Posts

চোরের এ কাল সে কাল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 চোরের এ কাল সে কাল চোর এসেছে চোর এসেছে মাঝ রাইতের পরে , উত্তর পাড়ায় হিং দিয়েছে  মনু মিয়ার ঘরে ! শিক কেটেছে শিক কেটেছে করিম বেপারীর পিছন জানালার উপরে। চারিদিকে হৈ চৈ ডাকা ডাকি  চোর আইছে চোর ! চোরের ভয়ে জাগল সবাই  ভাবছে আবার , এত রাইতে পরেও কেনে  হয় আবার ভোর । অনু চোরের বউ ঘুমিয়ে নাই যে কোন ভয় , চুরির লাগি হেতের জামাই  সেরাম পটু হগলতেই কয় । আতি চুরি পাতি চুরি  বাদ দেয় নাই কিছু, অহন হেতি হিং কাটা চোর উন্নতি হয়ছে কিছু । ক্ষুধার জ্বালায় চুরি করে  নইলে থাহে উপুষ , গেদা-গেদির মুখের চাহন আর কি তাহে হুশ।  দিন-বদলের ছোঁয়ায় অহন বদলে গেছে সবি ! অহন সবাই সাধু  চোর কারে কইবি ? উপর তলার সাহেব এখন দামি ফ্ল্যাটের মালিক,  ২০|২৫ হাজার বেতন তাহার  কোটি কোটি টাকার তবে মালিক।  ঘুষের টাকা মানতে নারাজ  হাদিয়াতে খুঁশি, হাজার টাকার চাকরি করে সংসার খরচ লাখ টাকার বেশি।

ঘুমিয়ে গেছে কান্ডারি - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  আয় নিয়ে আয় ,বিষের বাঁশি ,অগ্নিবিণা  শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ; পরাণ ভরে শুনাব তুদের শিকল ভাঙার গান। কাণ্ডারি আজ ঘুমিয়ে গেছে হয় না ক প্রতিবাদ ! দিনের সূর্য ডুবে গেছে আজি নামল ধরায় নিঘুম কালো রাত #কবি শিশির আহাম্মেদ খান

মেঘ বালিকা (পর্ব 2)- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  মেঘ বালিকা (পর্ব 2)- শিশির আহাম্মেদ খান  ইমন দুপুরে স্কুল থেকে এসে বই খাতা ছুড়ে ফেলে সে ঐ চারা গাছটার কাছে গেল । ওমা গাছটা এত অল্প সময়ে এত লম্বা হল কি করে । এত দেখছি আমার মাথার উপরে উঠে গেছে। মনে হচ্ছে লতানো কোন গাছ । মনে হচ্ছে এক টুকরু মেঘ সব সময় ছায়া দিয়ে রাখছে প্রতি মূহুরতে গাছটা লম্বা হতে লাগল। ইমন চিনতে পারল এই গাছটার পরিচয় ।এটা একটা সিম গাছ । সে একটা কঞ্চি কুপে( গেড়ে) দিয়ে লতাটা কঞ্চিতে পেচিয়ে দিল। এক দিন যায় , দুই দিন যায় এমনি করে গাছটা বড় হতে লাগল । এক সময় মাস চলে গেল । কিন্তু গাছটিতে কোন ফুল ধরল না। প্রতিদিন অপেক্ষায় বসে থাকে ইমন , যেন আজ গাছটায় কোন ফুল দেখবে । কিন্তু কোন ফুল ফুটে না সেখানে ! লতাটা মনে হল আকাশে উঠে গেছে। এক দিন সকালে ইমন লতা বেয়ে উঠতে লাগল । মনে হয় আর একটু উঠলেই লতাটার শেষ মাথা পাওয়া যাবে । কিন্তু শেষ মাথা আর শেষ হয় না। বেলা গড়িয়ে এলো পূর্ব আকাশে সূর্য উঠল, সে আরো উপরে উঠল । এখন অনেক উপরে উঠে গেছে সে। ক্লান্ত হয়ে গেল ইমন ,তাই সে ভাবল একটু জিরিয়ে নেই । তাই হল করল সে , সিম পাতার ছায়ায় বসে লতায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়...

মেঘ বালিকা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 মেঘ বালিকা (পর্ব-১) (দস্যি ছেলে গল্পের বই থেকে নেওয়া) ইমন রাগ করেছে বড় বোন মনির সাথে। তাই মন খারাপ করে বসে আছে পুকুর ঘাটে। মনটা খুব খারাপ, সে পণ করেছে কারো সাথে কোন কথা বলবে না।সে সবার কাছে আঁড়ি নিয়েছে। সন্ধ্যা হয়ে এল বলে চারিদিকে আবছা অন্ধকার নামছে ।মাথার উপর পুকুর পাড়ে থাকা শিউলি গাছের ডাল ঝুলে আছে । কি মিষ্টি গন্ধ ছড়াচ্ছে শিউলি ফুলের। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু ঝড়া ফুল পড়ে আছে । ইমন বসে বসে সে ফুল কুঁড়িয়ে এক জায়গায় রেখে নিজের গেঞ্জি থেকে সুতা খুলে একটা মালা গাঁথল । এত সুন্দর দেখাচ্ছিল মালাটা ,দেখে ইমন ভুলেই গেল কিছুক্ষণ আগে তার মন খারাপ ছিল। পুকুর ঘাটে মালাটা রেখে বাড়ি ফিরে এল। সে সময় এদিক দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল মেঘ রাজ্যের রাজকুমারী মেঘ বালিকা...... মেঘ বালিকা সাদা মেঘের বেলায় উড়ে বেড়ায় ।যখন যে দিকে ইচ্ছে সে দিকেই উড়ে যায় ।মেঘ বালিকা পুকুরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেল পুকুর ঘাটে একটা মালা পড়ে আছে । মেঘ বালিকার প্রিয় ফুল শিউলি আর সেই ফুলের মালা তার চাই চাই ! তাই সে মালাটি উঠিয়ে নিল। মেঘ বালিকা মালা টা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগল, কোন রাজ পুত্র না ...

The mind is running- Shishir ahmed khan

Image
 The mind is running Shishir ahmed khan The mind is still running Pick up nuts on, The bank of the river Where it floats. In the sweet morning , the sun smiles In the dew water. The bride of this neighbourhood Drenches her red feet and takes away the water. The turns back and sees something with her eyes. What kind of illusion is hidden In her way . Karim is in jaile Thinks about it again and again After throwing In the net. Life goes on the way of life, On the shore of evening, Love peeps in the deepest of the heart, In the night.

বুকের মাঝে বিডি- দিলরুবা আহমেদ

Image
বুকের মাঝে  বিডি-  দিলরুবা আহমেদ সারা খুব লম্বা মেয়ে। লিকলিকে শুকনো। মাথায় সব সময় কাপড়ের টুপি পরে থাকে। চুল ঢেকে রাখে ধমীর্য় কারণে। সেও মুসলমান। অন্য দেশীয় মুসলমানেরা কেমন হয় জানার সাধ ছিল নিহার অনেক দিনের। এখন সারাকে পেয়ে সে বেশ পর্যবেক্ষণে মত্ত। একটা সরকারি স্কলারশিপে নিহা বেশ কিছুদিন হয় আমেরিকায় এসেছে। যতোটুকু পারা যায় পড়াশোনার ব্যস্ততার মধ্যেই সে জেনে নিতে চায় অচেনা অজানা এই মহাদেশটিকে।অবাক হয়ে চারদিক দেখে। কতো দেশের কতো রকমের মানুষের যে বসবাস এখানে! হরেক রকম মানুষ। লাল, শাদা, গোলাপি, বাদামি, কালো। যেন এক খিচুড়ি নিবাস। একেকজনের উৎপত্তিস্থল একেক মহাদেশে। আদি আর অন্তের দূরত্বই যোজন যোজন। বিশ্বের সব কানাকুনা থেকে সংগৃহীত হয়েছে যেন এই সকল মানব স্যাম্পল। তারপরে চানাচুরের বক্সে ভরে এক মহা ঝাকুনি। ঝাকুনির চোটে সোমালিয়ান সারাও এখন আমেরিকান হয়ে গেছে। কোথায় সেই আফ্রিকা মহাদেশ আর কোথায় এই আমেরিকা! ওয়াশিং রুমে কাপড় ধুতে গিয়ে সারার সঙ্গে নিহার আলাপ। সারার একটা কোয়ার্টার কম পড়েছিল কাপড় ড্রাই করতে। ডলার আছে সঙ্গে। কিন্তু লাগবে কোয়ার্টার। তিনটা কোয়ার্টার ...

রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা -(2) শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 জুয়েল :- সেই টাই ছিল সফলতার পুঁজি ! রাতুল :- বলিস কিরে ? জুয়েল :- ঠিকই বলেছি, নেতা ভাই কে আশীর্বাদ করেছে ভাই দুই হাতে কামিয়ে নিছে । আমি শুধু রুবেল ভাই এর আগে পিছে আছি । এই উছিলায় শ, কোটি হবে বোধ হয় কামিয়েছি । তাই দিয়ে কোন রকমে কষ্ট করে চলছি । রাতুল :- আমি থ, খেয়ে গেল ! একশ কোটি টাকার মালিক হয়ে ও কোন রকমে কষ্ট করে জীবন চলছে আর এই মুহূর্তে পাঁচ টাকার কয়েনের মালিক তাও কোন হতাশা নেই । আ'হ এইটাই বুঝি সুখ । এই জন্য ই জাতীয় আলোকিত অধ্যাপক "আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ " স্যার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, যার কোন সম্পদ নাই সে ফুটপাতে ইট মাথায় দিয়ে ঘুমাতে পারে । তার কোন ভয় থাকে না আর যে শত শত টাকার মালিক সে ঘরে ঘুমালে ও ভয় পায় । আবার যিনি কোটি টাকার মালিক, তিনি অট্রালিকা বানিয়ে থাকেন। টাকা গুলো ব্যাংকে রেখেও চিন্তার ভাজ কপালে । রাতের ঘুম হয়ে যায় উধাও ! স্যারের শেষ কথা তার সাথে আমি একমত হতে পারি নাই। কারণ আমার কোন সম্পদ নাই। কিন্তু আমি নিশাচর । শত চেষ্টায় ও ঘুমাতে পারি না রাতের বেলা ।  শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর "হিমুর " মতন আমিও হাটতে খুব ভাল...

বন্ধু - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 বন্ধু শিশির আহাম্মেদ খান তোর চোখে স্বপ্ন মাখা ঠোঁটে কার্নিসে প্রেম রাঙা ছুঁয়ে যাওয়া সূখ চমকে আছে প্রাণে । তুই ছিলি অতীতে আমার বন্ধু বর্তমানে তুই আছিস মনে ভবিষ্যতে থাকবি জেনে রাখিস বন্ধু বলছি আমি তুকে । হাজার গানের সূর গুলো বাজুক তোর কানে ! জনম ভরে ভাসব ভালো খুব গোপনে ! ভাবনার মিনারে ফুল ছিটিয়ে শত প্রদীপ জ্বেলে, করব স্বরণ তোর জন্মদিন এলে আজও আমি দাঁড়িয়ে একা অতীত স্মৃতির ভীড়ে ।

সরকারি জমিদার- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  সরকারি জমিদার শিশির আহাম্মেদ খান এই যদি হয় উপহার ? বছর না গুরতেই ভাংঙ্গন যার ! চেতনার ক্যাপসলে মুড়ানো বিষ যা করছে জাতিকে ছাড়খার। এত এত দুর্নীতি হচ্ছে চারিপাশটায় মানুষের মতন হলেও ওরা পিচাশ, ওরা অশিক্ষিত সরল মানুষের ভাত কেড়ে নেয় বলে আমরা শিক্ষিত, আমরা জাতির সব ! আসলে ওরা চুর লুটেরা ,বর্বর রক্ত খেকো রাক্ষস , সরকারি অফিসার নামের জমিদার ওরা ঘুষ খেয়ে সব করছে শেষ ।

মায়া- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
মায়া শিশির আহাম্মেদ খান  হয়ত বা কোন অজপাড়া গায় কোন এক শরষে ফুলের মাঠে এলো চুলে তুমি ছোটাছুটি কর আবীর রাঙা সন্ধ্যায় । হয়ত বা তোমার অপলক দৃষ্টি বাড়ির পথের পানে, এদিক ওদিক আড় চোখে খোঁজ কি আমায় আঁধার নামার ক্ষণে ? আজও তুমি অধরাই আছো স্বপ্ন লোকের পরে স্বপ্নে দেখা রাজকুমারী স্বপ্নে থাক পড়ে । যতই ডাকি ,যতই খুঁজি আসনা তুমি ফিরে অন্তহীন পথ ধরে , তুমি চলেছ তবু দূরে ।

রাতুলের বিড়ম্বনার যাত্রা- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ফুটপাতে রাতুল হাটছে , শ্রাবণের আকাশে রোদে- মেঘের খেলা । রাস্তায় তেমন কোন গাড়ি নেই ,দুই একটি অটোরিক্সার ছাড়া । এই অটোরিক্সায় চড়লে ভাড়া গুনতে হয় তিন গুণ। রাতুলের পকেট ফাঁকা, প্যান্টের পকেট ঝেড়ে পাঁচ টাকার একটা কয়েন পেল । হাঁটছে একা একা , অন্য সময়ে ঝানজটের কারনে ফুটপাটের উপরে হুন্ডা উঠে যেত । কিন্তু আজ রাতুল একা একা হাটছে, কাঠ ফাটা গরমে জীবন অতিষ্ঠ মনে হচ্ছে । উদ্দেশ্য বিহীন পথ ,অকস্মাৎ কালো রং এর বি এম ডব্লিউ গাড়ি এসে থামল। কালো গ্লাস নামিয়ে ডাকলেন রাতুল বলে । আমি এ দিক ও দিক তাকালাম, না কোন মানুষ আশে পাশে নাই । আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে বলছেন ? এখানে অন্য কেউ আছে না কি ! না মানে এই শহরে এত বড়লোক আমার পরিচিত কেউ নেই । আর পনাকে ও ঠিক এই মুহুর্তে চিনতে পারছি না .... আরে আগে গাড়িতে ওঠেন, পরিচয় বলছি । রাতুল :- এই বুঝি ফেসে গেলাম, শুনেছি এইরকম কালো গ্লাস লাগানো গাড়িতে করে মানুষ কে গুম করে । মনে হচ্ছে আরজাইল ফেরেশতা কাছা কাছি কোথাও আছে । কি করব বুঝতেছি না ,ইচ্ছে করছে প্রাণ পণ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই । কিন্তু এতে কোন লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না । তার চেয়ে নিরাপদে ...

ভাল থেক সুলতানা - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
ভাল থেক সুলতানা শিশির আহাম্মেদ খান ভালো থেক সুলতানা সূখে থেক চিরদিন স্বপ্ন বুনা চাদর ঝরিয়ে থেক তুমি ভাবনাহীন। কত কথা মনে আজ স্মৃতি হয়ে আছে, কত দিন কত পথ তুমি ছিলে পাশে। চোখে চোখে হাতছানি ভালবাসায় মুখর প্রতি ক্ষণে, আজ কেন সুলতানা কাদঁ তুমি একাকী খুব গোপনে  

মায়া - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  মায়া হয়ত বা কোন অজপাড়া গায় কোন এক শরষে ফুলের মাঠে এলো চুলে তুমি ছোটাছুটি কর আবীর রাঙা সন্ধ্যায় । হয়ত বা তোমার অপলক দৃষ্টি বাড়ির পথের পানে, এদিক ওদিক আড় চোখে খোঁজ কি আমায় আঁধার নামার ক্ষণে ? আজও তুমি অধরাই আছো স্বপ্ন লোকের পরে স্বপ্নে দেখা রাজকুমারী স্বপ্নে থাক পড়ে । যতই ডাকি ,যতই খুঁজি আসনা তুমি ফিরে অন্তহীন পথ ধরে , তুমি চলেছ তবু দূরে ।

প্রতিশ্রুতি-শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 প্রতিশ্রুতি  শিশির আহাম্মেদ খান  যে হাতখানা আমার হাত ধরে বলেছিল , সারাজীবন আমি তোমার হাতটি ধরে থাকব জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ব আমি মাথা রেখে তোমার বুকে। সেই হাত আজ কথা রাখেনি , থাকেনি পাশে চিরদিন ! মাঝ পথে ছেড়ে দিয়ে হাত হারিয়ে গেল সে, করেছে ভালবাসা মলিন । কত বিচিত্র অভিনয় ছিল তার আরো কত ছিল মিনতি ! অবুঝ হৃদয় ভেঙ্গে দিয়ে করেছে ভালবাসার ইতি । চোখে চোখ রেখে দেওয়া যত প্রতিশ্রুতি আজ সব বিষাদ সিন্ধু দুংখ্য গেড়া এক প্রকৃতি মধুমাখা মুহুর্ত গুলো আজ শুধুই স্মৃতি।

ভালবাসার ফাঁকি-শিশির আহাম্মেদ খান

Image
 ভালবাসার ফাঁকি    শিশির আহাম্মেদ খান   কি ছিল ভুল আমার মাঝে ? তুই চলে গেলি অজানা অভিমানে , ভালবাসা ছিল যা তুকে গিড়ে মিথ্যে করে দিলি কোন সে কারণে ! ভাললাগার সাদা মেঘ গুলো ঢেকে গেল বিরহের আধাঁরে , অঝোরে নামছে বৃষ্টি ঝড়ছে জল দু চোখের কোনে । হাতে হাত রেখে পথ চলে ছিলি আজ তা হারানো অতীতে হাতছানি দিয়ে বলে সূখগুলো সব গেছে হারিয়ে । দুটি হৃদয়ের মোহনায় যে স্বপ্ন ভালবাসার নামে দিয়েছিল উকি কুঁড়িতেই শেষ হয়ে গেল ভালবাসার ষোল আনাই হল ফাঁকি। 22/10/2016

ভাবনার ছল- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  ভাবনার ছল                          শিশির  আহাম্মেদ খান                                          ছুটে  যেতে ইচ্ছে করে                                            ঐ দিগন্তের শেষ সীমায় !                                             গোধূূলীর  আলোয় রাঙ্গিয়ে সব                                                  হারাতে চাই  ধূুসর মায়ায় ।            বুুনো হাঁসের দলে সঙ্গী   হতে চাই             ...

শরৎ এল - শিশির আহাম্মেদ খান

Image
                                                                                                                       শরৎ এল                     শিশির আহামেদ খান    শিউলী তলে শরৎ এল দরদ নিয়ে প্র্রাণে, কুসুুম বনে সব মাতিল শিউলী ফুলের ঘ্র্রানে ।                আকাশ হতে  জোৎন্সা এল আঁঁধার গেল কেটে জোনাক  পোকা ঘুমিয়ে গেল এমন মধুর রাতে ! তেপান্তরে নামল পরী রুপকথার পটে আপন মনে  ছুটল নদী  শরৎ রেখে  তটে । নীল আকাশে শুভ্র্র মেঘের হচে্ছ আনাঘুনা শরৎ এলে  হয় যে আবার  ভালবাসার চাদর  বুনা ।  তারিখ:-05/09/2020

উনিই সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি!!

Image
উনিই সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি!! যে মানুষটি এক সময় ক্ষুধার তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনিই আজ একটি দেশের রাষ্ট্রপতি!হালিমা বিনতি ইয়াকুব, সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী ও দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্রপতি। অথচ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে ক্লান্ত হওয়া এই মানুষটিই আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন।১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া হালিমা বাবাকে হারান মাত্র ৮ বছর বয়সে। তার বাবা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম। কারখানায় ওয়াচম্যানের কাজ করে পাঁচ সন্তানকে বড় করার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।অসম্ভব দারিদ্র্যের চাপে পিষ্ট পরিবারটিকে বাঁচাতে হালিমার মা কখনো হোটেলে ক্লিনারের কাজ কখনোবা রাস্তায় খাবার বিক্রি করতে শুরু করেন। মায়ের সাথে হালিমা সিঙ্গাপুর পলিটেকনিক এর সামনের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার বিক্রি করতেন। কিন্তু পড়াশোনাটা ছেড়ে দেননি। সিঙ্গাপুর চাইনিজ গার্লস স্কুলের পাঠশেষে সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি হতে আইনে স্নাতক হন। ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের একজন আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন আর তার পরিবার টেনে আসা দারিদ্রতা থেকে পায় স্বস্তির সুবাতাস। ১৯৯২ সালে তিনি এই ...
Image
এভাবেই কতো অজানা বিস্ময়কর  কাহিনী লুকিয়ে আছে জিয়াউর রহমান কে নিয়ে......... প্রেসিডেন্ট জিয়া উলশী-যদুনাথপুর প্রকল্পের অগ্রগতি স্বচক্ষে দেখতে যশোরে এসেছেন। প্রকল্প প্রদক্ষিণ শেষে পিআরও জানালেন যে প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ সম্পন্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি তখন একটি দৈনিকের বার্তা সম্পাদক। সে'সুবাদে ঠাঁই হলো তাঁর কাছাকাছি চেয়ারে! টেবিলে হরেকরকম খাবার সাজানো ছিলো। আমরা খাবার টেবিলে বসার প্রায় সাথে সাথেই প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁর আসন গ্রহণ করে আমাদের প্রত্যেককে 'বিসমিল্লাহ' করার আহ্বান জানালেন। সাংবাদিকদের কেউকেউ নিজেরাই ভাত ও বেগুন ভাঁজা পাতে তুলে নিলেও প্রেসিডেন্টের প্লেট ছিলো তখনো ফাঁকা! আমরা সবাই তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছি দেখে প্রেসিডেন্ট স্মিত হেসে বললেন, আমারটা এক্ষুনি আসবে, আপনারা শুরু করুন। প্রেসিডেন্ট না খেলে আমরা খাই কী করে! এমন সময় প্রেসিডেন্ট এক চামচ ভাত নিলেন। ছোট্ট একটি বাটিতে তাঁর জন্যে গুঁড়া মাছের চচ্চরি এলো। এলো পাতলা ডাল। প্রেসিডেন্ট তৃপ্তিভরে তাই খেলেন ও খাবার শেষে 'আলহামদুলিল্লাহ' স্বগতোক্তি করলেন। আমরা মাছ-মাংস দিয়ে উদরপূর্ত...
Image
           বিচিত্র  জীবন জনপথ বৃদ্ধাশ্রমেই আশ্রয় হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল। তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সবার বড়, নাম রেজিনা ইয়াসিন, আমেরিকা প্রবাসী। বড় ছেলে উইং কমান্ডার (অব.) ইফতেখার হাসান। ছোট ছেলে রাকিব ইফতেখার হাসান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। . জীবনে এত কিছু থাকার পরও আজ তার দু’চোখে অন্ধকার। থাকেন আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে। দীর্ঘ ১৭ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন সুনামের সঙ্গে। ২০০৬ সালে অবসর নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব.) ড. এম আব্দুল আউয়াল (৭০)। অবসরের পর কিছুদিন ভালোই চলছিল তার। অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সংসারে দুই ছেলে, এক মেয়ে। আব্দুল আউয়াল জানান, শিক্ষকতার আগে ১৯৬৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জিতে চাকরি করেছি। এরপর শিক্ষকতা। জীবনে অনেক টাকা-পয়সা উপার্জন করেছি। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছি । এর পর ছেলে-মেয়েরা আমার খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটে নিজের ফ্ল্যাট ছিল আব্দুল আউয়ালের। এছাড়া পল্লবীতেও বেশ কিছু জমি ছিল। কিন্তু এসব ...

শেষ রাতের স্বপ্ন- শিশির আহাম্মেদ খান

Image
  শেষ রাতের স্বপ্ন শিশির আহাম্মেদ খান গত রাতে স্বপ্নে তুই এলি আবছায়া ঘরে তুই এলি, খালি পায়ে ! লাল শাড়ি আর মেহেদী রাঙ্গা হাতে তুই এলি শেষ রাতে। সেই যে গেলি ছেড়ে গত দশটি বছর আগে ! আজও কেন সে ব্যাথা বর্তমান লাগে ! আমি ঘুমের গোরে তোর হাত ছুঁয়েছি তোর শরীরের গন্ধ এখন ও ভাসছে আমার নাকে ! কি খুশবো ছড়িয়ে তুই হারিয়ে গেলি স্বপ্নলোকের পরে । গত রাতে তুই এসে ছিলি আমার ঘরে শেষ রাতে স্বপ্নলোকে । তোর ছোঁয়ায় পূর্ণ ছিল যে ঘরটা সেই ঘরে কেন আজ রাজ্যের শূন্যতা !

দস্যি হতে চাই

Image
আমি আবার দস্যি হতে চা্ই চা্ই হতে দখিন হাওয়া , তোর পথের পথিক হতে চাই অতিত জীবনে ফিরে যাওয়া.... # #কবি শিশির আহামেদ খান

The inside of- Shishir ahmed ‍ Khan

Image
The inside of the chest burns Bari falls in both eyes Your emptiness today Earth ‍ Across, You left today Leave all illusions In silent pride .......... বুকের ভিতরটা জ্বলে দুু চোখে বারি ঝরে তোমার শুণ্যতা আজ ধরণী  ‍ জুুড়ে, আজ তুুমি চলে গেলে সকল মায়া ছেড়ে নিরব অভিমানে.......... শিশির আহামেদ খান
শেখ  রাসেল নাামের ইতি কথা  ! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। তাঁর অনেক বই তিনি পড়েছেন। বার্ট্রান্ড রাসেল কেবলমাত্র একজন দার্শনিকই ছিলেন না বিজ্ঞানীও ছিলেন। ছিলেন পারমাণবিক যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের একজন বড় মাপের বিশ্ব নেতাও। বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্যে বার্ট্রান্ড রাসেল গঠন করেছিলেন—”কমিটি অব হানড্রেড”। রাসেলের জন্মের দু’বছর পূর্বে ১৯৬২ সালে কিউবাকে কেন্দ্র করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী ক্রুশ্চেফ-এর মধ্যে স্নায়ু ও কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছিল। যেটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই বিশ্বমানবতার প্রতীক হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল। আর তাঁরই আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বঙ্গবন্ধু তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম করন করেন রাসেল।

এক জন নারী- শিশির আহামেদ খান

Image
এক জন নারী একটা জাতির ঠিকানা , আদর সোহাগ স্নেহ-মমতা তার আঁচলেই আছে জমা । তার মাঝেই খুঁজে পাই বোনের অকৃত্রিম ভালবাসা কখনও আবার নববধু সেজে স্বপ্নদেখে এক রঙি্গন ভোরের । কত না প্র্রেম মনেতে জমা সে কথা কেউ কি আর জানে? ওরে তার পেটেতে জম্ম সবার, লালন নারীর কোলে ! তবু কেন আজ ? নারীরা হচে্ছ শিকার র্নিযাতনের? এসমাজ তবে আজ, সভ্যতার দোহাই দিয়ে মোরা বাঁচব কেমনে ? তারিখ:-24/09/2011 1 Shishir Ahmed Khan