? কেমন আছি তা জানি...

আল মাহমুদ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আল মাহমুদ শিশির আহাম্মেদ খান আজ তোমার নিথর দেহ, বলছো না কিছু আর তীতাসের তীরে জমেছে পলি কাটছে না কেউ সাঁতার । আজি সৌনালী কাবিন পরে আছে জ্যোৎন্সার বাটি ফেরেস্তারা উল্টায়ে রেখেছে ধুলো জমেছে এ জাতির মনে তোমার প্রস্থান তবে কেনো গোপনে ? ওরা কি ভেবেছিল হে কবি  ? কাফন মোড়ানো নিথর দেহ ঐ মিনারে রাখতে না দিলেই তুমার নাম হারিয়ে যাবে , কালের গহ্বরে ! ওহে চাটুকারের দল ,আজো তুদের হয়নি আকল , কবির লাগি কোটি বাংঙ্গালীর হৃদয়ে গড়িয়াছে যে মিনার , কবির প্রস্থানেও মনে হয় তিনি বেঁচে আছে অবিচল।

তোমার স্পর্শ - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 তোমার স্পর্শ  আমার সাদা-কালো পৃথিবীতে তোমার রঙ্গিন জীবনে স্পর্শ চাই - কোন এক পৌঁষের রাতে কুয়াশার চাদর ভেদ করে তোমার বুকে মাথা রেখে আবেগী উষ্ণ ছোঁয়ায় ঘুমোতে চাই- আমি রাগে অনু রাগে জীবনের কোলাহলে তোমাকে সঙ্গী করে চাই 

ধর্ম ও বিজ্ঞান- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ধর্ম ও বিজ্ঞান  শিশির আহাম্মেদ খান  আজ পৃথিবীতে বিজ্ঞানের জয় জয়কার।  মানুষ চাঁদে যাচ্ছে । বিভিন্ন গ্রহের খোঁজ পাচ্ছে প্রতিদিন। নতুন নতুন বিস্ময়কর তথ্য দেখে চোখ কপালে । মানুষ হাবল ,জেমস ওয়েভের মতন অত্যাধুনিক দুর্ভিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দূরদূরান্তের অবস্থিত ছায়া পথ এর সন্ধান পাচ্ছে। ছায়াপথের ছবি নক্ষত্রের ছবি , ব্লাক হোল এর আবিষ্কার করেছে মাত্র।  এতেই হইচই ফেলে দিয়েছে একদল মানুষ।  যারা বিজ্ঞান কেই সকল কিছুর মান দন্ড ভাবে। এই ধরণের মানুষ দের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,  কিছু লোক আছে সংশয় বাদী, যারা সৃষ্টি কর্তার অবস্থান বা অস্তিত্ব অস্বীকার করে । অথচ তারা বিজ্ঞানের সাফল্য কে বিশাল অর্জন মনে করে । কিন্তু ওরা কোরআন পর্যন্ত পৌঁছাতে এখনও পাড়ে নাই। এরা মহাবিশ্বের অণু পরিমাণ ও আবিষ্কার করতে পারে নাই।  এমন কি আকাশ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারে নাই।  তার পরেও আল্লাহ সম্পর্কে কত কথা বলে ফেলে অজ্ঞতার বসে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরা মূলক এ ৩,৪,৫,৬ আয়াতে সাত আকাশ এর কথা বলেছেন। আকাশ আবিষ্কার করেছেন স্তরে স্তরে। বিজ্ঞান ওখানে ব্যর্...

প্রেম সুধা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 প্রেম সুধা শিশির আহাম্মেদ খান  হতাশা আর দীর্ঘ শ্বাস তোমার উচ্ছ্বাসে আমার কারাবাস , সব কিছুই নীয়তির অবকাশ তুমি নেই, তাই এ জীবন খেয়ায় সর্বনাশ। মনের পৃথিবী আজ আধাঁরে ঢাকা মিথ্যে আশ্বাসে বেঁচে থাকা, স্বপ্ন গুলো আজ মেঘে ঢাকা ! তুমি নেই তাই, জীবনের সব আয়োজন ফাঁকা। বেদনার পরশ ভোলা রূপালি দিন গুলো সব পথ ভোলা , বাঁধন ছিড়ে উড়ল ঘুরি নাটাই ছাড়া এইত বেশ ভালোই আছি তুমি ছাড়া । কষ্ট নামের সোনার হরিণ মন গহীনে করে খেলা , প্রেম গাঙ্গের সুধা নিয়ে দিলে গো এ কেমন জ্বালা । লেখার সময় কাল – ২৩\০২\২০১১

রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা -(8) শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা (- 8) শিশির আহাম্মেদ খান  লোক  :- ও ভাই,  বইয়া ঘুম দিছেন না কি  ? রাতুল :- না মানে ....... লোক   :- না মানে আবার কি , আপনে ডরাইছেন  ?             ডরানের কোন কারণ নাই।  এই ডা আমার এরিয়া , এই হানে আমার অনুমতি ছাড়া একটা কাক পক্ষি ও  জিগাইব না । আপনে নিশ্চিত থাহেন  মিয়া ... রাতুল  :- আসলে আমি ভবঘুরে মানুষ,  আমাকে কে জিজ্ঞেস করবে । আমার কাছে কোন অর্থ নাই,  কোন সম্পদ নাই  । লোক  :- হে হে হে সম্পদ  ! সম্পদ  হে হে হে ! বিড়ি খান , কষ্ট দূর হইব ...... রাতুল  :- আমি ধূমপান করি না। এই ধূমপান  শরিরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আপনি যানেন ধূমপানের কারণে প্রতি বছর কোটি কোটি লোক মারা যায়।কিন্ত কারো কষ্ট দুর করতে পারে না বিড়ি সিগারেট এর ধুয়া। আরো নতুন নতুন অসুখে কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।আমার কোন কষ্ট নাই,  ভবঘুরে মানুষের আবার কষ্ট কি  ! লোক   :- কন কি ভাই  , আপনের কোন দুঃখ্য নাই   ? ...

তোমাকে চাই- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  তোমাকে চাই শিশির আহাম্মেদ খান তুমি ছাড়া আমি একা তুমি ছাড়া জীবন ধুপছায়া তোমাকে চাই  সারাদিন তোমাকে চাই সারানিশী। তোমায় পেলে আমি হারাই স্বপ্ন সুখের সীমায় , তোমায় পেলে আমার পৃথিবী বসন্ত মুখর প্রতিদিন। তোমার প্রেমে আমার বেঁচে থাকা তুমি আমার ঘুম কি জেগে থাকা, তুমি আমার হৃদয়ের স্পন্দন বেঁচে থাকার প্রেরণা। রূপ দেখে তোমার আমি পাগল পাড়া, তোমার মনের আঙ্গিনায় খুঁজি আমি ভালবাসার ঠিকানা।

পাগল প্রেমিক

Image
 পাগল প্রেমিক ৫১ বছর ধরে প্রেমিকার ছবি বুকপকেটে নিয়ে বেঁচে আছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নাম তানেসউদ্দিন। প্রেমিকার নাম জোহরা। প্রেমিকার চিঠি ও ছবি পকেটে নিয়ে ৫১ বছর... ১৯৭১ সালে জোহরাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন তিনি। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশ পেয়েছেন, কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে আর পাওয়া হয়নি তাঁর। পাকিস্তানি মিলিটারিদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। সেই থেকে ৫১ বছর ধরে প্রেমিকার ছবি বুকপকেটে নিয়ে বেঁচে আছেন তানেসউদ্দিন। তবে বিয়ে করেননি তিনি। ছবির মধ্যেই তিনি প্রয়াত জোহরাকে খুঁজে পান। তানেসউদ্দিন বলছিলেন, ‘স্বপ্নে আজও তাকে দেখি। জোহরার মতো সুন্দর আমার কখনো কাউকে লাগেনি। আর লাগার প্রশ্নই ওঠে না। ও এত ভালো, এত ভালো!’ ১৯৬৭ সালে ঢাকার বোম্বে স্টুডিও থেকে জোহরার সাদাকালো ছবিটি তোলা। সেই থেকে ছবিটি তানেসউদ্দিনের পকেটে। ‘ছবি দেখেই আপনারা বুঝবেন, জোহরা কত সুন্দর ছিল, আদরের ছিল। সম্ভ্রান্ত পরিবারে ওর জন্ম,’ বলছিলেন তানেসউদ্দিন।  ১৯৬৪ সাল-- তানেসউদ্দিন তখন ক্লাস টেনে পড়েন। ফুফাতো বোন জোহরার সঙ্গে তাঁর প্রেম। জোহরা পড়তেন ক্লাস এইটে। কিশোর মনের চঞ্চলতা, ভীরুতা নিয়েই হয়েছিল সম্পর্কের শুরু। তানে...